শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কি খাবেন

Background of healthy food for heart. Healthy food, diet and healthy life concept. Top view, copy space

ঢাকা ব্যুরো।।করোনা থেকে বাঁচতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই হবে- এমনই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে আপনার পেটকে সুস্থ রাখা জরুরি বলে মনে করেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিওয়েকর। ৪৭ বছর বয়সি রুজুতা দীর্ঘদিন ধরে পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি করিনা কাপুরের ডায়েট এবং ফিটনেস দেখে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।

রুজুতা তার সামাজিক যোযোগাগ মাধ্যমে এমন কিছু সুপারফুড সম্পর্কে বলেছেন, যা খেলেই করোনাকালে বাড়বে ইউমিউনিটি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সবাই এই পাঁচ সুপারফুড খেতে পারে এ সময়। জেনে নিন কোনগুলো-

কলা –কলায় আছে বহু পুষ্টিগুণ। কলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমে যায়। জানেন কি, কলা অন্য যেকোনো খাবারের পরিপূরক। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

তাই বলা হয় সকালের নাস্তায় একটি কলা অবশ্যই রাখুন। কলার মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও সুগার হজম উন্নত করে। এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে কলায়। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠ্যিনের সমস্যা আছে তাদের বলা হয় কলা খেতে।

জাম –এখন জামের মৌসুম। জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি–অক্সিডেন্টযুক্ত ফাইবারসমৃদ্ধ জিংক, কপার, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ফ্রুক্টোজ আছে। এসবই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে ও ডায়াবেটিস কমাতে জাম দুর্দান্ত কাজ করে। জাম ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বক ও চুলকে রক্ষা করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও জামের ভূমিকা আছে।

এ ছাড়াও মৌসুম পরিবর্তনের সময় চুল শুষ্ক হয়ে পড়া, অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়ার সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এর থেকে মুক্তি পেতে জামের বীজ ব্যবহার করতে পারেন।

আতা –আতা ফল খেতে খুবই সুস্বাদু। এই ফলের আছে নানা গুণ। শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও এটি দারুণ উপকারী ফল। ভিটামিন সি’র মতো নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে এতে। শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী ফ্রি র‌্যাডিকেল থেকে মুক্তি দিতে পরে আতা।

এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, অরুচি দূর করা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে পারে আতা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ এ ফল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়াও আতা ফলে থাকা ভিটামিন এ চোখের কর্নিয়া ও রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখে।

কাঁঠাল –কাঁঠাল খেলেই হজমের সমস্যা হয়ে থাকে অনেকেরই। তবে সুপারফুডের তালিকায় আছে কাঁঠালের অবস্থানও। কারণ বিভিন্ন রোগের সমাধান আছে এই ফলে। খাদ্যগুণ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁঠাল ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। তাই একে সুপারফুড বলা হয়।

কাঁঠালে ভিটামিন সি, এ, বি-১, বি-২, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, বিটা ক্যারোটিনসহ নানা ধরনের খনিজ উপাদান আছে। নিয়মিত অল্প পরিমাণে কাঁঠাল খেলেও শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

কমলা –নানা ধরনের ভিটামিনে সমৃদ্ধ এ ফলে পুষ্টিগুণের অভাব নেই। কমলায় পাবেন প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, যা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর জোগান দিতে সক্ষম। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন ধরনের রোগ ও সংক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করে।

ভিটামিন সি ছাড়াও এতে আছে ভিটামিন এ ও পটাসিয়াম। এর সবগুলো উপাদানই চোখের জন্য ভালো। কমলায় আরও আছে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। অ্যন্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় নিয়মিত কমলা খেলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না।

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কি খাবেন

প্রকাশের সময় : ০৬:০৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

ঢাকা ব্যুরো।।করোনা থেকে বাঁচতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই হবে- এমনই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে আপনার পেটকে সুস্থ রাখা জরুরি বলে মনে করেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ান রুজুতা দিওয়েকর। ৪৭ বছর বয়সি রুজুতা দীর্ঘদিন ধরে পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি করিনা কাপুরের ডায়েট এবং ফিটনেস দেখে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।

রুজুতা তার সামাজিক যোযোগাগ মাধ্যমে এমন কিছু সুপারফুড সম্পর্কে বলেছেন, যা খেলেই করোনাকালে বাড়বে ইউমিউনিটি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সবাই এই পাঁচ সুপারফুড খেতে পারে এ সময়। জেনে নিন কোনগুলো-

কলা –কলায় আছে বহু পুষ্টিগুণ। কলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমে যায়। জানেন কি, কলা অন্য যেকোনো খাবারের পরিপূরক। এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

তাই বলা হয় সকালের নাস্তায় একটি কলা অবশ্যই রাখুন। কলার মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও সুগার হজম উন্নত করে। এ ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে কলায়। তাই যাদের কোষ্ঠকাঠ্যিনের সমস্যা আছে তাদের বলা হয় কলা খেতে।

জাম –এখন জামের মৌসুম। জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টি–অক্সিডেন্টযুক্ত ফাইবারসমৃদ্ধ জিংক, কপার, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ফ্রুক্টোজ আছে। এসবই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে ও ডায়াবেটিস কমাতে জাম দুর্দান্ত কাজ করে। জাম ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বক ও চুলকে রক্ষা করে। স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও জামের ভূমিকা আছে।

এ ছাড়াও মৌসুম পরিবর্তনের সময় চুল শুষ্ক হয়ে পড়া, অতিরিক্ত চুল ঝরে পড়ার সমস্যার সৃষ্টি হয়। আর এর থেকে মুক্তি পেতে জামের বীজ ব্যবহার করতে পারেন।

আতা –আতা ফল খেতে খুবই সুস্বাদু। এই ফলের আছে নানা গুণ। শুধু স্বাদেই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও এটি দারুণ উপকারী ফল। ভিটামিন সি’র মতো নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে এতে। শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী ফ্রি র‌্যাডিকেল থেকে মুক্তি দিতে পরে আতা।

এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, অরুচি দূর করা, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে পারে আতা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ এ ফল শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়াও আতা ফলে থাকা ভিটামিন এ চোখের কর্নিয়া ও রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখে।

কাঁঠাল –কাঁঠাল খেলেই হজমের সমস্যা হয়ে থাকে অনেকেরই। তবে সুপারফুডের তালিকায় আছে কাঁঠালের অবস্থানও। কারণ বিভিন্ন রোগের সমাধান আছে এই ফলে। খাদ্যগুণ ও পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁঠাল ভিটামিন সি ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ। তাই একে সুপারফুড বলা হয়।

কাঁঠালে ভিটামিন সি, এ, বি-১, বি-২, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, বিটা ক্যারোটিনসহ নানা ধরনের খনিজ উপাদান আছে। নিয়মিত অল্প পরিমাণে কাঁঠাল খেলেও শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

কমলা –নানা ধরনের ভিটামিনে সমৃদ্ধ এ ফলে পুষ্টিগুণের অভাব নেই। কমলায় পাবেন প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, যা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি এর জোগান দিতে সক্ষম। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বিভিন্ন ধরনের রোগ ও সংক্রমণ থেকে আপনাকে রক্ষা করে।

ভিটামিন সি ছাড়াও এতে আছে ভিটামিন এ ও পটাসিয়াম। এর সবগুলো উপাদানই চোখের জন্য ভালো। কমলায় আরও আছে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। অ্যন্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় নিয়মিত কমলা খেলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না।