মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নবীগঞ্জে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে প্রেমিক যুগল কারাগারে

মীর দুলাল, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
হবিগঞ্জের  নবীগঞ্জে এক প্রেমিক যুগল দীর্ঘদিন  প্রেম করে  অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেন।
স্থায়ী ভাবে একে অপরকে কাছে পেতে   ঘর ছেড়ে পালিয়ে  বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়! শেষ পর্যন্ত প্রেমিক যুগলের ঠাঁই  হলো জেল হাজতে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) উক্ত প্রেমিক যুগল জাহিদ হাসান ও সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা নবীগঞ্জ থানায় স্বেচ্ছায় আত্নসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন স্বেচ্ছায় থানায় এসে  ধরা দিয়ে  তাদের বিয়ের ও প্রেমের বিষয়ে  বিস্তারিত  জানান।
নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ থাকায় পুলিশ তাদের আদালতের প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের জবানবন্দি শুনে প্রেমিক জাহিদ হাসান (২১)কে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে মাধ্যমে  জেল হাজতে প্রেরন করেন।
সেই সাথে প্রেমিকা সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসাকে বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে বয়স নির্ধারনের জন্য প্রেরন করেন।
সেখানে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে ভিকটিম সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা তার মা’য়ের জিম্মায় না যাওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক তাকে সিলেট সেইভ হোমে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার নাদামপুর এলাকার মৃত আব্দুল মতিন খানের মেয়ে  সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা (১৮) দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাজাবাদ গ্রামের ফরহাদ মিয়ার ছেলে জাহিদ হাসান (২১) এর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।
এই খবর সুমাইয়া ফেরদৌসির পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তার উপর  চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে সুমাইয়ার মাদকাসক্ত ভাই ও মা মিলে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য তাদের নামে রেজিস্ট্রি দলিল মুলে লিখে দেয়ার জন্যও চাপ দেয়া হয়। অপর দিকে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যত্র বিবাহ দেয়ার জন্য নানা কৌশল করলে গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকালে সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা তার প্রেমিকের হাত ধরে ঘর থেকে বেরিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। এ ঘটনায় প্রেমিকার মা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার খবর পেয়ে প্রেমিক জুটি মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বেচ্ছায় থানায় হাজির হন।
এ ব্যাপারে প্রেমিকা সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা জানান, তার মা-ভাই খারাপ ছেলেদের দিয়েও তাকে নির্যাতন করাতেন। পিতৃক সম্পত্তি নেয়ার জন্য এবং তাকে অন্যত্র বিবাহ দেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ ও নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।
তা সহ্য করতে না পেরে তার প্রেমিক জাহিদ হাসানকে খবর দিয়ে নিয়ে তার হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করেন।
বর্তমানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সুখে শান্তিতে ছিলেন। কিন্তু তার মা থানায় মামলা দায়ের করার খবর পেয়ে তারা থানায় আত্মসমর্পন করেন। এদিকে ভিকটিম প্রেমিকা সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা এর ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
এতে সুমাইয়া ফেরদৌসির উপর তার মা-ভাইয়ের অত্যাচার নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে বিজ্ঞ বিচারক ভিকটিম তার মা’য়ের জিম্মায় যেতে না চাওয়ায় সিলেটস্থ নিরাপত্তা হেফাজতে প্রেরন করেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সম্রাট জানান, উক্ত প্রেমিক যুগল মঙ্গলবার ভোরে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় নতুন বাজার (গাজীর টেক) এলাকা থেকে তাদের আটক করে প্রেমিক জাহিদকে মামলায় আদালতে প্রেরন এবং প্রেমিকাকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি প্রদানের জন্য হবিগঞ্জ প্রেরন করা হয়েছে।

নবীগঞ্জে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে প্রেমিক যুগল কারাগারে

