মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের কাছে হার

স্পোর্টস ডেস্ক।। বোলাররা মোটামুটি লাইন-লেহ্ন বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফিল্ডারদের মধ্যে ছিল গা-ছাড়া ভাব। সেই একইরকম ভাব দেখা গেল ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও।

হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে যাচ্ছেতাই ব্যাটিং করে দলকে ডোবালেন নাইম, সৌম্য, সাকিব, মাহমুদউল্লাহরা। বাংলাদেশকে ২৩ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য ১৬৭ রানের। যেমন গোছানো ব্যাটিং করা দরকার ছিল, শুরু থেকেই সেটা পারেনি বাংলাদেশ। বরং ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দেখা গেছে বারবার উড়িয়ে মারার চেষ্টা। যে চেষ্টাগুলোর বেশিরভাগই হয়েছে ক্যাচ।

দলের খাতায় ১৭ রান উঠতেই সাজঘরে ফিরে যান আগের ম্যাচের দুই হাফসেঞ্চুরিয়ান নাইম শেখ (৮ বলে ৫) আর সৌম্য সরকার (৭ বলে ৮)। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ব্লেসিং মুজারাবানি বোল্ড করেন নাইমকে, তিন বল পর সৌম্য কভারে ক্যাচ দেন সিকান্দার রাজাকে।

অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানও সুবিধা করতে পারেননি। ১০ বলে ১২ করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ডাউন দ্য উইকেটে তুলে মারতে গিয়ে কভারেই রাজার তালুবন্দী হন তিনি।

সেই ধাক্কা সামলানো তো পরে, নবম ওভারে এসে ফের জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবারও সেই মাসাকাদজা। ওভারের প্রথম বলেই লংঅনে তুলে দিয়ে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ৬ বলে ৪ রানে। দুই বল পর মাহেদি হাসান (১৯ বলে ১৫) তুলে দেন লং অফে।

বিপদ আরও বাড়ান নুরুল হাসান সোহান। তেন্দাই চাতারার শর্ট বল এগিয়ে খেলতে গিয়ে ফিল্ডারকেই খুঁজে পান উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান (৮ বলে ৯)। ১১ ওভার পার হতেই ৬৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।

এরপর অভিষিক্ত শামীম হোসেন পাটোয়ারী মাঠে নেমেই ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু তার ৩ চার, ২ ছক্কায় গড়া ১৩ বলে ২৯ রানের দারুণ ইনিংসটি দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনো কাজে আসেনি।

নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ধীরগতির এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব (২৫ বলে ২৪)। ইনিংসের শেষ ওভারে ১৫ বলে ১৯ করে আউট হন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। লুক জঙউইয়ের সেই ওভারেই তাসকিন আহমেদ (৫) বোল্ড হলে এক বল বাকি থাকতে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ৩ উইকেট শিকার করেন লুক জঙউই।

এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে গা-ছাড়া ভাব দেখিয়েছে টাইগাররা। একের পর এক ফিল্ডিং মিস হয়েছে, হয়েছে এক রানের জায়গায় দুই রান। ক্যাচ ড্রপও করেছেন ফিল্ডাররা। ফলে জিম্বাবুয়েকে এবার আর অল্প সংগ্রহের মধ্যে রাখা যায়নি। ৬ উইকেটে ১৬৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।

তাসকিন আহমেদ বোলিংয়ের সূচনা করেন। ডানহাতি এই পেসারের ওভারের প্রথম বলে ৩ আসলেও পরের পাঁচ বলে মাত্র ১ রান নিতে পারেন জিম্বাবুইয়ান দুই ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি আর ওয়েসলে মাদভেরে।

দ্বিতীয় ওভারে মাহেদি হাসানকে আক্রমণে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এবার তার ওপর চড়াও হন মাদভেরে। প্রথম দুই বলে ছক্কা আর চার হাঁকিয়ে বসেন। তবে এমন মার খেয়েও ঘাবড়ে যাননি মাহেদি।

টাইগার অফস্পিনার ওভারের পঞ্চম বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মারুমানিকে (৩)। প্রথম দুই বলে ১০ তুলে ফেলা ওই ওভারে সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ে নিতে পারে ১১ রান।

এরপর বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন রেগিস চাকাভা আর মেদভেরে। তবে ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে নিয়েই দারুণ ফর্মে থাকা চাকাভাকে ফেরান সাকিব আল হাসান।

