শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বরগুনার তালতলীতে সরকারী চাল উদ্ধার যাচাই বাছাই ছাড়া বিতরণ

বরগুনা প্রতিনিধি:।। 
বরগুনার তালতলীতে বশির নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সরকারী ১২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীদের অভিযোগ চালগুলো কিসের তা যাচাই বাচাই না করে ঘটনাস্থানেই বিতরণ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহিলা বিষায়ক অধিদপ্তরের নিয়মিত খাদ্য সহায়তা ভিজিডির চাল চলতি মাসের ৮ তারিখ বিতরণ করা হয়। বিতরন করার সাতদিন পর উপজেলার পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের মোঃ বশিরের বাড়িতে সরকারী ১২ বস্তা চাল আছে এমন খবর পেয়ে স্থানীয়রা চাল আটক করে প্রশাসনকে খবর দেয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম মিঞা ও ওসি কামরুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থালে গিয়ে সরকারী চাল উদ্ধার করেন। পরে তাৎক্ষণিক স্থানীয় ছলেমান সরদার ও তার আপন ভাই ইব্রাহিম সরদার,চাচাতো ভাই জুয়েল সরদার তাদের ভিজিডি চাল বলে দাবি করেন। পরে ইউএনও তদের ভিজিডির চাল আগে পেয়েছি কিনা তা যাচাইবাচাই না করে চালগুলো তাদের বিতারণ করেন । এনিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন সরকারী  চাল বশিরের বাড়িতে কেন রাখা হইছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার যাদেরকে চালগুলো বিতরণ করলেন তাদের বাড়ি  অভিযুক্ত বশিরের বাড়ি পাশাপাশি।এই চালগুলো বশিরের বাড়িতে কেন রাখা হল। কোন উদ্দেশ্য রাখলো। তারা আরও বলেন, এই চাল আত্মসাৎ এর মূল ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান নজির হোসেন পাটোয়ারীর ঘনিষ্টজনদের মাঝে বিতারণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তাদের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করলে আসল চাল চোর বেড়িয়ে আসবে। তারা আরও বলেন যে খানে এই ভিজিডি চাল দুস্থ ও গরিবদের পাওয়ার কথা থাকলেও এখানে সচ্ছল আপন দুই ভাই ও চাচাতো ভাইকে ভিজিডি কার্ডের নাম দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান।
পচাকোড়ালীয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুন সরদার বলেন, আমরা স্থানীদের সাথে নিয়ে বশিরের বাড়ি থেকে ৯ বস্তা সরকারী চাল আটক করে প্রশাসনকে খবর দিলে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার,ওসি ঘটনাস্থালে এসে চাল উদ্ধার করেন। পরে চাল চোরদের বাচাতে স্থানীয় সলেমান,ইব্রাহিম ও জুয়েল চাল দাবি করলে কোনো প্রকার যাচাইবাচাই না করে তাদেরকে চালগুলো দিয়ে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজির হোসেন পাটোয়ারী বলেন এই চাল উদ্ধারের খবর পেয়েছি আমি। ঘটনাস্থালে উপজেলা নিবার্হী অফিসার, ওসি আসছেন। কিন্তু আমাকে কিছু জানায়নি তারা। শুনেছি বিতারণ করা ভিজিডি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে নাকি সে গুলো যাদের চাল তাদের মাঝে বিতারণ করে দেওয়া হয়েছে শুনেছি আমি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম মিঞা বলেন, দুর্যোগকালীন ত্রানের চাল আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি মহিলা বিষায়ক অধিদপ্তরের ভিজিডি নিয়মিত ত্রানের ১২ বস্তা (৩৬০ কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়। পরে তিনটি ভিজিডি কার্ডে চাল দাবি করলে তাদের মাঝে ঘটনাস্থানেই বিতারণ করা হয়। আর ঔ তিনটি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

