মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ মাথাব্যথা-গলাব্যথা ও সর্দি

রায়হান সোবহান ##

গবেষকরা বলছেন, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সাধারণ উপসর্গ মাথাব্যথা, গলাব্যথা আর নাক দিয়ে সর্দি পড়া।

যদিও তাদের খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই, তবে তারা সংক্রামক হতে পারে এবং অন্যদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

যে কারও যদি সন্দেহ হয় যে, তিনি হয়তো কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন, তা হলে তার অবশ্যই টেস্ট করানো উচিত।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এনএইচএসের মতে সাধারণত কোভিডের যে উপসর্গ দেখা যায় তা হলো— কাশি, জ্বর, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া।

কিন্তু অধ্যাপক স্পেক্টর বলছেন, এই উপসর্গগুলো এখন আর তেমন দেখা যাচ্ছে না। কোভিড আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষের উপসর্গভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে এমনটি জানিয়েছে।

তিনি বলেন, মে মাসের শুরু থেকে সবচেয়ে বেশি যে উপসর্গগুলো দেখা গেছে সেগুলো আগের উপসর্গগুলোর মতো নয়।

এই পরিবর্তন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের কারণে হয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথম ভারতে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং এর পর থেকে যুক্তরাজ্যে এখন ৯০ শতাংশ সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি।

জ্বরের উপসর্গ এখনও একই আছে। কিন্তু প্রথম ১০টির মধ্যে এখন গন্ধ না পাওয়ার উপসর্গটি আর নেই, বলেন অধ্যাপক স্পেক্টর।

মানুষের মনে হতে পারে যে, তারা হয়তো সাধারণ মৌসুমি ঠাণ্ডা লাগায় আক্রান্ত হয়েছে এবং এটা ভেবে তারা বাইরে বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিচ্ছে। এভাবে তারা আরও ছয়জনের মধ্যে এটি ছড়িয়ে দিতে পারে।

আমরা মনে করি এটা খুব বড় সমস্যার দিকে এগোচ্ছে। এখানে বার্তাটি হচ্ছে আপনি যদি তরুণ হয়ে থাকেন তা হলে আপনার মৃদু উপসর্গ দেখা দেবে।

মনে হতে পারে যে, আপনার হয়তো বাজে ধরনের ঠাণ্ডা লেগেছে এবং আপনি হয়তো নেতিয়ে পড়ছেন; কিন্তু বাড়িতে থাকুন ও টেস্ট করান।

একইভাবে যুক্তরাজ্যে যখন আলফা বা যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্টের আধিপত্য ছিল, তখন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন একটি রিঅ্যাক্ট স্টাডি করেছিল ইংল্যান্ডের প্রায় ১০ লাখ মানুষের ওপর। সেখানে তারা কোভিডের সঙ্গে সম্পর্কিত আরও অনেক উপসর্গ পেয়েছিলেন।

কোভিডের অন্য উপসর্গের পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ হিসেবে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ক্ষুধামন্দা, মাথাব্যথা এবং পেশি ব্যথারও উল্লেখ পাওয়া গেছে।

কোভিডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গগুলো হচ্ছে— নতুন করে ক্রমাগত কাশি, শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা ও স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের লক্ষণ মাথাব্যথা-গলাব্যথা ও সর্দি

প্রকাশের সময় : ১১:০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১

রায়হান সোবহান ##

গবেষকরা বলছেন, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সাধারণ উপসর্গ মাথাব্যথা, গলাব্যথা আর নাক দিয়ে সর্দি পড়া।

যদিও তাদের খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই, তবে তারা সংক্রামক হতে পারে এবং অন্যদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।

যে কারও যদি সন্দেহ হয় যে, তিনি হয়তো কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন, তা হলে তার অবশ্যই টেস্ট করানো উচিত।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এনএইচএসের মতে সাধারণত কোভিডের যে উপসর্গ দেখা যায় তা হলো— কাশি, জ্বর, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া।

কিন্তু অধ্যাপক স্পেক্টর বলছেন, এই উপসর্গগুলো এখন আর তেমন দেখা যাচ্ছে না। কোভিড আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষের উপসর্গভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে এমনটি জানিয়েছে।

তিনি বলেন, মে মাসের শুরু থেকে সবচেয়ে বেশি যে উপসর্গগুলো দেখা গেছে সেগুলো আগের উপসর্গগুলোর মতো নয়।

এই পরিবর্তন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের কারণে হয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথম ভারতে শনাক্ত করা হয়েছিল এবং এর পর থেকে যুক্তরাজ্যে এখন ৯০ শতাংশ সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি।

জ্বরের উপসর্গ এখনও একই আছে। কিন্তু প্রথম ১০টির মধ্যে এখন গন্ধ না পাওয়ার উপসর্গটি আর নেই, বলেন অধ্যাপক স্পেক্টর।

মানুষের মনে হতে পারে যে, তারা হয়তো সাধারণ মৌসুমি ঠাণ্ডা লাগায় আক্রান্ত হয়েছে এবং এটা ভেবে তারা বাইরে বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিচ্ছে। এভাবে তারা আরও ছয়জনের মধ্যে এটি ছড়িয়ে দিতে পারে।

আমরা মনে করি এটা খুব বড় সমস্যার দিকে এগোচ্ছে। এখানে বার্তাটি হচ্ছে আপনি যদি তরুণ হয়ে থাকেন তা হলে আপনার মৃদু উপসর্গ দেখা দেবে।

মনে হতে পারে যে, আপনার হয়তো বাজে ধরনের ঠাণ্ডা লেগেছে এবং আপনি হয়তো নেতিয়ে পড়ছেন; কিন্তু বাড়িতে থাকুন ও টেস্ট করান।

একইভাবে যুক্তরাজ্যে যখন আলফা বা যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্টের আধিপত্য ছিল, তখন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডন একটি রিঅ্যাক্ট স্টাডি করেছিল ইংল্যান্ডের প্রায় ১০ লাখ মানুষের ওপর। সেখানে তারা কোভিডের সঙ্গে সম্পর্কিত আরও অনেক উপসর্গ পেয়েছিলেন।

কোভিডের অন্য উপসর্গের পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ হিসেবে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ক্ষুধামন্দা, মাথাব্যথা এবং পেশি ব্যথারও উল্লেখ পাওয়া গেছে।

কোভিডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপসর্গগুলো হচ্ছে— নতুন করে ক্রমাগত কাশি, শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা ও স্বাদ বা গন্ধ না পাওয়া।