টাইগার অলরাউন্ডারকে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে টাইমিং হয়নি, মিডঅফে শরিফুলের সহজ ক্যাচ হন চাকাভা (৯ বলে ১৪)। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৪৮।

তৃতীয় উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক জুটি গড়ে তোলেন মাদভেরে আর ডিয়ন মায়ার্স। তবে টাইগার বোলারদের খুব আক্রমণ করে খেলতে পারেননি তারা। ব্যক্তিগত ফিফটি ছুঁতে মাদভেরে খেলেন ৪৫ বল।

শেষ পর্যন্ত ১৪তম ওভারে এসে এই জুটিটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। তার বাউন্সি ডেলিভারি তুলে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে মাহেদি হাসানের সহজ ক্যাচ হন মায়ার্স (২১ বলে ২৬)।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (৪)। সাকিবের করা ১৬তম ওভারে দ্রুত এক রান নিতে গিয়ে তিনি রানআউট হয়েছেন সৌম্যের দুর্দান্ত সরাসরি থ্রোতে।

তবে ৪৫ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর অনেকটাই মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন মাদভেরে। চার-ছক্কায় নিজের ইনিংসটা এগিয়ে নিচ্ছিলেন, এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকেও।

ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ব্যাটসম্যানকে শরিফুল ফিরিয়েছেন ১৮তম ওভারে এসে। বাঁহাতি এই পেসারের ওপর আগ্রাসী হতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে আফিফ হোসেনের সহজ ক্যাচ হন মাদভেরে। ৫৭ বলে গড়া তার ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার। শেষদিকে রায়ান বার্লের ১৯ বলে ৩৪ রানের ঝড়ে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন জিম্বাবুয়েকে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ৩৩ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান আর মাহেদি হাসান। অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী ১ ওভারে মাত্র ৭ রান দিলেও পরে আর বোলিংয়ের সুযোগ পাননি।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের কাছে হার

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুলাই ২০২১

স্পোর্টস ডেস্ক।। বোলাররা মোটামুটি লাইন-লেহ্ন বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ফিল্ডারদের মধ্যে ছিল গা-ছাড়া ভাব। সেই একইরকম ভাব দেখা গেল ব্যাটসম্যানদের মধ্যেও।

হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে যাচ্ছেতাই ব্যাটিং করে দলকে ডোবালেন নাইম, সৌম্য, সাকিব, মাহমুদউল্লাহরা। বাংলাদেশকে ২৩ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য ১৬৭ রানের। যেমন গোছানো ব্যাটিং করা দরকার ছিল, শুরু থেকেই সেটা পারেনি বাংলাদেশ। বরং ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দেখা গেছে বারবার উড়িয়ে মারার চেষ্টা। যে চেষ্টাগুলোর বেশিরভাগই হয়েছে ক্যাচ।

দলের খাতায় ১৭ রান উঠতেই সাজঘরে ফিরে যান আগের ম্যাচের দুই হাফসেঞ্চুরিয়ান নাইম শেখ (৮ বলে ৫) আর সৌম্য সরকার (৭ বলে ৮)। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ব্লেসিং মুজারাবানি বোল্ড করেন নাইমকে, তিন বল পর সৌম্য কভারে ক্যাচ দেন সিকান্দার রাজাকে।

অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানও সুবিধা করতে পারেননি। ১০ বলে ১২ করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ডাউন দ্য উইকেটে তুলে মারতে গিয়ে কভারেই রাজার তালুবন্দী হন তিনি।

সেই ধাক্কা সামলানো তো পরে, নবম ওভারে এসে ফের জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবারও সেই মাসাকাদজা। ওভারের প্রথম বলেই লংঅনে তুলে দিয়ে মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ৬ বলে ৪ রানে। দুই বল পর মাহেদি হাসান (১৯ বলে ১৫) তুলে দেন লং অফে।

বিপদ আরও বাড়ান নুরুল হাসান সোহান। তেন্দাই চাতারার শর্ট বল এগিয়ে খেলতে গিয়ে ফিল্ডারকেই খুঁজে পান উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান (৮ বলে ৯)। ১১ ওভার পার হতেই ৬৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ।

