মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভালো নেই বাঁশশিল্পের কারিগররা

নীলফামারী প্রতিনিধি ।।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের বাঁশশিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা ভালো নেই। ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে নিপুণ হাতে কারুকাজের মাধ্যমে বাঁশ দিয়ে তৈরি করে থাকেন গৃহস্থালি পরিবারের পণ্যসামগ্রী। তাদের জীবন জীবিকার হাতিয়ার হচ্ছে বাঁশ। দিন যতই যাচ্ছে ততই বাড়ছে আধুনিকতা; কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁশশিল্প। 

সদর ইউপির কেশবা যুগি পাড়া বাঁশ পল্লী নামে পরিচিত গ্রামটিতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানকার অর্ধশতাধিক পরিবার এ পেশায় জড়িত থেকে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসলেও ইতিমধ্যে অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছে।

সুভা রাণী, সুমিত্রা রানী, অমল চন্দ্র দাস জানান, প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব, বাঁশের সংকট, ন্যায্য বাজার মূল্য,বাজারে প্লাস্টিক পণ্যে সয়লাবের কারণে আমাদের বাপ-দাদার পেশার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। নানামুখী সংকটের মাঝেও বাপ দাদার পেশা ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হাট-বাজারে বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ কেনাই দায় হয়ে গেছে। সরকারি- বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে অদূর ভবিষ্যতে এ পেশা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। এই শিল্প রক্ষায় সরকারের সহযোগিতা চান সকলেই।

ভালো নেই বাঁশশিল্পের কারিগররা

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুলাই ২০২১

নীলফামারী প্রতিনিধি ।।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের বাঁশশিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগররা ভালো নেই। ভালোবাসা ও মমতা দিয়ে নিপুণ হাতে কারুকাজের মাধ্যমে বাঁশ দিয়ে তৈরি করে থাকেন গৃহস্থালি পরিবারের পণ্যসামগ্রী। তাদের জীবন জীবিকার হাতিয়ার হচ্ছে বাঁশ। দিন যতই যাচ্ছে ততই বাড়ছে আধুনিকতা; কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঁশশিল্প। 

সদর ইউপির কেশবা যুগি পাড়া বাঁশ পল্লী নামে পরিচিত গ্রামটিতে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানকার অর্ধশতাধিক পরিবার এ পেশায় জড়িত থেকে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসলেও ইতিমধ্যে অনেকে পেশা পরিবর্তন করেছে।

সুভা রাণী, সুমিত্রা রানী, অমল চন্দ্র দাস জানান, প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব, বাঁশের সংকট, ন্যায্য বাজার মূল্য,বাজারে প্লাস্টিক পণ্যে সয়লাবের কারণে আমাদের বাপ-দাদার পেশার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। নানামুখী সংকটের মাঝেও বাপ দাদার পেশা ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হাট-বাজারে বিক্রি করে যে টাকা আয় হয় তা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষ কেনাই দায় হয়ে গেছে। সরকারি- বেসরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে অদূর ভবিষ্যতে এ পেশা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। এই শিল্প রক্ষায় সরকারের সহযোগিতা চান সকলেই।