মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ১৯ টন কাপড় সহ গ্রেফতার -১১

ঢাকা ব্যুরো।। প্রতি বছর সরকার বন্ড সুবিধার আওতায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। আইন অনুযায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্তরা এই সুবিধার আওতায় বন্ডের পণ্য বিদেশে রফতানি ছাড়া দেশের কোথাও বিক্রি করতে পারবেন না। বিক্রি করলে বন্ড কমিশনারের কাছে ২০ শতাংশ কমিশন বাণিজ্য শুল্ক প্রদান করে এবং অনুমতি নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ চক্র বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য চোরাইভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করত

শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ১৮ হাজার ৭৫০ কেজি চোরাই কাপড় বোঝাই ৬টি কাভার্ডভ্যানসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা কাপড়ের বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

গ্রেফতাররা হলেন, শাহাদাত হোসেন, সাইফুল ইসলাম জীবন, রুবেল আকন, মো. মাসুম, মনির হোসেন, রবিন ওরফে হৃদয় সরদার, শাহিন হাওলাদার, আরিফ হোসেন, সোহাগ ফরাজী, মো. নাজিম ও কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, এই কাপড়গুলো চীন থেকে চট্টগ্রামে আসে, এরপর ময়মনসিংহ ভালুকায় যায়। পরে সেখান থেকে রাজধানীর সাত রাস্তা হয়ে এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় যাচ্ছিল। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে সাতরাস্তার মোড় এলাকা থেকে ওই ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানান, তারা বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাপড় আমদানি করে। এসব কাপড় অতিরিক্ত লাভের উদ্দেশে সুবিধামতো সময়ে চোরাইপথে খোলা বাজারে বিক্রি করত।

হাফিজ আক্তার বলেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এ কারণে ৮০ হাজার কোটি টাকা বন্ড সুবিধার অপব্যবহারে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও লোকসান ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা ইসলামপুর কেন্দ্রিক এমন আরেকটি চক্রের সন্ধান পেয়েছি। এই চক্রের পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসুদন দাস।

বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ১৯ টন কাপড় সহ গ্রেফতার -১১

প্রকাশের সময় : ০৪:০৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

ঢাকা ব্যুরো।। প্রতি বছর সরকার বন্ড সুবিধার আওতায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। আইন অনুযায়ী লাইসেন্সপ্রাপ্তরা এই সুবিধার আওতায় বন্ডের পণ্য বিদেশে রফতানি ছাড়া দেশের কোথাও বিক্রি করতে পারবেন না। বিক্রি করলে বন্ড কমিশনারের কাছে ২০ শতাংশ কমিশন বাণিজ্য শুল্ক প্রদান করে এবং অনুমতি নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ চক্র বন্ড সুবিধায় আনা পণ্য চোরাইভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করত

শনিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বন্ড সুবিধায় আমদানি করা ১৮ হাজার ৭৫০ কেজি চোরাই কাপড় বোঝাই ৬টি কাভার্ডভ্যানসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা কাপড়ের বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

গ্রেফতাররা হলেন, শাহাদাত হোসেন, সাইফুল ইসলাম জীবন, রুবেল আকন, মো. মাসুম, মনির হোসেন, রবিন ওরফে হৃদয় সরদার, শাহিন হাওলাদার, আরিফ হোসেন, সোহাগ ফরাজী, মো. নাজিম ও কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, এই কাপড়গুলো চীন থেকে চট্টগ্রামে আসে, এরপর ময়মনসিংহ ভালুকায় যায়। পরে সেখান থেকে রাজধানীর সাত রাস্তা হয়ে এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় যাচ্ছিল। শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে সাতরাস্তার মোড় এলাকা থেকে ওই ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা জানান, তারা বন্ড সুবিধায় বিদেশ থেকে শুল্কমুক্ত কাপড় আমদানি করে। এসব কাপড় অতিরিক্ত লাভের উদ্দেশে সুবিধামতো সময়ে চোরাইপথে খোলা বাজারে বিক্রি করত।

হাফিজ আক্তার বলেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এ কারণে ৮০ হাজার কোটি টাকা বন্ড সুবিধার অপব্যবহারে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। পাশাপাশি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও লোকসান ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, আমরা ইসলামপুর কেন্দ্রিক এমন আরেকটি চক্রের সন্ধান পেয়েছি। এই চক্রের পেছনে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজীব আল মাসুদ, অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসুদন দাস।