প্রকাশের সময় : ১০:১৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
মীর দুলাল, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
হবিগঞ্জের  নবীগঞ্জে এক প্রেমিক যুগল দীর্ঘদিন  প্রেম করে  অজানার উদ্দেশ্য পাড়ি জমিয়েছেন।
স্থায়ী ভাবে একে অপরকে কাছে পেতে   ঘর ছেড়ে পালিয়ে  বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়! শেষ পর্যন্ত প্রেমিক যুগলের ঠাঁই  হলো জেল হাজতে।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) উক্ত প্রেমিক যুগল জাহিদ হাসান ও সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা নবীগঞ্জ থানায় স্বেচ্ছায় আত্নসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন স্বেচ্ছায় থানায় এসে  ধরা দিয়ে  তাদের বিয়ের ও প্রেমের বিষয়ে  বিস্তারিত  জানান।
নবীগঞ্জ থানায় অভিযোগ থাকায় পুলিশ তাদের আদালতের প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাদের জবানবন্দি শুনে প্রেমিক জাহিদ হাসান (২১)কে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে মাধ্যমে  জেল হাজতে প্রেরন করেন।
সেই সাথে প্রেমিকা সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসাকে বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে বয়স নির্ধারনের জন্য প্রেরন করেন।
সেখানে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি শেষে ভিকটিম সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা তার মা’য়ের জিম্মায় না যাওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক তাকে সিলেট সেইভ হোমে প্রেরনের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার নাদামপুর এলাকার মৃত আব্দুল মতিন খানের মেয়ে  সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা (১৮) দীর্ঘদিন ধরে পৌর এলাকার রাজাবাদ গ্রামের ফরহাদ মিয়ার ছেলে জাহিদ হাসান (২১) এর সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।
এই খবর সুমাইয়া ফেরদৌসির পরিবারের লোকজন জানতে পেরে তার উপর  চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে সুমাইয়ার মাদকাসক্ত ভাই ও মা মিলে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য তাদের নামে রেজিস্ট্রি দলিল মুলে লিখে দেয়ার জন্যও চাপ দেয়া হয়। অপর দিকে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যত্র বিবাহ দেয়ার জন্য নানা কৌশল করলে গত ৬ সেপ্টেম্বর বিকালে সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা তার প্রেমিকের হাত ধরে ঘর থেকে বেরিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। এ ঘটনায় প্রেমিকার মা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
উক্ত মামলার খবর পেয়ে প্রেমিক জুটি মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে স্বেচ্ছায় থানায় হাজির হন।
এ ব্যাপারে প্রেমিকা সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা জানান, তার মা-ভাই খারাপ ছেলেদের দিয়েও তাকে নির্যাতন করাতেন। পিতৃক সম্পত্তি নেয়ার জন্য এবং তাকে অন্যত্র বিবাহ দেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চাপ ও নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।
তা সহ্য করতে না পেরে তার প্রেমিক জাহিদ হাসানকে খবর দিয়ে নিয়ে তার হাত ধরে পালিয়ে গিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করেন।
বর্তমানে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সুখে শান্তিতে ছিলেন। কিন্তু তার মা থানায় মামলা দায়ের করার খবর পেয়ে তারা থানায় আত্মসমর্পন করেন। এদিকে ভিকটিম প্রেমিকা সুমাইয়া ফেরদৌসি লিসা এর ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।
এতে সুমাইয়া ফেরদৌসির উপর তার মা-ভাইয়ের অত্যাচার নির্যাতনের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে বিজ্ঞ বিচারক ভিকটিম তার মা’য়ের জিম্মায় যেতে না চাওয়ায় সিলেটস্থ নিরাপত্তা হেফাজতে প্রেরন করেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সম্রাট জানান, উক্ত প্রেমিক যুগল মঙ্গলবার ভোরে পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয় নতুন বাজার (গাজীর টেক) এলাকা থেকে তাদের আটক করে প্রেমিক জাহিদকে মামলায় আদালতে প্রেরন এবং প্রেমিকাকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি প্রদানের জন্য হবিগঞ্জ প্রেরন করা হয়েছে।