শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের গোলাপ- চকলেট দিয়ে  বিদ্যালয়ে স্বাগত জানালেন শিক্ষকরা

যশোর অফিস।। 

করোনা অতিমারির মধ্যে ১৮ মাস পরে সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। ভালোলাগা-ভালোবাসার সেই অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে। তারা প্রিয় ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে পেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বরণ করেছেন। প্রবেশ পথে শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে থেকে দিয়েছেন গোলাপ ফুল ও চকলেট। শিক্ষকদের এই ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে শ্রেণিকক্ষে বসেন ছাত্রীরা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ যায়। রোববার ৫৪৩ দিন পরে সারা দেশের মতো বিদ্যালয়ে ফিরেছে যশোরের আট উপজেলায় ১ হাজার ৯শ’ প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। তাদের আগমণ উপলক্ষে আগে থেকেই ধুয়ে মুছে ছাপ করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোন কোন শিক্ষালয় করেছে ব্যতিক্রম উদ্যোগ।
যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সাজানো হয়েছে বেলুন দিয়ে। বিদ্যালয়ের গেইটে দাঁড়িয়ে ছিলেন শিক্ষক আর কর্মচারীরা। অভিভাবকরা বাচ্চাদের পৌঁছে দিয়ে গেলেন গেইটে। সেখানে তাদের তাপমাত্রা মাপা হল, সামনে ধরা হল চকলেটের ডালা। উপহার দেয়া হয় ফুল। যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান এ দৃশ্য অবলোকন করেন। মুখে মাস্ক থাকায় হাসি বোঝার উপায় নেই, তবে চোখে ফুটে উঠে ছাত্রীদের উপচে পড়া আনন্দ।
বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাসমিন জানান, স্কুলের ঢোকার সাথে সাথে আমার তাপমাত্রা মেপে, ফুল ও চকলেট দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা। স্কুলে সাজ সাজ রব। স্কুলে আসতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে।
তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সামিয়া আক্তার জানান, দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় আমি খুব খুশি হয়েছি। আবার বন্ধুদের সাথে দেখা হচ্ছে। ক্লাস শিক্ষকদের সাথে দেখা হয়েছে। সরাসরি দীর্ঘদিন পর ক্লাস করে খুব ভালো লাগছে।
যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা লায়লা শিরিন সুলতানা জানান, স্কুলের ভেতরের জঙ্গল কেটে এবং স্কুল ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরাও স্কুলে আসার পরে ক্যাম্পাস মুখর হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হওয়ায় তাদের জন্য আমরা অর্ভথ্যনা জানিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যশোর জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন বলেন, স্কুল খুলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাজসাজ রব পড়েছে। আগের মতো স্কুলে শিক্ষার্থীদের হৈ চৈ মেতে উঠেছে। দৃশ্যটি দেখে ভালো লাগছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘদিন পরে স্কুল কলেজ খুলেছে। সরকারের যে নির্দেশনা রয়েছে, সেটা মেনেই যশোরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার স্বর্ণ, পাচারকারী আটক

শিক্ষার্থীদের গোলাপ- চকলেট দিয়ে  বিদ্যালয়ে স্বাগত জানালেন শিক্ষকরা

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৩:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১

যশোর অফিস।। 

করোনা অতিমারির মধ্যে ১৮ মাস পরে সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা। এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি। ভালোলাগা-ভালোবাসার সেই অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে। তারা প্রিয় ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে পেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বরণ করেছেন। প্রবেশ পথে শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে থেকে দিয়েছেন গোলাপ ফুল ও চকলেট। শিক্ষকদের এই ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে শ্রেণিকক্ষে বসেন ছাত্রীরা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ যায়। রোববার ৫৪৩ দিন পরে সারা দেশের মতো বিদ্যালয়ে ফিরেছে যশোরের আট উপজেলায় ১ হাজার ৯শ’ প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। তাদের আগমণ উপলক্ষে আগে থেকেই ধুয়ে মুছে ছাপ করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোন কোন শিক্ষালয় করেছে ব্যতিক্রম উদ্যোগ।
যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সাজানো হয়েছে বেলুন দিয়ে। বিদ্যালয়ের গেইটে দাঁড়িয়ে ছিলেন শিক্ষক আর কর্মচারীরা। অভিভাবকরা বাচ্চাদের পৌঁছে দিয়ে গেলেন গেইটে। সেখানে তাদের তাপমাত্রা মাপা হল, সামনে ধরা হল চকলেটের ডালা। উপহার দেয়া হয় ফুল। যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান এ দৃশ্য অবলোকন করেন। মুখে মাস্ক থাকায় হাসি বোঝার উপায় নেই, তবে চোখে ফুটে উঠে ছাত্রীদের উপচে পড়া আনন্দ।
বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী তাসমিন জানান, স্কুলের ঢোকার সাথে সাথে আমার তাপমাত্রা মেপে, ফুল ও চকলেট দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা। স্কুলে সাজ সাজ রব। স্কুলে আসতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে।
তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী সামিয়া আক্তার জানান, দীর্ঘদিন পর স্কুল খোলায় আমি খুব খুশি হয়েছি। আবার বন্ধুদের সাথে দেখা হচ্ছে। ক্লাস শিক্ষকদের সাথে দেখা হয়েছে। সরাসরি দীর্ঘদিন পর ক্লাস করে খুব ভালো লাগছে।
যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা লায়লা শিরিন সুলতানা জানান, স্কুলের ভেতরের জঙ্গল কেটে এবং স্কুল ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরাও স্কুলে আসার পরে ক্যাম্পাস মুখর হয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলমুখী হওয়ায় তাদের জন্য আমরা অর্ভথ্যনা জানিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি ক্লাস নেওয়ার বিষয়ে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
যশোর জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন বলেন, স্কুল খুলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাজসাজ রব পড়েছে। আগের মতো স্কুলে শিক্ষার্থীদের হৈ চৈ মেতে উঠেছে। দৃশ্যটি দেখে ভালো লাগছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, দীর্ঘদিন পরে স্কুল কলেজ খুলেছে। সরকারের যে নির্দেশনা রয়েছে, সেটা মেনেই যশোরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।