মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা কিশোরী ফিরে গেল ভারতে

বেনাপোল প্রতিনিধি।। 
প্রেমের টানে ৭ মাস আগে সীমান্তের অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসা কিশোরী শাহানা ইয়াসমিন মিন (১৫) কে উদ্ধারের পর ভারতে ফেরত পাঠালো বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে কিশোরীকে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও ভারতের ব্যাংগালুরের তালাশ নামে একটি এনজিওর মাধ্যমে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারের কর্মকর্তারা। এর আগে কিশোরীকে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করে সিআইডি পুলিশ। উদ্ধার হওয়া কিশোরী শাহানা ইয়াসমিন মিন ভারতের মালদাহ জেলার চাতলা থানার হাজতপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে।
মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়ার প্রোগামার অফিসার শাওলী সুলতানা জানান, কক্সবাজারের উখিয়ার আনসারী কামাল নামে একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ৭ মাস আগে সীমান্তের অবৈধ পথে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে ভারতীয় ওই কিশোরী। এ ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক আনসারি কামালের নামে মালদহ জেলায় একটি অপহরণ মামলা করে তার পরিবার। মেয়ে পালিয়ে আসায় কিশোরীর বাবা তাকে উদ্ধারে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে আবেদন করেন। বিষয়টি আমলে নেয় বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি। পরে কিশোরীকে প্রেমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজারের ‘লাইট হাউজ’ নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদের শেল্টার হোমে রাখে। সেখান থেকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ওই মেয়েকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
হস্তান্তর করা সময় উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান, বিজিবির সুবেদার আরশাফ হোসেন।
জনপ্রিয়

প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা কিশোরী ফিরে গেল ভারতে

প্রকাশের সময় : ১০:৩০:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
বেনাপোল প্রতিনিধি।। 
প্রেমের টানে ৭ মাস আগে সীমান্তের অবৈধ পথে বাংলাদেশে আসা কিশোরী শাহানা ইয়াসমিন মিন (১৫) কে উদ্ধারের পর ভারতে ফেরত পাঠালো বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে কিশোরীকে ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও ভারতের ব্যাংগালুরের তালাশ নামে একটি এনজিওর মাধ্যমে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারের কর্মকর্তারা। এর আগে কিশোরীকে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করে সিআইডি পুলিশ। উদ্ধার হওয়া কিশোরী শাহানা ইয়াসমিন মিন ভারতের মালদাহ জেলার চাতলা থানার হাজতপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে।
মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়ার প্রোগামার অফিসার শাওলী সুলতানা জানান, কক্সবাজারের উখিয়ার আনসারী কামাল নামে একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ৭ মাস আগে সীমান্তের অবৈধ পথে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে ভারতীয় ওই কিশোরী। এ ঘটনায় বাংলাদেশি যুবক আনসারি কামালের নামে মালদহ জেলায় একটি অপহরণ মামলা করে তার পরিবার। মেয়ে পালিয়ে আসায় কিশোরীর বাবা তাকে উদ্ধারে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের কাছে আবেদন করেন। বিষয়টি আমলে নেয় বাংলাদেশ পুলিশের সিআইডি। পরে কিশোরীকে প্রেমিকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজারের ‘লাইট হাউজ’ নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদের শেল্টার হোমে রাখে। সেখান থেকে আইনী প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ওই মেয়েকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
হস্তান্তর করা সময় উপস্থিত ছিলেন ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ, বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান, বিজিবির সুবেদার আরশাফ হোসেন।