শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানি ধারাবাহিকে রবীন্দ্রসংগীত, নেট দুনিয়ায় হইচই

বিনোদন ডেস্ক ##

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কথা সবার জানা। ১৯৪৭ সালে দুই দেশ সৃষ্টির পর থেকেই বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে তাদের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।   এমনকি এই দ্বন্দ্ব দুই দেশের সংস্কৃতিতেও প্রভাব ফেলেছে।

১৯৬৭ সালের ২৩ জুন রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান নিষিদ্ধ করেছিল তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (এখন বাংলাদেশ) গর্জে উঠেছিল, পরে মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল রবীন্দ্রনাথের গান। এতদিন পর সেই পাকিস্তানের সিরিয়ালে শোনা গেলো রবীন্দ্রসংগীত। বিষয়টি নিয়ে নেট দুনিয়ায় চলছে হইচই।

‘দিল কেয়া করে’ ধারাবাহিকটি ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের জিও টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার শুরু হয় এবং  জুলাইয়ে শেষ হয়। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে এই ধারাবাহিক নির্মিত। বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার দ্বন্দ্ব এতে তুলে ধরা হয়েছে।

সম্প্রতি ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে ধারাবাহিকটির দু’টি দৃশ্যের ক্লিপ পোস্ট করেন এর পরিচালক মেহরীন জব্বার। একটিতে ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র আইমানের সাহিত্য ও সংগীতের প্রতি আগ্রহের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। দৃ্শ্যটিতে দেখা যায়, তিনি তার বন্ধুদের সামনে ‘আমার পরাণ যাহা চায়’ গানটি গাইছেন।

গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শর্বরী দেশপাণ্ডে। তিনি মারাঠী শিল্পী। পরিচালক মেহরীনের এই ভিডিও প্রকাশ্যে এলে অনেকেই চমকে উঠেছেন। কেননা পাকিস্তানে রবীন্দ্রসংগীত ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত না হলেও সে-দেশের টেলিভিশন বা চলচ্চিত্রে এই সংগীত ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে।

পোস্টের নিচে একজন ভারতীয় মন্তব্য করেছেন, ‘সব সময় শুনেছি সংগীতের কোনো সীমানা নেই, কিন্তু কখনো এমনটা মনে হয়নি। কিন্তু আপনিই প্রথম আমাকে এমনটা ভাবালেন। ধন্যবাদ, ভারতের কলকাতা থেকে আপনাকে অনেক ভালোবাসা।’

অপর একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ঠাকুরের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) জন্মভূমি পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক ভালোবাসা। পাকিস্তানিরা রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে জানেন এটি সত্যিই অবাক করা বিষয়। জেনে খুবই ভালো লাগছে। এই ধারাবাহিকের পরিচালক প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।’

অন্য একজন বিস্মিত হয়ে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানি সিরিয়াল, ভারতের মারাঠি শিল্পীর কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত!’

পাকিস্তানি ধারাবাহিকে রবীন্দ্রসংগীত, নেট দুনিয়ায় হইচই

প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ জুন ২০২১

বিনোদন ডেস্ক ##

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কথা সবার জানা। ১৯৪৭ সালে দুই দেশ সৃষ্টির পর থেকেই বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে তাদের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।   এমনকি এই দ্বন্দ্ব দুই দেশের সংস্কৃতিতেও প্রভাব ফেলেছে।

১৯৬৭ সালের ২৩ জুন রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান নিষিদ্ধ করেছিল তৎকালীন পাকিস্তান সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (এখন বাংলাদেশ) গর্জে উঠেছিল, পরে মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল রবীন্দ্রনাথের গান। এতদিন পর সেই পাকিস্তানের সিরিয়ালে শোনা গেলো রবীন্দ্রসংগীত। বিষয়টি নিয়ে নেট দুনিয়ায় চলছে হইচই।

‘দিল কেয়া করে’ ধারাবাহিকটি ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের জিও টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার শুরু হয় এবং  জুলাইয়ে শেষ হয়। ত্রিভুজ প্রেমের গল্প নিয়ে এই ধারাবাহিক নির্মিত। বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার দ্বন্দ্ব এতে তুলে ধরা হয়েছে।

সম্প্রতি ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামে ধারাবাহিকটির দু’টি দৃশ্যের ক্লিপ পোস্ট করেন এর পরিচালক মেহরীন জব্বার। একটিতে ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র আইমানের সাহিত্য ও সংগীতের প্রতি আগ্রহের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। দৃ্শ্যটিতে দেখা যায়, তিনি তার বন্ধুদের সামনে ‘আমার পরাণ যাহা চায়’ গানটি গাইছেন।

গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শর্বরী দেশপাণ্ডে। তিনি মারাঠী শিল্পী। পরিচালক মেহরীনের এই ভিডিও প্রকাশ্যে এলে অনেকেই চমকে উঠেছেন। কেননা পাকিস্তানে রবীন্দ্রসংগীত ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষিত না হলেও সে-দেশের টেলিভিশন বা চলচ্চিত্রে এই সংগীত ব্যবহৃত হয় না বললেই চলে।

পোস্টের নিচে একজন ভারতীয় মন্তব্য করেছেন, ‘সব সময় শুনেছি সংগীতের কোনো সীমানা নেই, কিন্তু কখনো এমনটা মনে হয়নি। কিন্তু আপনিই প্রথম আমাকে এমনটা ভাবালেন। ধন্যবাদ, ভারতের কলকাতা থেকে আপনাকে অনেক ভালোবাসা।’

অপর একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ঠাকুরের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) জন্মভূমি পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনেক ভালোবাসা। পাকিস্তানিরা রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে জানেন এটি সত্যিই অবাক করা বিষয়। জেনে খুবই ভালো লাগছে। এই ধারাবাহিকের পরিচালক প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।’

অন্য একজন বিস্মিত হয়ে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানি সিরিয়াল, ভারতের মারাঠি শিল্পীর কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীত!’