মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বিদায় বেলায় অশ্রুসিক্ত ক্ষেতলালের ইউএনও 

শাহিনুর ইসলাম শাহিন, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) ।।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এফ.এম আবু সুফিয়ান, অবশেষে উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, রাজনৈতিক মহল, সাংবাদিকবৃন্দ সহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ অশ্রুসিক্ত ফুলেল ভালোবাসায় বিদায় নিয়ে গলে গেলেন।
বিদায়ী ইউএনও তার কর্মের প্রতি ছিল একাগ্রতা , দায়িত্বের প্রতি ছিলেন নিষ্ঠাবান। তিনি কোন ক্ষমতার দম্ভ দেখাননি, ক্ষেতলালের সাধারণ মানুষের জন্য তার  কার্যালয় ছিল উন্মুক্ত , যে  কোনো শ্রেণী পেশার মানুষের কথা তিনি গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। সাধ্যমত নিয়মের মধ্যে থেকে সমাধানের চেষ্টা করতেন,  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলের সাথে দক্ষ প্রশাসনিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ক্ষেতলাল উপজেলা প্রশাসনে তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিগত করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং সরকারি সেবা তিনি সাধারণ জনগণের মাঝে পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন। জাতীয় দিবসগুলি অত্যন্ত দক্ষতার সহিত পালন করেছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের সহকর্মী কর্মকর্তা-কর্মচারী,সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের হৃদয়ে  এক অনন্য উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছিলেন।” তিনি আর কেউ নন ক্ষেতলালের বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এফ.এম আবু সুফিয়ান।
জানা গেছে, গত (১৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার তিনি শেষ কর্মদিবস পালন করেন। ( ১৭ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার বিকেল ৪ টায় ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলের নেতৃত্বে ক্ষেতলালবাসীর পক্ষ থেকে ইউএনও আবু সুফিয়ানকে বর্ণাঢ্য বিদায়ী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে
আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় জানানো হয়।
আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) রবিবার সকাল ৮ টায় তিনি ক্ষেতলালের মাটি ছেড়ে চলে যান, এসময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিদায়কালীন সময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, তিনি বিদায় কালীন সময়ে আবেগ তাড়িত অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, ক্ষেতলালবাসীকে তিনি মনে রাখবেন সারা জীবন ।
ইতিপূর্বে ইউএনও আবু সুফিয়ানের বিদায় এর  খবর ক্ষেতলালে ছড়িয়ে পড়লে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ স্তব্ধ হয়ে পড়েন এবং বেশকিছু ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের  টাইমলাইন জুড়ে শুধু ক্ষেতলালের ইউএনও এর বিদায়ের খবর পোস্ট হতে থাকে,যোগদানের এক বছর তিন মাসের মধ্যেই তিনি সকলের প্রিয় ভাজন হয়ে ওঠেন। উপজেলা অফিসার্স ক্লাব,রাজনৈতিক সংগঠন,বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন , স্থানীয় প্রেসক্লাব ,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য সুধীজন ইউএনও আবু সুফিয়ান এর সাথে দেখা করে ফুল, ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার  দিয়ে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানান।
আরো জানা যায়,  বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এফ.এম আবু সুফিয়ান তার উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ইংল্যান্ড গমন করছেন। তাঁর জন্ম ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন সহজ, সরল, সৎ,ও অত্যন্ত মেধাবী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ থেকে শিক্ষা সমাপ্তির পর ৩৩ তম বিসিএস সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে  নিয়োগ লাভ করেন এবং যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে  প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। গত ২২ জুন ২০২০ সালে প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ক্ষেতলালে যোগদান করেন।
