বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বসতভিটে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট ।।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের টাকায় কেনা জমিতে গড়ে তোলা এক অসহায় পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চেয়েছেন পরিবারটি।পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বহে চলা সিঙ্গিমারি নদীর ভাঙ্গন কবলিত ৪ নং ওয়ার্ডের কবরস্থান নামক এলাকার বাসিন্দা মৃত কছম উদ্দিনের ছেলে দিনমজুর বদিয়ার রহমান (৫০)। সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে অধিক পরিশ্রমে পঞ্চাশেই তিনি অক্ষম হয়ে পড়েছেন। এখন আর কাজেকর্মে যেতে পারেন না। স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করে বদিয়ারের সংসারের ঘানি টানছেন।

জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ১০ হাজার টাকায় ২৪ শতাংশ জমি কিনে বসতবাড়ি করে থাকা শুরু করেন ভুমিহীন বদিয়ার রহমান (৫০)। নদীর ভাঙ্গনে এখন মাত্র ১২ শতাংশ বসতভিটের জমি রয়েছে। নদী ভাঙ্গনে এ পর্যন্ত দুই বার নদীর গর্ভে বাড়ি বিলিন হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সিঙ্গিমারী নদী থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বছরের পর পাথর উত্তোলনের ফলে পাথরের গর্তে ভেঙ্গে পড়ে বদিয়ার রহমানের বসত ভিটা। এই বর্ষা আবারও বাড়ি ভাঙ্গার মত অবস্থায় পড়েছে।সরজমিনে দেখা গেছে, সিঙ্গিমারি নদীর ভাঙ্গনে বাউরা-পাটগ্রাম মহাসড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ। পানি বাড়ার সাথে সাথেই ভাঙ্গন ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছেন পাচঁশতাধিক পরিবার। এদিকে অসহায় পরিবার বদিয়ার রহমানের বসতভিটার অর্ধেকটাই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তাঁর একমাত্র ভাইয়ের কবরটাও নদীতে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। কাজকর্মে অক্ষম বদিয়ার রহমান এক কন্যা সন্তান ও দুই ছেলে। ছোট ছেলে প্রতিবন্ধী। বৃন্ধা মা ও স্ত্রীসহ ৬ সদস্যের এই পরিবারটি সংসারের অভাব-অনটনের সাথে বসতবাড়িটুকু ভাঙ্গার আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

বদিয়ার রহমান বললেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার টাকায় জমি কিনে বাড়ি করছি সেটাই বাড়িভিটে নদীর পানিতে ভাঙ্গতে শুরু করছে। এখন বাড়ি রক্ষায় উপায় নেই তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বসতবাড়ির ভিটাটুকু রক্ষার আবেদন জানাচ্ছি।লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বললেন, সেই সময় ভুমিহীন বদিয়ার রহমানের অসহায় অবস্থা জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আবেদন করলে বদিয়ার রহমানের নামে ১০ হাজার টাকার অনুদান মঞ্জুর হয়। পরে শুনেছি বদিয়ার রহমান ঐ টাকা দিয়ে তাঁর এলাকায় ২৪ শতাংশ জমি কিনে বসবাস করেন।এ বিষয়ে কুচলীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান বলেন, সিঙ্গিমারি নদীর ভাঙ্গনে বাউরা-পাটগ্রাম মহাসড়কটি ঝুকিপূর্ন রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক ও জনপদ বিভাগে আবেদন ও করেছি।পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, সিঙ্গিমারি নদীর ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বসতভিটে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য কামনা

প্রকাশের সময় : ০৪:০৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট ।।

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের টাকায় কেনা জমিতে গড়ে তোলা এক অসহায় পরিবারের বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চেয়েছেন পরিবারটি।পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বহে চলা সিঙ্গিমারি নদীর ভাঙ্গন কবলিত ৪ নং ওয়ার্ডের কবরস্থান নামক এলাকার বাসিন্দা মৃত কছম উদ্দিনের ছেলে দিনমজুর বদিয়ার রহমান (৫০)। সংসারের ঘানি টানতে গিয়ে অধিক পরিশ্রমে পঞ্চাশেই তিনি অক্ষম হয়ে পড়েছেন। এখন আর কাজেকর্মে যেতে পারেন না। স্ত্রী অন্যের বাড়িতে কাজ করে বদিয়ারের সংসারের ঘানি টানছেন।

জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া ১০ হাজার টাকায় ২৪ শতাংশ জমি কিনে বসতবাড়ি করে থাকা শুরু করেন ভুমিহীন বদিয়ার রহমান (৫০)। নদীর ভাঙ্গনে এখন মাত্র ১২ শতাংশ বসতভিটের জমি রয়েছে। নদী ভাঙ্গনে এ পর্যন্ত দুই বার নদীর গর্ভে বাড়ি বিলিন হয়। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সিঙ্গিমারী নদী থেকে বোমা মেশিন দিয়ে বছরের পর পাথর উত্তোলনের ফলে পাথরের গর্তে ভেঙ্গে পড়ে বদিয়ার রহমানের বসত ভিটা। এই বর্ষা আবারও বাড়ি ভাঙ্গার মত অবস্থায় পড়েছে।সরজমিনে দেখা গেছে, সিঙ্গিমারি নদীর ভাঙ্গনে বাউরা-পাটগ্রাম মহাসড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ। পানি বাড়ার সাথে সাথেই ভাঙ্গন ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভাঙ্গন ঝুকিতে রয়েছেন পাচঁশতাধিক পরিবার। এদিকে অসহায় পরিবার বদিয়ার রহমানের বসতভিটার অর্ধেকটাই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তাঁর একমাত্র ভাইয়ের কবরটাও নদীতে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। কাজকর্মে অক্ষম বদিয়ার রহমান এক কন্যা সন্তান ও দুই ছেলে। ছোট ছেলে প্রতিবন্ধী। বৃন্ধা মা ও স্ত্রীসহ ৬ সদস্যের এই পরিবারটি সংসারের অভাব-অনটনের সাথে বসতবাড়িটুকু ভাঙ্গার আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন।

বদিয়ার রহমান বললেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার টাকায় জমি কিনে বাড়ি করছি সেটাই বাড়িভিটে নদীর পানিতে ভাঙ্গতে শুরু করছে। এখন বাড়ি রক্ষায় উপায় নেই তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বসতবাড়ির ভিটাটুকু রক্ষার আবেদন জানাচ্ছি।লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বললেন, সেই সময় ভুমিহীন বদিয়ার রহমানের অসহায় অবস্থা জানতে পেরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে আবেদন করলে বদিয়ার রহমানের নামে ১০ হাজার টাকার অনুদান মঞ্জুর হয়। পরে শুনেছি বদিয়ার রহমান ঐ টাকা দিয়ে তাঁর এলাকায় ২৪ শতাংশ জমি কিনে বসবাস করেন।এ বিষয়ে কুচলীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান বলেন, সিঙ্গিমারি নদীর ভাঙ্গনে বাউরা-পাটগ্রাম মহাসড়কটি ঝুকিপূর্ন রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সড়ক ও জনপদ বিভাগে আবেদন ও করেছি।পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুর রহমান বলেন, সিঙ্গিমারি নদীর ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।