শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাজাগতিক ধান চাষে মনোযোগ চীনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
২০২০ সালের নভেম্বরে ২৩ দিনের অভিযানে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে এসেছিল চীনা মহাকাশযান চ্যাঙ’ই-৫-এর মডিউল। সেই মডিউলের ভেতরে রাখা ছিল ৪০ গ্রাম সাধারণ ধান। মহাকাশে রেডিয়েশন, ভারহীন অবস্থায় থাকায় তার কী প্রভাব পড়ে, সেটা জানার চেষ্টাই এর কারণ। সেই ‘মহাজাগতিক’ ধান থেকে চারা বানিয়ে এবার তা থেকেই ধান চাষ করেছেন গবেষকরা।
গুয়াংডং প্রদেশে সাউথ চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিতে এই বিশেষ ধান থেকে চারা তৈরি করে ধান উৎপাদন করা হয়েছে। এবার এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বীজগুলো থেকে গবেষণাগারে ফের গাছ করা হবে। তারপর গবেষণা শেষে সেই ধানের বীজ মাঠ পর্যায়ে চাষের জন্য বণ্টন করা হবে। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও স্পেস রাইস নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করেছে চিন।
মহাকাশে বহুদিন ধরেই বিভিন্ন বীজ পাঠাচ্ছে চীন। এর পেছনের মূল উদ্দেশ্য হলো মিউটেশন ঘটানো। ভারহীন অবস্থায় এবং বিকিরণের ফলে এমন মিউটেশন ঘটতে পারে যা থেকে বদলে যেতে পারে বীজের চরিত্র। তার থেকে হওয়া গাছে হতে পারে বেশি ফলন।
১৯৮৭ সাল থেকেই মহাকাশে বীজ পাঠাচ্ছে চীন। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে, এ পর্যন্ত আনুমানিক দুই শতাধিক প্রজাতির বীজ পাঠিয়েছে দেশটি। এর মধ্যে আছে কার্পাস, টমেটোর মতো উদ্ভিদের বীজও।
২০১৮ সালের সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২ দশমিক ৪ মিলিয়নেরও বেশি হেক্টরজুড়ে এই মহাজাগতিক বীজ থেকে চাষ করছে চীন। চাইনিজ মিডিয়ায় এই ধানের নাম দেওয়া হয়েছে স্বর্গীয় চাল। অন্তত আরও তিন থেকে চার গবেষণার পর এই চাল বাজারে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

মহাজাগতিক ধান চাষে মনোযোগ চীনের

প্রকাশের সময় : ০৭:০৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
২০২০ সালের নভেম্বরে ২৩ দিনের অভিযানে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে এসেছিল চীনা মহাকাশযান চ্যাঙ’ই-৫-এর মডিউল। সেই মডিউলের ভেতরে রাখা ছিল ৪০ গ্রাম সাধারণ ধান। মহাকাশে রেডিয়েশন, ভারহীন অবস্থায় থাকায় তার কী প্রভাব পড়ে, সেটা জানার চেষ্টাই এর কারণ। সেই ‘মহাজাগতিক’ ধান থেকে চারা বানিয়ে এবার তা থেকেই ধান চাষ করেছেন গবেষকরা।
গুয়াংডং প্রদেশে সাউথ চায়না এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটিতে এই বিশেষ ধান থেকে চারা তৈরি করে ধান উৎপাদন করা হয়েছে। এবার এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বীজগুলো থেকে গবেষণাগারে ফের গাছ করা হবে। তারপর গবেষণা শেষে সেই ধানের বীজ মাঠ পর্যায়ে চাষের জন্য বণ্টন করা হবে। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও স্পেস রাইস নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করেছে চিন।
মহাকাশে বহুদিন ধরেই বিভিন্ন বীজ পাঠাচ্ছে চীন। এর পেছনের মূল উদ্দেশ্য হলো মিউটেশন ঘটানো। ভারহীন অবস্থায় এবং বিকিরণের ফলে এমন মিউটেশন ঘটতে পারে যা থেকে বদলে যেতে পারে বীজের চরিত্র। তার থেকে হওয়া গাছে হতে পারে বেশি ফলন।
১৯৮৭ সাল থেকেই মহাকাশে বীজ পাঠাচ্ছে চীন। ব্লুমবার্গের রিপোর্ট বলছে, এ পর্যন্ত আনুমানিক দুই শতাধিক প্রজাতির বীজ পাঠিয়েছে দেশটি। এর মধ্যে আছে কার্পাস, টমেটোর মতো উদ্ভিদের বীজও।
২০১৮ সালের সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২ দশমিক ৪ মিলিয়নেরও বেশি হেক্টরজুড়ে এই মহাজাগতিক বীজ থেকে চাষ করছে চীন। চাইনিজ মিডিয়ায় এই ধানের নাম দেওয়া হয়েছে স্বর্গীয় চাল। অন্তত আরও তিন থেকে চার গবেষণার পর এই চাল বাজারে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।