শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বকশীগঞ্জে আমন ধানে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি 

আল মোজাহিদ বাবু, বকশীগঞ্জ (জামালপুর)।।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে সোনালী পাকা আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে সুখের হাসি । প্রতিটি ক্ষেত যেন সোনালী রঙ। সোনালী রঙে রাঙ্গিয়ে তুলেছে মাঠের পর মাঠ। গত বছরের তুলনায় চলতি আমনের মৌসুমে ফলন ভাল ও দাম বেশী হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালী হাসি।এবার  আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ফলে কৃষকদের মনে আনন্দ বিরাজ করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। এ জাতের ধানের ফলনে অন্য কৃষকরাও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৭১২ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে আগাম জাতের আমনের চাষ হয়েছে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। এধরনের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান- ৬৭৬০ হেক্টর, উপশি-৫৫৫২ ও স্থানীয় ৪০০ হেক্টর আমন  জাতের ধান চাষ হয়।।
সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। গাছের শীষ ধানে নুইয়ে পড়ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। যদিও এরই মধ্যে কোন কোন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে।
কৃষকরা জানান, এই ধানের রোগবালাই থাকলেও কৃষি অফিসে সবসময় যোগাযোগ রেখে কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তা পেয়েছি । ফলন আশার চেয়ে বেশি হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে আমন ধান কাটা হয়। এবার মাস দেড়েক আগেই এই ধান পাকতে শুরু করেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে এবার লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।
বকশীগঞ্জ  উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন  অফিসার  অনুপ সিংহ  জবাবদিহিকে  বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। নতুন জাতগুলোর ৬৬টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। জমিতে বোরো চাষের আগে আলু-সরিষাসহ রবিশস্য উৎপাদন করতে পারবে। এটি কৃষকদের বোনাস ফসল। কৃষকের উৎপাদন আয় দুটোই বাড়বে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা জবাবদিহি কে বলেন,  সরকার করোনা কালিন সময়ে কৃষকদেরকে বিনামূল্য বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়ায় এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষককে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যা,যা করা প্রয়োজন সরকারের পক্ষে সবই করব উপজেলা প্রশাসন।
 
বার্তাকণ্ঠ/এন

বকশীগঞ্জে আমন ধানে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি 

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
আল মোজাহিদ বাবু, বকশীগঞ্জ (জামালপুর)।।
জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মাঠে মাঠে সোনালী পাকা আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে ফুটেছে সুখের হাসি । প্রতিটি ক্ষেত যেন সোনালী রঙ। সোনালী রঙে রাঙ্গিয়ে তুলেছে মাঠের পর মাঠ। গত বছরের তুলনায় চলতি আমনের মৌসুমে ফলন ভাল ও দাম বেশী হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালী হাসি।এবার  আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ফলে কৃষকদের মনে আনন্দ বিরাজ করছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সঠিক পরিচর্যার ফলে আশানুরূপ ফলন হয়েছে। এ জাতের ধানের ফলনে অন্য কৃষকরাও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৭১২ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এরমধ্যে আগাম জাতের আমনের চাষ হয়েছে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে। এধরনের জাতের মধ্যে রয়েছে ব্রিধান- ৬৭৬০ হেক্টর, উপশি-৫৫৫২ ও স্থানীয় ৪০০ হেক্টর আমন  জাতের ধান চাষ হয়।।
সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। গাছের শীষ ধানে নুইয়ে পড়ছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। যদিও এরই মধ্যে কোন কোন এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে।
কৃষকরা জানান, এই ধানের রোগবালাই থাকলেও কৃষি অফিসে সবসময় যোগাযোগ রেখে কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তা পেয়েছি । ফলন আশার চেয়ে বেশি হয়েছে। সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের শেষ দিকে আমন ধান কাটা হয়। এবার মাস দেড়েক আগেই এই ধান পাকতে শুরু করেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে এবার লাভবান হবেন বলে আশা করছেন কৃষকরা।
বকশীগঞ্জ  উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন  অফিসার  অনুপ সিংহ  জবাবদিহিকে  বলেন, আমন মৌসুমে কম সময়ে অধিক ফলন হয় এমন জাতের ধানের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কাজ করছি। নতুন জাতগুলোর ৬৬টি প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। জমিতে বোরো চাষের আগে আলু-সরিষাসহ রবিশস্য উৎপাদন করতে পারবে। এটি কৃষকদের বোনাস ফসল। কৃষকের উৎপাদন আয় দুটোই বাড়বে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা জবাবদিহি কে বলেন,  সরকার করোনা কালিন সময়ে কৃষকদেরকে বিনামূল্য বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়ায় এবছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষককে বাঁচিয়ে রাখার জন্য যা,যা করা প্রয়োজন সরকারের পক্ষে সবই করব উপজেলা প্রশাসন।
 
বার্তাকণ্ঠ/এন