বিদায়ী ইউএনও’র চলে যাওয়ার বিষয়ে সাক্ষাৎকারে আবেগ তাড়িত হয়ে তিনি বলেন,”আমি চেষ্টা করেছি সরকারি নির্দেশনা মেনে আমার দায়িত্ব পালন করতে । এক্ষেত্রে ক্ষেতলালের জনগন ও সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা এবং সমর্থন ছিল , পেয়েছি সকলের নিরন্তর ভালোবাসা,ক্ষেতলালে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি ,আমি মনে করি এটি আমার চাকরি জীবনের সেরা সঞ্চয়,এজন্য  ক্ষেতলালবাসীর নিকট  কৃতজ্ঞ।”
বিদায়ী ইউএনও  সম্পর্কে বলতে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল বলেন, “যে কোনো সময়ের চাইতে বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এফ.এম আবু সুফিয়ানকে নিয়ে কাজ করে আমি পরিতৃপ্ত হয়েছি, উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধন করেছি, আমি তার শিক্ষা জীবনের সাফল্য কামনা করছি।”
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন  কর্মকর্তা রুহুল আমিন পাপন বলেন, স্যার উচ্চতর  শিক্ষা অর্জনের জন্য সস্ত্রীক ইংল্যান্ড  যাচ্ছেন, তিনি অনেক ভাল মানুষ ছিলেন, আমরা একজন  সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাকে বিদায়  জানালাম।
ক্ষেতলালের মানবাধিকার কর্মী রানা চৌধুরী  আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, বিদায়ী ইউএনও স্যার আমাদের যে কোন মানবিক কাজে দিনে ও রাতে সমানভাবে সাড়া দিয়েছেন। আমরা একজন মানবিক ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাকে হারালাম ।
ক্ষেতলাল রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান অশ্রুসজল নয়নে  বলেন, ক্ষেতলালের বিদায়ী ইউএনও মহোদয় সাংবাদিক বান্ধব সৎ কর্মকর্তা ছিলেন, সাংবাদিকদের সাথে  তিনি সবসময়  ভাল আচরণ করেছেন।
ক্ষেতলাল উপজেলা  পরিষদের সিএ এসএম শওকত বলেন,কিছু কিছু মানুষের সাথে একটা আত্মার ও ভালবাসার বন্ধন তৈরী হয়। প্রিয় স্যারের সাথে তেমনই একটা বন্ধন তৈরি হয়েছিল আমাদের এবং ক্ষেতলালবাসীর। যা বহুকাল ক্ষেতলালবাসী হৃদয়ে লালন করবে।

বিদায় বেলায় অশ্রুসিক্ত ক্ষেতলালের ইউএনও 

প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
শাহিনুর ইসলাম শাহিন, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) ।।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এফ.এম আবু সুফিয়ান, অবশেষে উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী, রাজনৈতিক মহল, সাংবাদিকবৃন্দ সহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ অশ্রুসিক্ত ফুলেল ভালোবাসায় বিদায় নিয়ে গলে গেলেন।
বিদায়ী ইউএনও তার কর্মের প্রতি ছিল একাগ্রতা , দায়িত্বের প্রতি ছিলেন নিষ্ঠাবান। তিনি কোন ক্ষমতার দম্ভ দেখাননি, ক্ষেতলালের সাধারণ মানুষের জন্য তার  কার্যালয় ছিল উন্মুক্ত , যে  কোনো শ্রেণী পেশার মানুষের কথা তিনি গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। সাধ্যমত নিয়মের মধ্যে থেকে সমাধানের চেষ্টা করতেন,  উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলের সাথে দক্ষ প্রশাসনিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ক্ষেতলাল উপজেলা প্রশাসনে তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বিগত করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এবং সরকারি সেবা তিনি সাধারণ জনগণের মাঝে পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন। জাতীয় দিবসগুলি অত্যন্ত দক্ষতার সহিত পালন করেছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের সহকর্মী কর্মকর্তা-কর্মচারী,সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণের হৃদয়ে  এক অনন্য উচ্চতায় স্থান করে নিয়েছিলেন।” তিনি আর কেউ নন ক্ষেতলালের বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এফ.এম আবু সুফিয়ান।
জানা গেছে, গত (১৬ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার তিনি শেষ কর্মদিবস পালন করেন। ( ১৭ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার বিকেল ৪ টায় ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডলের নেতৃত্বে ক্ষেতলালবাসীর পক্ষ থেকে ইউএনও আবু সুফিয়ানকে বর্ণাঢ্য বিদায়ী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে
আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় জানানো হয়।
আজ (১৯ সেপ্টেম্বর) রবিবার সকাল ৮ টায় তিনি ক্ষেতলালের মাটি ছেড়ে চলে যান, এসময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিদায়কালীন সময় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, তিনি বিদায় কালীন সময়ে আবেগ তাড়িত অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, ক্ষেতলালবাসীকে তিনি মনে রাখবেন সারা জীবন ।
ইতিপূর্বে ইউএনও আবু সুফিয়ানের বিদায় এর  খবর ক্ষেতলালে ছড়িয়ে পড়লে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ স্তব্ধ হয়ে পড়েন এবং বেশকিছু ধরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের  টাইমলাইন জুড়ে শুধু ক্ষেতলালের ইউএনও এর বিদায়ের খবর পোস্ট হতে থাকে,যোগদানের এক বছর তিন মাসের মধ্যেই তিনি সকলের প্রিয় ভাজন হয়ে ওঠেন। উপজেলা অফিসার্স ক্লাব,রাজনৈতিক সংগঠন,বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন , স্থানীয় প্রেসক্লাব ,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য সুধীজন ইউএনও আবু সুফিয়ান এর সাথে দেখা করে ফুল, ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার  দিয়ে অশ্রুসিক্ত বিদায় জানান।
আরো জানা যায়,  বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এফ.এম আবু সুফিয়ান তার উচ্চ শিক্ষার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ইংল্যান্ড গমন করছেন। তাঁর জন্ম ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার বড়গ্রাম ইউনিয়নের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছিলেন সহজ, সরল, সৎ,ও অত্যন্ত মেধাবী। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ থেকে শিক্ষা সমাপ্তির পর ৩৩ তম বিসিএস সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে  নিয়োগ লাভ করেন এবং যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে  প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। গত ২২ জুন ২০২০ সালে প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ক্ষেতলালে যোগদান করেন।
বিদায়ী ইউএনও’র চলে যাওয়ার বিষয়ে সাক্ষাৎকারে আবেগ তাড়িত হয়ে তিনি বলেন,”আমি চেষ্টা করেছি সরকারি নির্দেশনা মেনে আমার দায়িত্ব পালন করতে । এক্ষেত্রে ক্ষেতলালের জনগন ও সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা এবং সমর্থন ছিল , পেয়েছি সকলের নিরন্তর ভালোবাসা,ক্ষেতলালে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি ,আমি মনে করি এটি আমার চাকরি জীবনের সেরা সঞ্চয়,এজন্য  ক্ষেতলালবাসীর নিকট  কৃতজ্ঞ।”
বিদায়ী ইউএনও  সম্পর্কে বলতে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল বলেন, “যে কোনো সময়ের চাইতে বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এফ.এম আবু সুফিয়ানকে নিয়ে কাজ করে আমি পরিতৃপ্ত হয়েছি, উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে উপজেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধন করেছি, আমি তার শিক্ষা জীবনের সাফল্য কামনা করছি।”
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন  কর্মকর্তা রুহুল আমিন পাপন বলেন, স্যার উচ্চতর  শিক্ষা অর্জনের জন্য সস্ত্রীক ইংল্যান্ড  যাচ্ছেন, তিনি অনেক ভাল মানুষ ছিলেন, আমরা একজন  সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তাকে বিদায়  জানালাম।
ক্ষেতলালের মানবাধিকার কর্মী রানা চৌধুরী  আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, বিদায়ী ইউএনও স্যার আমাদের যে কোন মানবিক কাজে দিনে ও রাতে সমানভাবে সাড়া দিয়েছেন। আমরা একজন মানবিক ও নিষ্ঠাবান কর্মকর্তাকে হারালাম ।
ক্ষেতলাল রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান অশ্রুসজল নয়নে  বলেন, ক্ষেতলালের বিদায়ী ইউএনও মহোদয় সাংবাদিক বান্ধব সৎ কর্মকর্তা ছিলেন, সাংবাদিকদের সাথে  তিনি সবসময়  ভাল আচরণ করেছেন।
ক্ষেতলাল উপজেলা  পরিষদের সিএ এসএম শওকত বলেন,কিছু কিছু মানুষের সাথে একটা আত্মার ও ভালবাসার বন্ধন তৈরী হয়। প্রিয় স্যারের সাথে তেমনই একটা বন্ধন তৈরি হয়েছিল আমাদের এবং ক্ষেতলালবাসীর। যা বহুকাল ক্ষেতলালবাসী হৃদয়ে লালন করবে।