শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নাইজারে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে অগ্নিকাণ্ড, ২৬ শিশু নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

শ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ২৬ শিশু নিহত হয়েছে। এদের বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে। স্থানীয় সময় সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় নাইজারে খড় ও কাঠ দিয়ে তৈরি স্কুলটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাত্র সাত মাস আগেই দেশটির রাজধানী নিয়ামেতে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিলো। মারাদি শহরের মেয়র চাইবো আবু বকর বলেন, দুর্ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। খবর এএফপির।

বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ নাইজার। নানা রকম প্রতিকূলতা স্বত্বেও দেশটি খড় ও কাঠের শেড নির্মাণ করে স্কুল ভবনের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনেক সময় শিশুদের মাটিতে বসেই পড়ালে প্রায়ই বিভিন্ন স্কুলের শ্রেণিকক্ষ পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সোমবারের ওই অগ্নিকাণ্ডের পর মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে মারাদি অঞ্চল। এর আগে রাজধানী নিয়ামেতে গত এপ্রিলে একটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০ শিশু নিহত হয়।

এক বিবৃতিতে নাইজার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দুঃখজনক ঘটনা নাইজারের মানুষকে আবারও শোকের মধ্যে ফেলেছে। খড় এবং কাঠের তৈরি ক্লাসরুম দেশে নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

নাইজারের টিচার্স ইউনিয়নের মহাসচিব ইসৌফৌ আরজিকা এএফপিকে বলেন, নিয়ামেতে দুর্ঘটনার পরই কাঠ ও খড়ের তৈরির স্কুল কতটা বিপজ্জনক সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছিলেন তারা।

তিনি বলেন, এর চেয়ে গাছের নিচেও ক্লাস নেয়া ভালো। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, এ ধরনের স্কুল বদলে দেয়া হবে।

 বার্তাকণ্ঠ/এন

নাইজারে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে অগ্নিকাণ্ড, ২৬ শিশু নিহত

প্রকাশের সময় : ১২:২২:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

শ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কমপক্ষে ২৬ শিশু নিহত হয়েছে। এদের বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে। স্থানীয় সময় সোমবার দক্ষিণাঞ্চলীয় নাইজারে খড় ও কাঠ দিয়ে তৈরি স্কুলটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

মাত্র সাত মাস আগেই দেশটির রাজধানী নিয়ামেতে একই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছিলো। মারাদি শহরের মেয়র চাইবো আবু বকর বলেন, দুর্ঘটনায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। খবর এএফপির।

বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ নাইজার। নানা রকম প্রতিকূলতা স্বত্বেও দেশটি খড় ও কাঠের শেড নির্মাণ করে স্কুল ভবনের ঘাটতি মেটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। অনেক সময় শিশুদের মাটিতে বসেই পড়ালে প্রায়ই বিভিন্ন স্কুলের শ্রেণিকক্ষ পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। সোমবারের ওই অগ্নিকাণ্ডের পর মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে মারাদি অঞ্চল। এর আগে রাজধানী নিয়ামেতে গত এপ্রিলে একটি স্কুলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২০ শিশু নিহত হয়।

এক বিবৃতিতে নাইজার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দুঃখজনক ঘটনা নাইজারের মানুষকে আবারও শোকের মধ্যে ফেলেছে। খড় এবং কাঠের তৈরি ক্লাসরুম দেশে নিষিদ্ধ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

নাইজারের টিচার্স ইউনিয়নের মহাসচিব ইসৌফৌ আরজিকা এএফপিকে বলেন, নিয়ামেতে দুর্ঘটনার পরই কাঠ ও খড়ের তৈরির স্কুল কতটা বিপজ্জনক সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছিলেন তারা।

তিনি বলেন, এর চেয়ে গাছের নিচেও ক্লাস নেয়া ভালো। প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম সম্প্রতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, এ ধরনের স্কুল বদলে দেয়া হবে।

 বার্তাকণ্ঠ/এন