শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে ভেজাল মবিল কারাখানায় পুলিশের হানা, মোড়কসহ মবিল জব্দ

যশোর অফিস।।

যশোর শহরে বকচর চৌধুরী পাড়ায় একটি ভেজাল লুব্রিকেন্ট ওয়েল (মবিল) কারখানার সন্ধান পেয়ে কোতয়ালি থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর। ওই এলাকার কাজী ফয়সাল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে সাগর (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ভেজাল মবিল কারখানা গড়ে তোলে।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভেজাল মবিল ও মবিল তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেন তিনি। তবে সাগর পাঠিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। সাগর নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের মুত শেখ শাহজাহানের ছেলে। বর্তমানে তিনি যশোর শহরের সিটি কলেজপাড়ার লিটুর বাড়িতে ভাড়া থাকে। এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এসআই সেকেন্দার আবু জাফর এজাহারে উল্লেখ করেছেন, সাগর দীর্ঘদিন ধরে বকচর এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে গোপনে ভেজাল মবিল কারাখানা গড়ে তোলে। ওই ভেজাল মবিল তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করতেন। মবিলের ক্যান দেখলে মনে হবে আসল মবিল। বোতলও বিশেষ কায়দায় ইনট্যাক করা। পৃথিবীর বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানি যেমন ক্যাসট্রোল, সুপার-৪, সুপার-ভি, ইয়ামা, টোটাল, গালফ, বাজাজ, হোন্ডা প্রভৃতি কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে ভেজাল মবিল বিক্রি করে আসছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযানের সংবাদ আগেই টেরপেয়ে সাগর পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল মবিল, বোতল ও মোড়ক জব্দ করা হয়েছে।
তবে ওই এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, বকচর এলাকায় আরো বেশ কয়েকজন গোপনে ভেজাল মবিল তৈরি করে তা বাজারজাত করে। গত সপ্তাহে র‌্যাবের একটি টিম একটি ভেজাল কারখানায় অভিযান চালিয়ে এক ভেজাল কারবারিকে আড়াই লাখ টাকা জারিমানা করেছিলো। এরপর থেকে অনেকে আরো গোপনীয়তা অবলম্বর করে ভেজাল মবিল তৈরি করছে।

যশোরে ভেজাল মবিল কারাখানায় পুলিশের হানা, মোড়কসহ মবিল জব্দ

প্রকাশের সময় : ১০:৩১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

যশোর অফিস।।

যশোর শহরে বকচর চৌধুরী পাড়ায় একটি ভেজাল লুব্রিকেন্ট ওয়েল (মবিল) কারখানার সন্ধান পেয়ে কোতয়ালি থানার এসআই সেকেন্দার আবু জাফর। ওই এলাকার কাজী ফয়সাল ইসলামের বাড়ি ভাড়া নিয়ে সাগর (৪৫) নামে এক ব্যক্তি ভেজাল মবিল কারখানা গড়ে তোলে।
গত মঙ্গলবার গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভেজাল মবিল ও মবিল তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করেন তিনি। তবে সাগর পাঠিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি। সাগর নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের মুত শেখ শাহজাহানের ছেলে। বর্তমানে তিনি যশোর শহরের সিটি কলেজপাড়ার লিটুর বাড়িতে ভাড়া থাকে। এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এসআই সেকেন্দার আবু জাফর এজাহারে উল্লেখ করেছেন, সাগর দীর্ঘদিন ধরে বকচর এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে সেখানে গোপনে ভেজাল মবিল কারাখানা গড়ে তোলে। ওই ভেজাল মবিল তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করতেন। মবিলের ক্যান দেখলে মনে হবে আসল মবিল। বোতলও বিশেষ কায়দায় ইনট্যাক করা। পৃথিবীর বিভিন্ন নামি দামি কোম্পানি যেমন ক্যাসট্রোল, সুপার-৪, সুপার-ভি, ইয়ামা, টোটাল, গালফ, বাজাজ, হোন্ডা প্রভৃতি কোম্পানির মোড়ক ব্যবহার করে ভেজাল মবিল বিক্রি করে আসছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু অভিযানের সংবাদ আগেই টেরপেয়ে সাগর পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বিপুল পরিমান ভেজাল মবিল, বোতল ও মোড়ক জব্দ করা হয়েছে।
তবে ওই এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে, বকচর এলাকায় আরো বেশ কয়েকজন গোপনে ভেজাল মবিল তৈরি করে তা বাজারজাত করে। গত সপ্তাহে র‌্যাবের একটি টিম একটি ভেজাল কারখানায় অভিযান চালিয়ে এক ভেজাল কারবারিকে আড়াই লাখ টাকা জারিমানা করেছিলো। এরপর থেকে অনেকে আরো গোপনীয়তা অবলম্বর করে ভেজাল মবিল তৈরি করছে।