শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান মারা গেছেন

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

পাকিস্তানের পরমাণু বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর এবং পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। 

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভি জানিয়েছে, ফুসফুসে জটিলতা নিয়ে ইসলামাবাদের কেআরএল হাসপাতালে স্থানান্তরের পরই রোববার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে আগস্ট মাসে করোনা সংক্রমিত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কাদির খান। কয়েক সপ্তাহ আগে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরেন তিনি। পরে অবস্থা খারাপ হলে আবার তাকে হাসপাতালে আনা হয়।

‘পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক’ বলে অভিহিত করা হয় তাকে। দেশকে বিশ্বের প্রথম ইসলামী পারমাণবিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাতীয় বীর হিসেবে প্রশংসা কুড়ান এই পরমাণু বিজ্ঞানী, কিন্তু পশ্চিমারা তাকে বিপজ্জনক বিদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে অসৎ দেশে প্রযুক্তি পাচারের জন্য দায়ী করে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আব্দুল কাদির খানের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। ১৯৮২ সাল থেকে ব্যক্তিগতভাবে তাদের পরিচয় ছিলো।

পারমাণবিক ক্ষেত্রে নিজেদেরকে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সমতুল্য করে তোলার জন্য এবং নিজেদের প্রতিরক্ষাকে ‘দুর্ভেদ্য’ করার জন্য তিনি প্রশংসিত হন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ইরান, লিবিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে অবৈধভাবে পারমাণবিক প্রযুক্তি ভাগাভাগি করার অভিযোগ আনা হয়।

পরে তিনটি দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক চালানোর কথা স্বীকার করায় খানকে ২০০৪ সালে রাজধানী ইসলামাবাদে গৃহবন্দী করা হয়।

২০০৬ সালে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, পরে অস্ত্রোপচার করে সুস্থ হয়ে উঠেন। ২০০৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে আদালত তাকে গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্তি দেন। কিন্তু তার গতিবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিলো। ইসলামাবাদে ঘর থেকে বের হলেই কর্তৃপক্ষের কেউ না কেউ তার সঙ্গে থাকতো।

পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান মারা গেছেন

প্রকাশের সময় : ০৩:৫১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

পাকিস্তানের পরমাণু বোমা তৈরির অন্যতম কারিগর এবং পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদির খান মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিলো ৮৫ বছর। 

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভি জানিয়েছে, ফুসফুসে জটিলতা নিয়ে ইসলামাবাদের কেআরএল হাসপাতালে স্থানান্তরের পরই রোববার সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে আগস্ট মাসে করোনা সংক্রমিত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন কাদির খান। কয়েক সপ্তাহ আগে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফেরেন তিনি। পরে অবস্থা খারাপ হলে আবার তাকে হাসপাতালে আনা হয়।

‘পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমার জনক’ বলে অভিহিত করা হয় তাকে। দেশকে বিশ্বের প্রথম ইসলামী পারমাণবিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য জাতীয় বীর হিসেবে প্রশংসা কুড়ান এই পরমাণু বিজ্ঞানী, কিন্তু পশ্চিমারা তাকে বিপজ্জনক বিদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে অসৎ দেশে প্রযুক্তি পাচারের জন্য দায়ী করে।

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আব্দুল কাদির খানের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি গভীরভাবে শোকাহত। ১৯৮২ সাল থেকে ব্যক্তিগতভাবে তাদের পরিচয় ছিলো।

পারমাণবিক ক্ষেত্রে নিজেদেরকে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সমতুল্য করে তোলার জন্য এবং নিজেদের প্রতিরক্ষাকে ‘দুর্ভেদ্য’ করার জন্য তিনি প্রশংসিত হন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ইরান, লিবিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার সাথে অবৈধভাবে পারমাণবিক প্রযুক্তি ভাগাভাগি করার অভিযোগ আনা হয়।

পরে তিনটি দেশে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক চালানোর কথা স্বীকার করায় খানকে ২০০৪ সালে রাজধানী ইসলামাবাদে গৃহবন্দী করা হয়।

২০০৬ সালে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন, পরে অস্ত্রোপচার করে সুস্থ হয়ে উঠেন। ২০০৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে আদালত তাকে গৃহবন্দীত্ব থেকে মুক্তি দেন। কিন্তু তার গতিবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত ছিলো। ইসলামাবাদে ঘর থেকে বের হলেই কর্তৃপক্ষের কেউ না কেউ তার সঙ্গে থাকতো।