মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শনিবার থেকে সিনোফার্ম,ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু, ৮৪ শতাংশ কার্যকর

ঢাকা ব্যুরো ##   চীনের সিনোফার্ম ও বেলজিয়ামের তৈরি ফাইজারের এক ডোজের টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে শনিবর (১৯ জুন) থেকে।করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সিনোফার্ম ও ফাইজারের ভ্যাকসিন গড়ে ৮৪ শতাংশ কার্যকরি বলে এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কোরিয়া ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এজেন্সি (কেডিসিএ) কোভিট ভ্যাকসিন নিয়ে এক গবেষণা শেষে বৃহস্পতিবার কার্যকরিতা তথ্য প্রকাশ করে। এতে বলা হয় সিনোফার্মের ভ্যাকসিন কোভিডের বিরুদ্ধে ৮৩.৯ (প্রায় ৮৪) শতাংশ কার্যকর। সেই তুলনায় ফাইজাররের টিকা ৮৪.৪ শতাংশ। এছাড়াও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিডের বিরুদ্ধে ৭৮.৯ শতাংশ কার্যকর বলে গবেষণার থেকে পাওয়া তথ্যে উল্লেখ করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় এ গবেষণাটিতে ভ্যাকসিন নেয়া বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৯৬ লাখ মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ফাইজারের ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা সর্বোচ্চ। সিনোফর্মের ভ্যাকসিনটি ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের জন্য বেশি কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ উপহার হিসেবে এরই মধ্যে চীন থেকে ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা এবং কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ছয় হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা পেয়েছে। আগামী শনিবার থেকেই সিনোফার্ম ও ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
চীন বাংলাদেশকে মোট ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার দিয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজার ডোজ এ দেশে কর্মরত নিজেদের কর্মীদের জন্য নিয়ে চীন। বাকি ১০ লাখ ৭০ হাজার ডোজ টিকা দেশের ৫ লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে দেওয়া যাবে।
ফাইজারের এক লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা এসেছে বৈশ্বিক টিকা বিতরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। কোভ্যাক্স বাংলাদেশকে মোট এক কোটি ডোজ টিকা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়াও শিগগিরই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ৮০০ ডোজ টিকা দেশে আসবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে এক কোটি ডোজ টিকা কেনার বিষয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

শনিবার থেকে সিনোফার্ম,ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু, ৮৪ শতাংশ কার্যকর

প্রকাশের সময় : ০৮:০২:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
ঢাকা ব্যুরো ##   চীনের সিনোফার্ম ও বেলজিয়ামের তৈরি ফাইজারের এক ডোজের টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে শনিবর (১৯ জুন) থেকে।করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সিনোফার্ম ও ফাইজারের ভ্যাকসিন গড়ে ৮৪ শতাংশ কার্যকরি বলে এক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কোরিয়া ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন এজেন্সি (কেডিসিএ) কোভিট ভ্যাকসিন নিয়ে এক গবেষণা শেষে বৃহস্পতিবার কার্যকরিতা তথ্য প্রকাশ করে। এতে বলা হয় সিনোফার্মের ভ্যাকসিন কোভিডের বিরুদ্ধে ৮৩.৯ (প্রায় ৮৪) শতাংশ কার্যকর। সেই তুলনায় ফাইজাররের টিকা ৮৪.৪ শতাংশ। এছাড়াও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিডের বিরুদ্ধে ৭৮.৯ শতাংশ কার্যকর বলে গবেষণার থেকে পাওয়া তথ্যে উল্লেখ করা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় এ গবেষণাটিতে ভ্যাকসিন নেয়া বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৯৬ লাখ মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা যায়, ৬০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ফাইজারের ভ্যাকসিনের কার্যকরিতা সর্বোচ্চ। সিনোফর্মের ভ্যাকসিনটি ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সিদের জন্য বেশি কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ উপহার হিসেবে এরই মধ্যে চীন থেকে ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা এবং কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ছয় হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা পেয়েছে। আগামী শনিবার থেকেই সিনোফার্ম ও ফাইজারের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
চীন বাংলাদেশকে মোট ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার দিয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজার ডোজ এ দেশে কর্মরত নিজেদের কর্মীদের জন্য নিয়ে চীন। বাকি ১০ লাখ ৭০ হাজার ডোজ টিকা দেশের ৫ লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে দেওয়া যাবে।
ফাইজারের এক লাখ ৬ হাজার ডোজ টিকা এসেছে বৈশ্বিক টিকা বিতরণ সংস্থা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। কোভ্যাক্স বাংলাদেশকে মোট এক কোটি ডোজ টিকা দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়াও শিগগিরই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ৮০০ ডোজ টিকা দেশে আসবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে এক কোটি ডোজ টিকা কেনার বিষয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।