বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রশিদ হত্যা: উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে মামলা

মুরাদ হাসান, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি।। 
রূপগঞ্জে আবদুর রশিদ হত্যার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না ওরফে ভিপি সোহেলকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই মো. হানিফ মোল্লা বাদী হয়ে রোববার রাত ১১টায় মামলাটি করেন।
মামলায় শাহরিয়ার পান্নাসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে শাহরিয়ার পান্নার দেহরক্ষী জসিম উদ্দিনের নাম আছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ জানান, এজাহারে নাম থাকায় শনিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আটক পাঁচজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা হলেন মিরকুটিরছেঁও গ্রামের আইয়ুব ভূঁইয়া (৩০), সোয়াইব ভূঁইয়া (১৯), শাহীন ভূঁইয়া (৩২), অপু মিয়া (৩০) ও রহমত আলী (২৮)। তাঁরা সবাই শাহরিয়ার পান্নার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
এজাহারে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহরিয়ার পান্নার সঙ্গে তাওলাদ হোসেনের বাগ্বিত-া হচ্ছিল। এ সময় শাহরিয়ার পান্নার নির্দেশে মামলার আসামিরা তাওলাদ হোসেন, মামলার বাদী হানিফ মোল্লাসহ তাওলাদের লোকজনকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় তাওলাদের শ্যালক আবদুর রশিদ (৩৩) তাঁদের বাধা দিতে গেলে শাহরিয়ার পান্নার দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন রশিদের ডান হাতে এবং সিরাজ ও রাসেল নামে শাহরিয়ারের দুই সহযোগী কাটা রাইফেল দিয়ে রশিদের দুই পায়ে গুলি করেন। একই সময় শাহরিয়ার তাঁর সহযোগী গুলজারের হাত থেকে শটগান কেড়ে নিয়ে রশিদের মাথায় গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন।
তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও রূপগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, মুড়াপাড়া ইউপি নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোট চারজন সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে তালা প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্নার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। শাহরিয়ার ও তাঁর লোকজন প্রকাশ্যেই সিরাজুল ইসলামের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁদের কারণে অন্য তিন প্রার্থী প্রচারণার মাঠে থাকতে না পেরে তাঁরা যৌথভাবে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) তাওলাদ হোসেনের কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেন। ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী হলেও পেশিশক্তিতে তাওলাদ স্থানীয়ভাবে শাহরিয়ার পান্নার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত।
শনিবার মিরকুটিরছাঁও এলাকায় শাহরিয়ার পান্না ও তাওলাদ হোসেনের মধ্যে প্রার্থীদের করা অভিযোগ নিয়ে বাগ্বিত-া হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া গুলিতে রশিদ নিহত হন।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শাহরিয়ার ও তাঁর দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন এলাকা ছেড়েছেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার রূপগঞ্জ- আড়াইহাজার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। খুব শিগগির তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
 বার্তাকণ্ঠ/ এন

রশিদ হত্যা: উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে মামলা

প্রকাশের সময় : ০৫:০০:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১
মুরাদ হাসান, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি।। 
রূপগঞ্জে আবদুর রশিদ হত্যার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্না ওরফে ভিপি সোহেলকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই মো. হানিফ মোল্লা বাদী হয়ে রোববার রাত ১১টায় মামলাটি করেন।
মামলায় শাহরিয়ার পান্নাসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে শাহরিয়ার পান্নার দেহরক্ষী জসিম উদ্দিনের নাম আছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ জানান, এজাহারে নাম থাকায় শনিবার রাতে ঘটনাস্থল থেকে আটক পাঁচজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁরা হলেন মিরকুটিরছেঁও গ্রামের আইয়ুব ভূঁইয়া (৩০), সোয়াইব ভূঁইয়া (১৯), শাহীন ভূঁইয়া (৩২), অপু মিয়া (৩০) ও রহমত আলী (২৮)। তাঁরা সবাই শাহরিয়ার পান্নার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।
এজাহারে বলা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়িক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাহরিয়ার পান্নার সঙ্গে তাওলাদ হোসেনের বাগ্বিত-া হচ্ছিল। এ সময় শাহরিয়ার পান্নার নির্দেশে মামলার আসামিরা তাওলাদ হোসেন, মামলার বাদী হানিফ মোল্লাসহ তাওলাদের লোকজনকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় তাওলাদের শ্যালক আবদুর রশিদ (৩৩) তাঁদের বাধা দিতে গেলে শাহরিয়ার পান্নার দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন রশিদের ডান হাতে এবং সিরাজ ও রাসেল নামে শাহরিয়ারের দুই সহযোগী কাটা রাইফেল দিয়ে রশিদের দুই পায়ে গুলি করেন। একই সময় শাহরিয়ার তাঁর সহযোগী গুলজারের হাত থেকে শটগান কেড়ে নিয়ে রশিদের মাথায় গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন।
তবে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও রূপগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, মুড়াপাড়া ইউপি নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোট চারজন সদস্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে তালা প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার পান্নার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। শাহরিয়ার ও তাঁর লোকজন প্রকাশ্যেই সিরাজুল ইসলামের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁদের কারণে অন্য তিন প্রার্থী প্রচারণার মাঠে থাকতে না পেরে তাঁরা যৌথভাবে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) তাওলাদ হোসেনের কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেন। ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী হলেও পেশিশক্তিতে তাওলাদ স্থানীয়ভাবে শাহরিয়ার পান্নার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত।
শনিবার মিরকুটিরছাঁও এলাকায় শাহরিয়ার পান্না ও তাওলাদ হোসেনের মধ্যে প্রার্থীদের করা অভিযোগ নিয়ে বাগ্বিত-া হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ছোড়া গুলিতে রশিদ নিহত হন।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শাহরিয়ার ও তাঁর দেহরক্ষী জসিম উদ্দিন এলাকা ছেড়েছেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার রূপগঞ্জ- আড়াইহাজার (গ-সার্কেল) আবির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। খুব শিগগির তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
 বার্তাকণ্ঠ/ এন