মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শার্শায় নিখোঁজ শ্রমিকের মাটি চাপা দেয়া লাশ উদ্ধার, আটক-৩  

 

যশোর ব্যুরো।।
যশোরের শার্শা কাশিয়াডাঙ্গার বাসিন্দা আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরির শ্রমিক নিখোঁজ ইসরাফিলের লাশ কবরস্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে গুম করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হত্যা ও লাশ গুমের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট রাত ৯ টা থেকে শার্শার কাশিয়াডাঙ্গার বজলুর রহমানের ছেলে বিড়ি ফ্যাক্টরির শ্রমিক ইসরাফিল হোসেন (৩৭) নিখোঁজ হয়। তার স্ত্রী রোজিনা বেগম ২৯ আগস্ট নিখোঁজের বিষয়ে শার্শা থানার জিডি করেন। জিডি করার ৫ দিনেও কোন সন্ধান না পাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জাহাংগীর আলম তদন্তের জন্য ডিবির ওসি রুপণ কুমার সরকার, এসআই মফিজুল ইসলামের উপর দায়িত্ব দেন।
এরপর ডিবি ওসির রুপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে জিডির তদন্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মফিজুল ইসলাম, এসআই শাহিনুর রহমান, এএসআই এসএম ফুরকান ও ফোর্সসহ একটি চৌকশ টিম অনুসন্ধানে নামে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাশিয়াডাঙ্গার সাকিনে অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহমূলক ৩ জনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, কাশিয়াডাঙ্গা সাকিনস্থ মোড়লবাড়ি বড় কবরস্থানে মাটি চাপা দেওয়া নিখোঁজ ভিকটিম ইসরাফিলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ডিবি ওসির রুপন কুমার জানান, প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক জায়গা জমি ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের, নারী ঘটিত কারণ (ইসরাফিলের সাথে আসামি মর্জিনার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর পরকীয়া), মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ কবরস্থানে মাটি চাপা দিয়ে গুম করে। এঘটনায় আটক তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

শার্শায় নিখোঁজ শ্রমিকের মাটি চাপা দেয়া লাশ উদ্ধার, আটক-৩  

প্রকাশের সময় : ১০:১৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

 

যশোর ব্যুরো।।
যশোরের শার্শা কাশিয়াডাঙ্গার বাসিন্দা আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরির শ্রমিক নিখোঁজ ইসরাফিলের লাশ কবরস্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে গুম করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হত্যা ও লাশ গুমের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট রাত ৯ টা থেকে শার্শার কাশিয়াডাঙ্গার বজলুর রহমানের ছেলে বিড়ি ফ্যাক্টরির শ্রমিক ইসরাফিল হোসেন (৩৭) নিখোঁজ হয়। তার স্ত্রী রোজিনা বেগম ২৯ আগস্ট নিখোঁজের বিষয়ে শার্শা থানার জিডি করেন। জিডি করার ৫ দিনেও কোন সন্ধান না পাওয়ায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জাহাংগীর আলম তদন্তের জন্য ডিবির ওসি রুপণ কুমার সরকার, এসআই মফিজুল ইসলামের উপর দায়িত্ব দেন।
এরপর ডিবি ওসির রুপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে জিডির তদন্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মফিজুল ইসলাম, এসআই শাহিনুর রহমান, এএসআই এসএম ফুরকান ও ফোর্সসহ একটি চৌকশ টিম অনুসন্ধানে নামে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাশিয়াডাঙ্গার সাকিনে অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহমূলক ৩ জনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, কাশিয়াডাঙ্গা সাকিনস্থ মোড়লবাড়ি বড় কবরস্থানে মাটি চাপা দেওয়া নিখোঁজ ভিকটিম ইসরাফিলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ডিবি ওসির রুপন কুমার জানান, প্রাথমিক তদন্তে পারিবারিক জায়গা জমি ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের, নারী ঘটিত কারণ (ইসরাফিলের সাথে আসামি মর্জিনার ছোট ভাইয়ের স্ত্রীর পরকীয়া), মাদক ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ কবরস্থানে মাটি চাপা দিয়ে গুম করে। এঘটনায় আটক তিনজনের নামে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।