বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে নিহত হয় ৬ জন

কক্সবাজার প্রতিনিধি।।কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে ১১ জন। প্রথমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বলা হলেও পরে জানা গেছে ৮ থেকে ১০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ এসে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ জন নিহতের সংখ্যা বললেও পরে ছয়জনের কথা উল্লেখ করেন।

শুক্রবার ভোরে উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ মুজিবুর রহমান নামে একজনকে আটক করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

নিহতরা হলেন উখিয়ার বালুখালী-২ এর ইদ্রিস (৩২), বালুখালী-১ এর ইব্রাহীম হোসেন (২২), ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসুন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক (২৬), আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২), মোহাম্মদ নবীর ছেলে নুরুল আলম ওরফে হালিম (৪৫) ও রহিম উল্লার ছেলে হামিদ উল্লাহ (৫৫)।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র ও এপিবিএন জানায়, শুক্রবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামীয়া মাদ্রাসার মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায় ৮/১০ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ। চারদিক থেকে গুলিবর্ষণ হওয়ায় কেউ মসজিদ থেকে বের হতে পারেনি। এতে ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে এপিবিএন।

১৮ নং ক্যাম্পের মাঝি আব্দুল মতলব বলেন, ঘুম থেকে ওঠে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম। যেতে যেতে কানে আসছিল গুলির আওয়াজ। একপর্যায়ে সবাই বসতঘর থেকে বের হয়ে ছুটাছুটি করছিল। আমিও পেছনের দিকে চলে আসি। পরে গিয়ে দেখলাম সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন অনেকে। যারা মূলত নামাজরত ছিল। কে বা কারা হামলা করেছে তাদের আমরা চিনতে পারেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ এপিবিএনের ময়নারঘোনা ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মাদ্রাসা ও মসজিদের চারদিকের অংশে শুধু গুলির চিহ্ন। আর দা দিয়ে কুপিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে টিনের শেট। আমরা ঘটনাস্থলে অনেক মুসল্লির কর্তনকৃত আঙ্গুলের অংশও পেয়েছি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) বলেন, কী কারণে এ হামলা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছি। ৬ জন নিহত হয়েছেন। আরও ১১ জনকে আহত অবস্থায় এমএসএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, অতর্কিত হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়। তবে কারা এ হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে তা স্পষ্ট নয়। আমরা তাদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি। ৬ জনের মরদেহ পুলিশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছে। সেখানে তাদের ময়নাতদন্তে শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে নিহত হয় ৬ জন

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অক্টোবর ২০২১

কক্সবাজার প্রতিনিধি।।কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন কমপক্ষে ১১ জন। প্রথমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বলা হলেও পরে জানা গেছে ৮ থেকে ১০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ এসে মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের গুলিবর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রথমে পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ জন নিহতের সংখ্যা বললেও পরে ছয়জনের কথা উল্লেখ করেন।

শুক্রবার ভোরে উখিয়ার ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ মুজিবুর রহমান নামে একজনকে আটক করেছেন ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

নিহতরা হলেন উখিয়ার বালুখালী-২ এর ইদ্রিস (৩২), বালুখালী-১ এর ইব্রাহীম হোসেন (২২), ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসুন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক (২৬), আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২), মোহাম্মদ নবীর ছেলে নুরুল আলম ওরফে হালিম (৪৫) ও রহিম উল্লার ছেলে হামিদ উল্লাহ (৫৫)।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র ও এপিবিএন জানায়, শুক্রবার ভোর ৪টা ১৫ মিনিটের দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামীয়া মাদ্রাসার মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও হামলা চালায় ৮/১০ জনের একটি অস্ত্রধারী গ্রুপ। চারদিক থেকে গুলিবর্ষণ হওয়ায় কেউ মসজিদ থেকে বের হতে পারেনি। এতে ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে এপিবিএন।

১৮ নং ক্যাম্পের মাঝি আব্দুল মতলব বলেন, ঘুম থেকে ওঠে মসজিদের দিকে যাচ্ছিলাম। যেতে যেতে কানে আসছিল গুলির আওয়াজ। একপর্যায়ে সবাই বসতঘর থেকে বের হয়ে ছুটাছুটি করছিল। আমিও পেছনের দিকে চলে আসি। পরে গিয়ে দেখলাম সেখানে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন অনেকে। যারা মূলত নামাজরত ছিল। কে বা কারা হামলা করেছে তাদের আমরা চিনতে পারেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ এপিবিএনের ময়নারঘোনা ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা বলেন, মাদ্রাসা ও মসজিদের চারদিকের অংশে শুধু গুলির চিহ্ন। আর দা দিয়ে কুপিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে টিনের শেট। আমরা ঘটনাস্থলে অনেক মুসল্লির কর্তনকৃত আঙ্গুলের অংশও পেয়েছি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) বলেন, কী কারণে এ হামলা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছি। ৬ জন নিহত হয়েছেন। আরও ১১ জনকে আহত অবস্থায় এমএসএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রফিকুল ইসলাম বলেন, অতর্কিত হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়। তবে কারা এ হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে তা স্পষ্ট নয়। আমরা তাদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি। ৬ জনের মরদেহ পুলিশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসছে। সেখানে তাদের ময়নাতদন্তে শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলবে।