বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লকডাউন বাড়বে কিনা, জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা ব্যুরো ।।
দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঈদের আগে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরও বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে সোমবার (১২ জুলাই) রাতে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

 

তবে দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে আরও এক সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ে বিনাপ্রয়োজনে কেউ বাড়ি থেকে বের হলে তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এই তথ্য জানান মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

১৪ জুলাইয়ের পর বিধিনিষেধ বাড়ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এবার করোনা এমনভাবে ছড়িয়েছে যা ভয়াবহ। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। ঈদ ও কোরবানির পশুরহাট একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এটা সুনিয়ন্ত্রিতভাবে মোকাবিলা করতে চায় সরকার।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল পশুরহাটের পাশাপাশি সারা দেশে স্বাভাবিক হাটও বসবে। করোনার কারণে বাউন্ডারিযুক্ত মাঠে পশুরহাট বসানোর চিন্তাভাবনা চলছে। ১৫ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এই ৬ দিন হাট বসবে। হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে আসতে হবে। হাটের ৩টি পথ থাকবে। এর একটি দিয়ে পশুসহ প্রবেশ করবে। একটি দিয়ে ক্রেতা প্রবেশ করবে এবং অপরটি দিয়ে ক্রেতা বের হয়ে যাবে। মৃত্যু ও সংক্রমণ মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে। হাটের সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞ কমিটি যেভাবে সুপারিশ করবে সেভাবেই সরকার ব্যবস্থা নেবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবার ঈদে গ্রামে এত সংক্রমণ ছিল না। এবার গ্রামে সংক্রমণ বেশি। তাই সবাইকে ঈদে গ্রামে যেতে নিরুৎসাহিত করা হবে। নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সর্তক থাকতে হবে। এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার রাতে এ বিষয়ে বৈঠক হবে, তারপর জানানো হবে। সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কঠোরতা থাকবেই। সংক্রমণ ৫ শতাংশের মধ্যে না আসা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যারা অকারণে বের হবে তাদের জরিমানাসহ গ্রেপ্তার করা হবে।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজকের মৃত্যু নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪১৯ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে। রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

লকডাউন বাড়বে কিনা, জানালেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১১:৪৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
ঢাকা ব্যুরো ।।
দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ঈদের আগে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) আরও বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে সোমবার (১২ জুলাই) রাতে এ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

 

তবে দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে আরও এক সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই সময়ে বিনাপ্রয়োজনে কেউ বাড়ি থেকে বের হলে তার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এই তথ্য জানান মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

১৪ জুলাইয়ের পর বিধিনিষেধ বাড়ছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। এবার করোনা এমনভাবে ছড়িয়েছে যা ভয়াবহ। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। ঈদ ও কোরবানির পশুরহাট একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এটা সুনিয়ন্ত্রিতভাবে মোকাবিলা করতে চায় সরকার।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল পশুরহাটের পাশাপাশি সারা দেশে স্বাভাবিক হাটও বসবে। করোনার কারণে বাউন্ডারিযুক্ত মাঠে পশুরহাট বসানোর চিন্তাভাবনা চলছে। ১৫ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত এই ৬ দিন হাট বসবে। হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে আসতে হবে। হাটের ৩টি পথ থাকবে। এর একটি দিয়ে পশুসহ প্রবেশ করবে। একটি দিয়ে ক্রেতা প্রবেশ করবে এবং অপরটি দিয়ে ক্রেতা বের হয়ে যাবে। মৃত্যু ও সংক্রমণ মাথায় রেখেই হাটে আসতে হবে। হাটের সংখ্যা ও পরিস্থিতি বিশেষজ্ঞ কমিটি যেভাবে সুপারিশ করবে সেভাবেই সরকার ব্যবস্থা নেবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতবার ঈদে গ্রামে এত সংক্রমণ ছিল না। এবার গ্রামে সংক্রমণ বেশি। তাই সবাইকে ঈদে গ্রামে যেতে নিরুৎসাহিত করা হবে। নিজেকে ও পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সবাইকে সর্বোচ্চ সর্তক থাকতে হবে। এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সোমবার রাতে এ বিষয়ে বৈঠক হবে, তারপর জানানো হবে। সংক্রমণ কমানোর চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য কঠোরতা থাকবেই। সংক্রমণ ৫ শতাংশের মধ্যে না আসা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে। যারা অকারণে বের হবে তাদের জরিমানাসহ গ্রেপ্তার করা হবে।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজকের মৃত্যু নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪১৯ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে। রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫০১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।