শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবলিক প্লেসে যৌন হয়রানি শিকার ৮২ শতাংশ নারী

প্রতীকী ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

ন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস আজ (২৫ নভেম্বর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি’।

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটি স্বীকৃতি পায়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ ১৯৯৭ সাল থেকে দিবসটি পালন করে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ থেকে ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল।
পারিবারিক বলয়, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আর জনসমাগমস্থল-এ পাঁচ ক্ষেত্রে জরিপটি করা হয়।
সংস্থাটির ‘চ্যালেঞ্জিং ফিয়ার অব ভায়োলেন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের পাবলিক প্লেসে (জনসমাগমস্থলে) ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী যৌন হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হন। তবে এসব ঘটনায় মামলা হয় ৩ শতাংশের কম (২ দশমিক ৯ শতাংশ)। প্ল্যানের জরিপ অনুযায়ী, নারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটছে পারিবারিক বলয়ে; যা ৮৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
এর ফলে যৌন হয়রানি-নিপীড়নের শিকার নারীদের অনেকে মানসিক অবসাদে ভোগেন, আত্মবিশ্বাস হারান, ভীত ও অসুস্থ হয়ে পড়েন, লেখাপড়ায় মনোযোগ হারান, পরীক্ষায় ফেল করেন।
গত জুন থেকে আগস্ট- এই তিন মাসে আটটি বিভাগের শহর ও গ্রামের চার হাজার ৩০৫টি পরিবারের ওপর জরিপটি করা হয়। এতে অংশ নেন আট হাজার ৮৫৪ জন। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী দুই হাজার ২৩২ জন কিশোরী-তরুণী, দুই হাজার ২০৮ জন তরুণ, দুই হাজার ২১৭ জন মা এবং দুই হাজার ১৯৭ জন বাবা।সূত্র-সময় নিউজ 
 

পাবলিক প্লেসে যৌন হয়রানি শিকার ৮২ শতাংশ নারী

প্রকাশের সময় : ০২:২০:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

ন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস আজ (২৫ নভেম্বর)। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি’।

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটি স্বীকৃতি পায়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ ১৯৯৭ সাল থেকে দিবসটি পালন করে আসছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ থেকে ১৬ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালন উপলক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল।
পারিবারিক বলয়, কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আর জনসমাগমস্থল-এ পাঁচ ক্ষেত্রে জরিপটি করা হয়।
সংস্থাটির ‘চ্যালেঞ্জিং ফিয়ার অব ভায়োলেন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের পাবলিক প্লেসে (জনসমাগমস্থলে) ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী যৌন হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হন। তবে এসব ঘটনায় মামলা হয় ৩ শতাংশের কম (২ দশমিক ৯ শতাংশ)। প্ল্যানের জরিপ অনুযায়ী, নারীদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটছে পারিবারিক বলয়ে; যা ৮৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
এর ফলে যৌন হয়রানি-নিপীড়নের শিকার নারীদের অনেকে মানসিক অবসাদে ভোগেন, আত্মবিশ্বাস হারান, ভীত ও অসুস্থ হয়ে পড়েন, লেখাপড়ায় মনোযোগ হারান, পরীক্ষায় ফেল করেন।
গত জুন থেকে আগস্ট- এই তিন মাসে আটটি বিভাগের শহর ও গ্রামের চার হাজার ৩০৫টি পরিবারের ওপর জরিপটি করা হয়। এতে অংশ নেন আট হাজার ৮৫৪ জন। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী দুই হাজার ২৩২ জন কিশোরী-তরুণী, দুই হাজার ২০৮ জন তরুণ, দুই হাজার ২১৭ জন মা এবং দুই হাজার ১৯৭ জন বাবা।সূত্র-সময় নিউজ