মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে পদ হারালেন ছাত্রলীগ নেতা 

যশোর ব্যুরো।। 
শোরের ঝিকরগাছায় মেরাজ হোসেন মিঠু নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।কুমিল্লার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় পদ হারালেন তিনি।মিঠু উপজেলার গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লবের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মেরাজ হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোস্ট দেন।
এরপর পদ হারিয়ে শনিবার (১৬ অক্টোবর) ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাসে ক্ষমা চান তিনি। না বুঝে পোস্টটি দিয়েছিলেন দাবি করে মিঠু লিখেন- ‘এমন ভুল আর কখনও হবে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আমরা সবাই ভাই। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, মিঠু তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেন।
যা ছাত্রলীগের দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এ কারণে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকে তাকে আপাতত অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার সংগঠন। সেখানে সাম্প্রদায়িক ভাবধারার কারও অবস্থান নেই। এমন ভাবধারার নেতার ছাত্রলীগে থাকার সুযোগও নেই।
এদিকে, ৭২ এর সংবিধান ফিরিয়ে আনা ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ঠ্র পুন:প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়ায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসানকে নিয়ে কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী মানিক, বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এম এম টিপু সুলতানও দলীয় আদর্শ ও সংগঠনবিরোধী পোস্ট দিয়েছেন।
ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল পদে থেকে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ায় ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। বর্তমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন এরা ছাত্রলীগের পদ পেল কী করে?
এ বিষয়ে জানতে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ একটি প্রগতিশীল সংগঠন। এমন সংগঠনে থেকে কোনো ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া বা সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া অপরাধ। আবেগ দিয়ে তো সংগঠন করা যায় না। সারাদেশে যখন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যখন ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কাজ করছেন, তখন যশোরে কয়েকটি ছাত্রলীগ নেতার এমন কর্মকাণ্ড আমাদের বিব্রত করেছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে হলে আগে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র জানতে হবে এবং মানতে হবে।
 বার্তাকণ্ঠ /এন
জনপ্রিয়

ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে পদ হারালেন ছাত্রলীগ নেতা 

প্রকাশের সময় : ১০:২৩:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
যশোর ব্যুরো।। 
শোরের ঝিকরগাছায় মেরাজ হোসেন মিঠু নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।কুমিল্লার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেওয়ায় পদ হারালেন তিনি।মিঠু উপজেলার গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লবের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মেরাজ হোসেন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক পোস্ট দেন।
এরপর পদ হারিয়ে শনিবার (১৬ অক্টোবর) ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাসে ক্ষমা চান তিনি। না বুঝে পোস্টটি দিয়েছিলেন দাবি করে মিঠু লিখেন- ‘এমন ভুল আর কখনও হবে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আমরা সবাই ভাই। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, মিঠু তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে উস্কানিমূলক পোস্ট দেন।
যা ছাত্রলীগের দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি। এ কারণে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকে তাকে আপাতত অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার সংগঠন। সেখানে সাম্প্রদায়িক ভাবধারার কারও অবস্থান নেই। এমন ভাবধারার নেতার ছাত্রলীগে থাকার সুযোগও নেই।
এদিকে, ৭২ এর সংবিধান ফিরিয়ে আনা ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ঠ্র পুন:প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়ায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসানকে নিয়ে কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী মানিক, বাঘারপাড়া উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এম এম টিপু সুলতানও দলীয় আদর্শ ও সংগঠনবিরোধী পোস্ট দিয়েছেন।
ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল পদে থেকে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ায় ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। বর্তমান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন এরা ছাত্রলীগের পদ পেল কী করে?
এ বিষয়ে জানতে যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্রলীগ একটি প্রগতিশীল সংগঠন। এমন সংগঠনে থেকে কোনো ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া বা সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া অপরাধ। আবেগ দিয়ে তো সংগঠন করা যায় না। সারাদেশে যখন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যখন ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কাজ করছেন, তখন যশোরে কয়েকটি ছাত্রলীগ নেতার এমন কর্মকাণ্ড আমাদের বিব্রত করেছে। ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে হলে আগে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে হবে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র জানতে হবে এবং মানতে হবে।
 বার্তাকণ্ঠ /এন