নাজমুল ইসলাম,শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ।।
বাগেরহাটের শরণখোলায় আর কোনো বাল্যবিবাহ দেখতে চাই না। যদি কোথাও বাল্যবিয়ের খবর শোনা যায়, কোনো কাজী যদি তা রেজিস্ট্রি করান তাহলে তার লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আইনের আওতায় আনা হবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বর ও গ্রাম পুলিশকে।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি, ইমাম ও কাজীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এভাবেই সতর্ক করনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত। তিনি বলেন, যে যার অবস্থানে থেকে বাল্যবিয়েকে প্রতিরোধ করতে হবে। তা না হলে সামাজিক, পারিবারিক অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
ইউএনও খাতুনে জান্নাত আরো উল্লেখ করেন, সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় বাল্যবিয়ে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর দেশব্যাপী এ নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনও বাল্যবিয়ের বিষয়ে নড়েচড়ে বসেছে। প্রত্যন্ত একটি উপজেলার খবর আজ আলোচনার বেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে।
এসময় ইউএনও খাতুনে জান্নাত পুজার ছুটির পর সকল স্কুল-মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। এছাড়া, প্রতিটি ওয়ার্ডে বাল্যবিাবহ নিরোধ কমিটি গঠন করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের আহবান জানান।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, বাল্যবিবাহের পেছনে দরিদ্রতা একটি বড় কারণ। দরিদ্র পরিবারের অসচেতন মা-বাবারা মেয়েকে বোঝা মনে করেন। তাই অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হতে চান। কিন্তু, তার মেয়েকে যেখানে বিয়ে দিচ্ছেন, সেই পরিবারও দরিদ্র শ্রেণির। ফলে দরিদ্রতা তাদের পিছু ছাড়ে না। তাই কিছুদিন যেতে না যেতেই বিচ্ছেদ ঘটে। অভাবের সংসারে দেখা দেয় পারিবারিক কলহ। আমাদের সবােিক এব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন, ধানসাগর ইউপির চেয়ারম্যান মইনুল হোসেন টিপু, খোন্তাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নূরুজ্জামান খান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাইসহ ও চার ইউনিয়নে কর্মরত কাজী ও ইমামগণ উপস্থিত ছিলেন।