শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা সবাই ডাক্তার -তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা ব্যুরো।। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য বিএনপির দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা সবাই ডাক্তার হয়ে গেছেন।’

আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

একজন দণ্ডপ্রাপ্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশ পাঠানোর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের যে দাবি সেটি সরকারের মানার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা তিনি পান, সেটি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সব চিকিৎসক দিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড হতে পারে, সেই বোর্ড পরামর্শ দিতে পারে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভী আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেবসহ বিএনপির নেতারা এখন ডাক্তার হয়ে গেছেন। আ স ম রব সাহেবও এখন বড় ডাক্তার, মান্না সাহেবও ডাক্তার। তারা এখন ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তারাই বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া জীবন মরণাপন্ন বা সংকটাপন্ন, এভারকেয়ার হাসপাতাল বা কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কিছু বলেননি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া আগেও অসুস্থ হয়েছিলেন, তখনও বিএনপি ধুঁয়া তুলেছিল যে, বেগম জিয়াকে অবশ্যই বিদেশ পাঠাতে হবে, নইলে তাকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তখনও আমাদের দেশে চিকিৎসা নিয়েই তিনি ভালো হয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। তখনকার মতো এখনও তারা একই ধুঁয়া তুলছেন। আসলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার দাবিটা তার স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, এই পুরো দাবিটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’

খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে বিএনপির সাংসদদের পদত্যাগের সম্ভবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা সব মিলিয়ে ছয়জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। তাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে যে, দেশে আর কোনো সমস্যা নিয়ে তারা চিন্তিত নয়। দেশে আর কোনো সমস্যা নেই, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যটাই একমাত্র সমস্যা, এটি নিয়েই তারা ব্যস্ত আছে।’

বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত বহুবার তারা এ ধরনের দাবি করেছেন। মাঝে মধ্যে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। এবার যদি এ ধরনের বিশৃঙ্খলা চালানোর অপচেষ্টা করা হয়, জনগণ সেটি কঠোর হস্তে প্রতিহত করবে এবং সরকার জনগণের সঙ্গে থাকবে।’

সাংবাদিক রিশাদ হুদার ওপর হামলা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং অভিযুক্তকে আদালত জামিনও দেননি, জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। বিষয়টা আমরা মনিটর করছি, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।’

৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা ও গ্রাহকদের সেট টপ বক্স নেওয়ার অগ্রগতি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসিনি, খুব শিগগিরই কেবল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে বসে আমরা অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব । অবশ্যই জনগণের ওপর যাতে চাপ তৈরি না হয়, বেশি দামে যাতে সেট টপ বক্স কিনতে বাধ্য করা না হয়, সেগুলো আমরা মনিটর করব।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা সবাই ডাক্তার -তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৯:১১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

ঢাকা ব্যুরো।। খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য বিএনপির দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা সবাই ডাক্তার হয়ে গেছেন।’

আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

একজন দণ্ডপ্রাপ্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বিদেশ পাঠানোর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের যে দাবি সেটি সরকারের মানার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা তিনি পান, সেটি নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সব চিকিৎসক দিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড হতে পারে, সেই বোর্ড পরামর্শ দিতে পারে।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, রিজভী আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেবসহ বিএনপির নেতারা এখন ডাক্তার হয়ে গেছেন। আ স ম রব সাহেবও এখন বড় ডাক্তার, মান্না সাহেবও ডাক্তার। তারা এখন ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। তারাই বলছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া জীবন মরণাপন্ন বা সংকটাপন্ন, এভারকেয়ার হাসপাতাল বা কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কিছু বলেননি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম জিয়া আগেও অসুস্থ হয়েছিলেন, তখনও বিএনপি ধুঁয়া তুলেছিল যে, বেগম জিয়াকে অবশ্যই বিদেশ পাঠাতে হবে, নইলে তাকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তখনও আমাদের দেশে চিকিৎসা নিয়েই তিনি ভালো হয়ে বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন। তখনকার মতো এখনও তারা একই ধুঁয়া তুলছেন। আসলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার দাবিটা তার স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, এই পুরো দাবিটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’

খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে বিএনপির সাংসদদের পদত্যাগের সম্ভবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা সব মিলিয়ে ছয়জন সংসদ সদস্য রয়েছেন। তাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে যে, দেশে আর কোনো সমস্যা নিয়ে তারা চিন্তিত নয়। দেশে আর কোনো সমস্যা নেই, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যটাই একমাত্র সমস্যা, এটি নিয়েই তারা ব্যস্ত আছে।’

বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত বহুবার তারা এ ধরনের দাবি করেছেন। মাঝে মধ্যে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালিয়েছেন। এবার যদি এ ধরনের বিশৃঙ্খলা চালানোর অপচেষ্টা করা হয়, জনগণ সেটি কঠোর হস্তে প্রতিহত করবে এবং সরকার জনগণের সঙ্গে থাকবে।’

সাংবাদিক রিশাদ হুদার ওপর হামলা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এ নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে এবং অভিযুক্তকে আদালত জামিনও দেননি, জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। বিষয়টা আমরা মনিটর করছি, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।’

৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে কেবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা ও গ্রাহকদের সেট টপ বক্স নেওয়ার অগ্রগতি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসিনি, খুব শিগগিরই কেবল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে বসে আমরা অগ্রগতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব । অবশ্যই জনগণের ওপর যাতে চাপ তৈরি না হয়, বেশি দামে যাতে সেট টপ বক্স কিনতে বাধ্য করা না হয়, সেগুলো আমরা মনিটর করব।