মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রফতানির খবরে ইলিশের কেজি ৮৫০ টাকা 

ছবি: সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট ।।
উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজার নামে পরিচিত চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছবাজারেও বেড়েছে ইলিশের আমদানি। মঙ্গল (২১ সেপ্টেম্বর) ও বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এ বাজারে ইলিশ এসেছে প্রায় দুই হাজার মণ। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়ায় ইলিশের দাম আপাতত কমছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চাঁদপুর বড়স্টেশনের মৎস্য ব্যবসায়ী সাগর হোসেন বলেন, ভারতে মাছ রফতানির অনুমতি দেওয়ায় এলসির মাধ্যমে সে দেশে মাছ যাবে। ইতোমধ্যে চাঁদপুর মাছঘাট থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ কেনা শুরু করেছেন। সে কারণে মাছের দাম তুলনামূলক বেশি।
তিনি বলেন, চাঁদপুর নদী অঞ্চলের ইলিশ খুব কম। তবে হাতিয়া ও কক্সবাজার অঞ্চল থেকে ইলিশের আমদানি বেড়েছে।
বাজারে বর্তমানে ৪০০-৭০০ গ্রামের উপকূলীয় ইলিশ প্রতি মণ ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা (সর্বোচ্চ ৫৫০ টাকা কেজি), ৮০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি মণ ৩০ হাজার থেকে ৩৪ হাজার টাকায় (সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকা কেজি) এবং এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪২ হাজার থেকে ৪৪ হাজার টাকা (সর্বোচ্চ ১১০০ টাকা কেজি) বিক্রি হচ্ছে। তবে চাঁদপুর নদী অঞ্চলের প্রতি মণ ইলিশ আরও প্রায় পাঁচ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আড়তের মালিকরা।
চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ খান বলেন, গত বছর একই সময়ে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। তবে এবার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, খুচরা বাজারে ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের প্রতি কেজি ৬২৫ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৯২৫ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ১০৫০ টাকা এবং এক কেজির ওপরের ইলিশ প্রতি কেজি ১২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড়স্টেশন মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সবে বরাত সরকার বলেন, গত দুইদিন ধরে এখানকার বাজারে দেড় থেকে দুই হাজার মণ ইলিশের আমদানি হয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ কারণে বাজারে ইলিশের আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান বলেন, পুরো মাসের হয়তো ২৫ দিন বাজারে ইলিশ কম এসেছে, কিন্তু মাসের বাকি পাঁচদিনে যে পরিমাণ ইলিশ আসবে তা পুরো মাসের চাহিদা পূরণ করবে। ইলিশের ক্ষেত্রে এমনটিই হয়। কাজেই হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। তাই প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। পুরো অক্টোবর এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করি।
উল্লেখ্য, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২০ সেপ্টেম্বর ৫২ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ মেট্রিক টন করে মোট দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ইলিশ মাছ রফতানি বিষয়ে প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে শর্তসাপেক্ষে ৫২ প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ মাছ ভারতে রফতানির অনুমতি দেওয়া হলো। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির সুযোগ পাবে।

রফতানির খবরে ইলিশের কেজি ৮৫০ টাকা 

প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
ডেস্ক রিপোর্ট ।।
উপকূলীয় এলাকায় জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজার নামে পরিচিত চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছবাজারেও বেড়েছে ইলিশের আমদানি। মঙ্গল (২১ সেপ্টেম্বর) ও বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এ বাজারে ইলিশ এসেছে প্রায় দুই হাজার মণ। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়ায় ইলিশের দাম আপাতত কমছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চাঁদপুর বড়স্টেশনের মৎস্য ব্যবসায়ী সাগর হোসেন বলেন, ভারতে মাছ রফতানির অনুমতি দেওয়ায় এলসির মাধ্যমে সে দেশে মাছ যাবে। ইতোমধ্যে চাঁদপুর মাছঘাট থেকে ব্যবসায়ীরা মাছ কেনা শুরু করেছেন। সে কারণে মাছের দাম তুলনামূলক বেশি।
তিনি বলেন, চাঁদপুর নদী অঞ্চলের ইলিশ খুব কম। তবে হাতিয়া ও কক্সবাজার অঞ্চল থেকে ইলিশের আমদানি বেড়েছে।
বাজারে বর্তমানে ৪০০-৭০০ গ্রামের উপকূলীয় ইলিশ প্রতি মণ ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা (সর্বোচ্চ ৫৫০ টাকা কেজি), ৮০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি মণ ৩০ হাজার থেকে ৩৪ হাজার টাকায় (সর্বোচ্চ ৮৫০ টাকা কেজি) এবং এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ৪২ হাজার থেকে ৪৪ হাজার টাকা (সর্বোচ্চ ১১০০ টাকা কেজি) বিক্রি হচ্ছে। তবে চাঁদপুর নদী অঞ্চলের প্রতি মণ ইলিশ আরও প্রায় পাঁচ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আড়তের মালিকরা।
চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ খান বলেন, গত বছর একই সময়ে এক কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। তবে এবার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, খুচরা বাজারে ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের প্রতি কেজি ৬২৫ টাকা, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৯২৫ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি মণ ১০৫০ টাকা এবং এক কেজির ওপরের ইলিশ প্রতি কেজি ১২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড়স্টেশন মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সবে বরাত সরকার বলেন, গত দুইদিন ধরে এখানকার বাজারে দেড় থেকে দুই হাজার মণ ইলিশের আমদানি হয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ কারণে বাজারে ইলিশের আমদানি বাড়লেও দাম কমেনি।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান বলেন, পুরো মাসের হয়তো ২৫ দিন বাজারে ইলিশ কম এসেছে, কিন্তু মাসের বাকি পাঁচদিনে যে পরিমাণ ইলিশ আসবে তা পুরো মাসের চাহিদা পূরণ করবে। ইলিশের ক্ষেত্রে এমনটিই হয়। কাজেই হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। তাই প্রচুর ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। পুরো অক্টোবর এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করি।
উল্লেখ্য, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ২০ সেপ্টেম্বর ৫২ প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ মেট্রিক টন করে মোট দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ইলিশ মাছ রফতানি বিষয়ে প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে শর্তসাপেক্ষে ৫২ প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ মাছ ভারতে রফতানির অনুমতি দেওয়া হলো। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির সুযোগ পাবে।