বরগুনার তালতলীতে সরকারী চাল উদ্ধার যাচাই বাছাই ছাড়া বিতরণ

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০
বরগুনা প্রতিনিধি:।। 
বরগুনার তালতলীতে বশির নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সরকারী ১২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীদের অভিযোগ চালগুলো কিসের তা যাচাই বাচাই না করে ঘটনাস্থানেই বিতরণ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহিলা বিষায়ক অধিদপ্তরের নিয়মিত খাদ্য সহায়তা ভিজিডির চাল চলতি মাসের ৮ তারিখ বিতরণ করা হয়। বিতরন করার সাতদিন পর উপজেলার পচাঁকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কড়ইতলা গ্রামের মোঃ বশিরের বাড়িতে সরকারী ১২ বস্তা চাল আছে এমন খবর পেয়ে স্থানীয়রা চাল আটক করে প্রশাসনকে খবর দেয়। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম মিঞা ও ওসি কামরুজ্জামান মিয়া ঘটনাস্থালে গিয়ে সরকারী চাল উদ্ধার করেন। পরে তাৎক্ষণিক স্থানীয় ছলেমান সরদার ও তার আপন ভাই ইব্রাহিম সরদার,চাচাতো ভাই জুয়েল সরদার তাদের ভিজিডি চাল বলে দাবি করেন। পরে ইউএনও তদের ভিজিডির চাল আগে পেয়েছি কিনা তা যাচাইবাচাই না করে চালগুলো তাদের বিতারণ করেন । এনিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন সরকারী  চাল বশিরের বাড়িতে কেন রাখা হইছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার যাদেরকে চালগুলো বিতরণ করলেন তাদের বাড়ি  অভিযুক্ত বশিরের বাড়ি পাশাপাশি।এই চালগুলো বশিরের বাড়িতে কেন রাখা হল। কোন উদ্দেশ্য রাখলো। তারা আরও বলেন, এই চাল আত্মসাৎ এর মূল ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান নজির হোসেন পাটোয়ারীর ঘনিষ্টজনদের মাঝে বিতারণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তাদের দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করলে আসল চাল চোর বেড়িয়ে আসবে। তারা আরও বলেন যে খানে এই ভিজিডি চাল দুস্থ ও গরিবদের পাওয়ার কথা থাকলেও এখানে সচ্ছল আপন দুই ভাই ও চাচাতো ভাইকে ভিজিডি কার্ডের নাম দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান।
পচাকোড়ালীয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হারুন সরদার বলেন, আমরা স্থানীদের সাথে নিয়ে বশিরের বাড়ি থেকে ৯ বস্তা সরকারী চাল আটক করে প্রশাসনকে খবর দিলে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার,ওসি ঘটনাস্থালে এসে চাল উদ্ধার করেন। পরে চাল চোরদের বাচাতে স্থানীয় সলেমান,ইব্রাহিম ও জুয়েল চাল দাবি করলে কোনো প্রকার যাচাইবাচাই না করে তাদেরকে চালগুলো দিয়ে দেওয়া হয়।
এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নজির হোসেন পাটোয়ারী বলেন এই চাল উদ্ধারের খবর পেয়েছি আমি। ঘটনাস্থালে উপজেলা নিবার্হী অফিসার, ওসি আসছেন। কিন্তু আমাকে কিছু জানায়নি তারা। শুনেছি বিতারণ করা ভিজিডি চাল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে নাকি সে গুলো যাদের চাল তাদের মাঝে বিতারণ করে দেওয়া হয়েছে শুনেছি আমি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সেলিম মিঞা বলেন, দুর্যোগকালীন ত্রানের চাল আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি মহিলা বিষায়ক অধিদপ্তরের ভিজিডি নিয়মিত ত্রানের ১২ বস্তা (৩৬০ কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়। পরে তিনটি ভিজিডি কার্ডে চাল দাবি করলে তাদের মাঝে ঘটনাস্থানেই বিতারণ করা হয়। আর ঔ তিনটি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।