বার্তাকণ্ঠ ডেস্ক ##
বাঙালি বৃষ্টিপ্রিয়। নাগরিক কর্মব্যস্ততায় কংক্রিটে আবদ্ধ শহরে বসবাসকারী অনেকে বৃষ্টির ভেতর খুঁজে ফেরেন সজীবতার আমেজ। বৃষ্টিতে ভিজে যারা রোমাঞ্চকর অনুভূতি খুঁজে পেতে চান, তাদের করোনাকালে সর্তক হওয়া উচিত।
বৃষ্টির দিনগুলোতে প্রকৃতিতে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। এই ঠাণ্ডা-গরম আবহাওয়া দেহের জন্য স্বস্তিদায়ক নয়। বৃষ্টির পানিতে জ্বর, হাঁচি, কাশি, সর্দি, মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, খোস-পাঁচড়া সহ ত্বকের নানা রকম অসুখ-বিসুখ হতে পারে। আর এসবগুলোই করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ। তাই বৃষ্টিতে ভিজে করোনাকে ঘরে ডেকে আনছেন কিনা অন্তত একবার ভেবে দেখুন।
অন্যদিকে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, বিশেষ করে শিশু, বয়স্করা এবং দীর্ঘদিন ধরে যারা ডায়াবেটিস, কিডনি রোগে ভুগছেন তাদের বৃষ্টিতে যখনতখন ভেজা একদমই ঠিক নয়। প্রাথমিকভাবে জ্বর, সর্দি, কাশি সিজোনাল ফ্লু’র অংশ হলেও এখন এই উপসর্গগুলোর নাম আতঙ্ক সৃষ্টি করছে করোনার সংক্রমণের বিষয়ে।
বৃষ্টির দিনগুলো স্যাঁতসেঁতে ও ভেজা আবহাওয়ার কারণে ত্বকে খোসপাঁচড়া, ফাঙ্গাল ইনফেকশন, প্যারনাইকিয়া, স্ক্যাবিজ জাতীয় কিছু ছত্রাক অসুখ হয়ে থাকে। যেখানে এই সময়ে ছত্রাকের নাম শুনলেই সবাই আঁতকে উঠছে সেখানে বৃষ্টিতে ভিজে অযথা ইনফেকশন কেন ডেকে আনবেন।
তাই এ সময়টাতে বৃষ্টিতে ভিজে রোগাক্রান্ত হওয়ার চেয়ে না ভেজাই ভালো। যদি কর্মক্ষেত্র থেকে বাসায় ফিরতে বা অন্য কোনো অনাকাঙ্খিত কারেণ ভিজতে হয়, এবং তারপর বেশ কয়েকদিন ধরে যদি জ্বর, হাঁচি, কাশি, সর্দি, মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, খোস-পাঁচড়া সহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে থাকেন, তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। মনে রাখবেন, করোনাকালে আপনি সুরক্ষিত তো আপনার প্রিয়জনেরা সুরক্ষিত।