আন্তর্জাতিক ডেস্ক ##
সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মালির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সাবেক জান্তাপ্রধান কর্নেল আসিমি গোইতা নিজেকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন। এই অবস্থায় পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটির সাংবিধানিক সরকার না থাকায় সদস্যপদ বাতিল করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, পূর্বের স্বাভাবিক অবস্থায় সাংবিধানিক সরকার গঠিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত আফ্রিকান ইউনিয়নের সকল কার্যক্রম থেকে মালিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে অভ্যুথানকারী সেনাবাহিনীর সদস্যদের ব্যারাকে ফেরত যেতে আহ্বান জানানো হয়েছে।
পরবর্তীতে সামরিক বাহিনী যেন মালির রাজনৈতিক ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করে সে ব্যাপারে সতর্ক করেন আফ্রিকার এই বৃহৎ সংস্থাটি। এই মুহুর্তে সেনাবাহিনী যদি দেশের নেতাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা প্রয়োগে দ্বিধা করবে না বলে হুশিয়ার করে দিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন।
সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত সোমবার প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী মোখতার উয়ানকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। এরপর গত বৃহস্পতিবার তাদেরকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করিয়ে আসিমি গোইতা অন্তর্বর্তীকালীন নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন।
মালিতে গত বছরের আগস্টে এক সামরিক অভ্যুত্থানের পর বেসামরিক শাসনব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছিলেন প্রেসিডেন্ট এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী উয়ানে। সেই সামরিক অভ্যুত্থানের নেতা ছিলেন কর্নেল আসিমি গোইতা। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে আবার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে।
সোমবারের সামরিক অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টা আগেই অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রিসভায় এক রদবদল হয়। গোইতার অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো সলাপরামর্শ করা হয়নি। এই রদবদলে দুই সেনা কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছিলেন।
গোইতা বলেন, প্রেসিডেন্ট বাহ এনদাও ও প্রধানমন্ত্রী মোখতার উয়ানে তাঁদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরকে বানচালের চেষ্টা করেছেন।
এ ঘটনায় জাতিসংঘ, দ্য ইকোনমি কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেট (ইকোওয়াস), ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক নিন্দা ও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে মালি।