আল মোজাহিদ বাবু, বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি ।।
জামালপুর আদালতে চুরির মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে অপরাধীর নাম বলায় হুমকির অভিযোগ উঠেছে নিলক্ষিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকা ও তার পরিবারের উপর। এ নিয়ে বকশীগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডাইরী করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য রোকন মিয়া।
এ নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ থানা থেকে বের হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগি পরিবার।
সংবাদ সম্মেলন রোকন মিয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবত নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি সালেহ আহাম্মেদ ময়না তার ছেলেকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করিয়ে আসছে। এসব অপকর্ম থেকে টাকা পয়সা সব সালেহ আহাম্মেদ ময়না ও তার সহযোগিরা ভাগবন্টন করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। সম্প্রতি একটি চুরির ঘটনায় পুলিশের কাছে মুল অপরাধী সালেহ আহামেম্দ ময়না নাম বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে।
এদিকে সাধারন ডাইরী সুত্রে জানাগেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার নিলক্ষিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকা গতকাল ৪ সেপ্টম্বর বিকালে বাড়ী কাছে আসিয়ো গালিগালাজ করতে থাকে। পরে এক পর্যায়ে বলে যে, তার ভাই উক্ত চুরির মামলায় কোনভাবে জড়িত ছিল না। প্রয়োজনের হাজত থেকে নিজেই জামিন করিয়ে এনে হাতপা ভেঙ্গে দিবে প্রয়োজনে খুন করে ফেলবে। এছাড়া সাইফুল ইসলাম খোকার সাথে আসা পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ীতে অগ্নি সংযোগেরও চেষ্টা করে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২৬ আগষ্ট বৃহস্পতিবার নিলাক্ষিয়া বাজারের ফজলু মিয়ার মোবাইল ফোনের দোকানের টিনের বেড়া কেটে ২১টি মোবাইল ফোন চুরি হয়। এ ঘটনায় উক্ত দোকানের মালিক ফজলু মিয়া বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ প্রাপ্তির পর থানা পুলিশ অভিযানে নামে। পরে বিভিন্ন তথ্য ও সোর্সের মাধ্যমে মোবাইল চুরির ঘটনায় জড়িত মনু মিয়া ও রবিনকে দুর্গম চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। এসময় খোয়া যাওয়া ১৯ টি মোবাইল ফোন আসামিদের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরে আটককৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়ে চুরির সাথে নিলক্ষিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবু সালেহ ময়নার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে আদালতের আদেশে (৩ সেপ্টম্বর) শুক্রবার সকালে নিলক্ষিয়া বাজার থেকে আবু সালেহ ময়নাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।