শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ

আজাদ খান, জামালপুর ব‍্যুরো।। 
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কর্তৃক বাস্তবায়িত কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা (এফএমডিপি) প্রকল্পের অধীনে কৃষক, যন্ত্র চালক ও মেকানিক্সের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)  উদ্ভাবিত ০৮ ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতির উপর ০২ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়ার প্রগতিশীল কৃষক জনাব আব্দুল হান্নানের বাড়ির আংগিনায় প্রশিক্ষণটি গত ১৮-১৯ অক্টোবর ২০২১ এ আয়োজন করা হয়।
মেলান্দহ এবং জামালপুর সদর উপজেলা থেকে মোট ২০ (বিশ) জন কৃষক, যন্ত্র চালক ও মেকানিক্স প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
মেলান্দহ এবং জামালপুর সদরের চারটি স্থানে প্রকল্পের অর্থায়নে আগামি ০৪ বছর ব্যাপি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে এবং যন্ত্রপাতির উন্নতি নিয়ে গবেষণা করা হবে। প্রকল্প এলাকায় পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জ্ঞান এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।
প্রশিক্ষণার্থীদের ০৮ ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি বিশেষ করে বেড প্লান্টার, সিডার, ভুট্টার শেলার, পাওয়ার থ্রেশার, আলু হার্ভেস্টার, সৌর পাম্প ভিত্তিক সোলার হোম সিস্টেম এবং শস্য কর্তনের রিপার পরিচালনা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
 এফএমডিপি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুরের একটি দল প্রশিক্ষণটি সফলভাবে পরিচালনা করে যার নেতৃত্ব দেন উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক। ড. মোঃ মঞ্জুরুল কাদির, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (আরএআরএস), জামালপুর; ড. আঃ মান্নান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আরএআরএস, জামালপুর এবং মোঃ মশিউর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আরএআরএস, জামালপুর প্রশিক্ষণের রিসোর্স স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ড. কাদির বলেন, কৃষি শ্রমিকরা এই সময়ের মধ্যে অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। এখন ৪০% শ্রমিক কৃষি কাজে জড়িত যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে রোপণ ও ফসল কাটার মৌসুমে গুরুতর শ্রমিক সংকট দেখা যায়। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব সকল স্তরের নীতিনির্ধারক এবং সংশ্লিষ্টরা উপলব্ধি করছে।
ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক বর্ণনা করেন যে, শ্রম সংকট কাটিয়ে উঠতে, উৎপাদন খরচ কমাতে এবং সময়মত রোপণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে বাংলাদেশ সরকার কৃষকদের মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ৫০ টি বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি করেছে যা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য উপযুক্ত। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের মাত্রা বৃদ্ধির জাতীয় চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কৃষি যন্ত্রপাতির উদ্যোক্তা তৈরি ও কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য, যান্ত্রিকীকরণ সম্পর্কিত প্রতিভা অনুসন্ধান এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য বর্তমান প্রকল্প চলছে।
 বার্তাকণ্ঠ/এন

বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির ওপর কৃষকদের প্রশিক্ষণ

প্রকাশের সময় : ১১:০০:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অক্টোবর ২০২১
আজাদ খান, জামালপুর ব‍্যুরো।। 
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কর্তৃক বাস্তবায়িত কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা (এফএমডিপি) প্রকল্পের অধীনে কৃষক, যন্ত্র চালক ও মেকানিক্সের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)  উদ্ভাবিত ০৮ ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতির উপর ০২ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়ার প্রগতিশীল কৃষক জনাব আব্দুল হান্নানের বাড়ির আংগিনায় প্রশিক্ষণটি গত ১৮-১৯ অক্টোবর ২০২১ এ আয়োজন করা হয়।
মেলান্দহ এবং জামালপুর সদর উপজেলা থেকে মোট ২০ (বিশ) জন কৃষক, যন্ত্র চালক ও মেকানিক্স প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
মেলান্দহ এবং জামালপুর সদরের চারটি স্থানে প্রকল্পের অর্থায়নে আগামি ০৪ বছর ব্যাপি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে এবং যন্ত্রপাতির উন্নতি নিয়ে গবেষণা করা হবে। প্রকল্প এলাকায় পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জ্ঞান এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করা হবে।
প্রশিক্ষণার্থীদের ০৮ ধরনের কৃষি যন্ত্রপাতি বিশেষ করে বেড প্লান্টার, সিডার, ভুট্টার শেলার, পাওয়ার থ্রেশার, আলু হার্ভেস্টার, সৌর পাম্প ভিত্তিক সোলার হোম সিস্টেম এবং শস্য কর্তনের রিপার পরিচালনা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
 এফএমডিপি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বিএআরআই, গাজীপুরের একটি দল প্রশিক্ষণটি সফলভাবে পরিচালনা করে যার নেতৃত্ব দেন উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক। ড. মোঃ মঞ্জুরুল কাদির, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (আরএআরএস), জামালপুর; ড. আঃ মান্নান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আরএআরএস, জামালপুর এবং মোঃ মশিউর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আরএআরএস, জামালপুর প্রশিক্ষণের রিসোর্স স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ড. কাদির বলেন, কৃষি শ্রমিকরা এই সময়ের মধ্যে অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। এখন ৪০% শ্রমিক কৃষি কাজে জড়িত যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে রোপণ ও ফসল কাটার মৌসুমে গুরুতর শ্রমিক সংকট দেখা যায়। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের গুরুত্ব সকল স্তরের নীতিনির্ধারক এবং সংশ্লিষ্টরা উপলব্ধি করছে।
ড. মোহাম্মদ এরশাদুল হক বর্ণনা করেন যে, শ্রম সংকট কাটিয়ে উঠতে, উৎপাদন খরচ কমাতে এবং সময়মত রোপণের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে বাংলাদেশ সরকার কৃষকদের মধ্যে কৃষি যন্ত্রপাতি জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) ৫০ টি বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি করেছে যা বাংলাদেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য উপযুক্ত। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের মাত্রা বৃদ্ধির জাতীয় চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কৃষি যন্ত্রপাতির উদ্যোক্তা তৈরি ও কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাত্রা বাড়ানোর জন্য, যান্ত্রিকীকরণ সম্পর্কিত প্রতিভা অনুসন্ধান এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য বর্তমান প্রকল্প চলছে।
 বার্তাকণ্ঠ/এন