এরপর অভিষিক্ত শামীম হোসেন পাটোয়ারী মাঠে নেমেই ঝড় তুলেছিলেন। কিন্তু তার ৩ চার, ২ ছক্কায় গড়া ১৩ বলে ২৯ রানের দারুণ ইনিংসটি দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া কোনো কাজে আসেনি।

নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ধীরগতির এক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব (২৫ বলে ২৪)। ইনিংসের শেষ ওভারে ১৫ বলে ১৯ করে আউট হন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। লুক জঙউইয়ের সেই ওভারেই তাসকিন আহমেদ (৫) বোল্ড হলে এক বল বাকি থাকতে ১৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার। ৩ উইকেট শিকার করেন লুক জঙউই।

এর আগে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নেমে গা-ছাড়া ভাব দেখিয়েছে টাইগাররা। একের পর এক ফিল্ডিং মিস হয়েছে, হয়েছে এক রানের জায়গায় দুই রান। ক্যাচ ড্রপও করেছেন ফিল্ডাররা। ফলে জিম্বাবুয়েকে এবার আর অল্প সংগ্রহের মধ্যে রাখা যায়নি। ৬ উইকেটে ১৬৬ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।

তাসকিন আহমেদ বোলিংয়ের সূচনা করেন। ডানহাতি এই পেসারের ওভারের প্রথম বলে ৩ আসলেও পরের পাঁচ বলে মাত্র ১ রান নিতে পারেন জিম্বাবুইয়ান দুই ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি আর ওয়েসলে মাদভেরে।

দ্বিতীয় ওভারে মাহেদি হাসানকে আক্রমণে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এবার তার ওপর চড়াও হন মাদভেরে। প্রথম দুই বলে ছক্কা আর চার হাঁকিয়ে বসেন। তবে এমন মার খেয়েও ঘাবড়ে যাননি মাহেদি।

টাইগার অফস্পিনার ওভারের পঞ্চম বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন মারুমানিকে (৩)। প্রথম দুই বলে ১০ তুলে ফেলা ওই ওভারে সবমিলিয়ে জিম্বাবুয়ে নিতে পারে ১১ রান।

এরপর বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন রেগিস চাকাভা আর মেদভেরে। তবে ষষ্ঠ ওভারে বল হাতে নিয়েই দারুণ ফর্মে থাকা চাকাভাকে ফেরান সাকিব আল হাসান।

টাইগার অলরাউন্ডারকে সজোরে হাঁকাতে গিয়ে টাইমিং হয়নি, মিডঅফে শরিফুলের সহজ ক্যাচ হন চাকাভা (৯ বলে ১৪)। পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৪৮।

তৃতীয় উইকেটে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক জুটি গড়ে তোলেন মাদভেরে আর ডিয়ন মায়ার্স। তবে টাইগার বোলারদের খুব আক্রমণ করে খেলতে পারেননি তারা। ব্যক্তিগত ফিফটি ছুঁতে মাদভেরে খেলেন ৪৫ বল।

শেষ পর্যন্ত ১৪তম ওভারে এসে এই জুটিটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। তার বাউন্সি ডেলিভারি তুলে মারতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে মাহেদি হাসানের সহজ ক্যাচ হন মায়ার্স (২১ বলে ২৬)।

বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা (৪)। সাকিবের করা ১৬তম ওভারে দ্রুত এক রান নিতে গিয়ে তিনি রানআউট হয়েছেন সৌম্যের দুর্দান্ত সরাসরি থ্রোতে।

তবে ৪৫ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর অনেকটাই মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন মাদভেরে। চার-ছক্কায় নিজের ইনিংসটা এগিয়ে নিচ্ছিলেন, এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকেও।

ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই ব্যাটসম্যানকে শরিফুল ফিরিয়েছেন ১৮তম ওভারে এসে। বাঁহাতি এই পেসারের ওপর আগ্রাসী হতে গিয়ে এক্সট্রা কভারে আফিফ হোসেনের সহজ ক্যাচ হন মাদভেরে। ৫৭ বলে গড়া তার ৭৩ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার। শেষদিকে রায়ান বার্লের ১৯ বলে ৩৪ রানের ঝড়ে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন জিম্বাবুয়েকে।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শরিফুল ইসলাম। ৩৩ রান খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। একটি করে উইকেট নেন সাকিব আল হাসান আর মাহেদি হাসান। অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী ১ ওভারে মাত্র ৭ রান দিলেও পরে আর বোলিংয়ের সুযোগ পাননি।