বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিমুকে স্বামী ও বন্ধু মিলেই হত্যাকান্ড ঘটায়

ঢাকা ব্যুরো।।  রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে চিত্রনায়িকা শিমুকে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন তিনি। তবে শিমুকে শুধু তার স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল একা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেননি। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নোবেলের বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদও। হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি নোবেলকে সাহায্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার দুই বিচারিক হাকিমের আলাদা খাস কামরায় এ তথ্য জানিয়ে নোবেল ও ফরহাদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নোবেলের স্বীকারোক্তি নেন বিচারিক মো. সাইফুল ইসলাম ও ফরহাদের জবানবন্দি নেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিশকাত সুকরানা। দাম্পত্য কলহের সূত্র ধরেই এ খুন, এমনটাই তাদের স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে।

জানা যায়, ফোনে কথা বলা নিয়ে নোবেল ও তার স্ত্রী অভিনেত্রী শিমুর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শিমু কার সঙ্গে কথা বলতেন তা নিয়ে প্রতিনিয়ত সন্দেহ করতেন নোবেল। ঘটনার দিন সকালে অভিনেত্রী শিমু ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কথা বলা শেষ করলে হঠাৎ স্ত্রীর ফোন দেখতে চান নোবেল। এ নিয়েই ঝগড়া-শুরু হয় তাদের মধ্যে। তখন বাসায় নোবেলের বন্ধু ফরহাদও উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি একা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। আর মরদেহ গুম করতে বন্ধু ফরহাদকে ডেকে আনেন। কিন্তু জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, নোবেল একা নয়, হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ফরহাদ। দুই বন্ধু মিলেই অভিনেত্রী শিমুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

তদন্ত সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সকালে নোবেলের ডাকে বাসায় আসেন ফরহাদ। ফরহাদ বাসায় ঢুকার সময় দরজা খুলে দেন শিমু নিজেই। ফরহাদ আসার পর তারা সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে চা খান। এর ঠিক ৩০ মিনিট পর ফোনে কথা বলা নিয়ে শিমু ও নোবেলের ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। প্রথমে ফরহাদ ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে নোবেলের ডাকে শিমুকে শ্বাসরোধ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত হোন।

এদিকে অভিনেত্রী শিমুর জন্য এফডিসিতে দোয়ার আয়োজন করেছে মিশা-জায়েদ পরিষদ।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এফডিসির শিল্পী সমিতি সংলগ্ন চত্বরে শিমু স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়ার আয়োজন করে এ পরিষদ।

এই দোয়ার আয়োজনে মিশা-জায়েদ পরিষদের মৌসুমী, ডিপজল, রোজিনা, অরুনা বিশ্বাস, অঞ্জনাসহ অনেক শিল্পী উপস্থিত ছিলেন। এখানে শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকনও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সংবাদমাধ্যমকে শিমুর ভাই বলেন, মঙ্গলবার শিমুর মরদেহ দাফন করা হয় আজিমপুর গোরস্থানে। সব শিল্পী মিলে শিমুর জন্য দোয়ার আয়োজন ও শিল্পী সমিতিতে শোক প্রকাশের ব্যানার টাঙানোয় আমি কৃতজ্ঞ।

খোকন আরও বলেন, শিল্পী সমিতির কারো বিরুদ্ধে আমাদের পরিবারের অভিযোগ নেই। শিমু হত্যার পর তার মরদেহ খুঁজতে বরং জায়েদ খান আমাদের সহযোগিতা করেন।

এর আগে কেরানীগঞ্জ থেকে বস্তাবন্দি শিমুর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ১৭ জানুয়ারি রাতে তার মরদেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার গ্রিনরোড এলাকায় থাকতেন ৪৫ বছর বয়সী শিমু।

শিমুকে স্বামী ও বন্ধু মিলেই হত্যাকান্ড ঘটায়

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২

ঢাকা ব্যুরো।।  রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে চিত্রনায়িকা শিমুকে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন তিনি। তবে শিমুকে শুধু তার স্বামী শাখাওয়াত আলীম নোবেল একা শ্বাসরোধ করে হত্যা করেননি। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নোবেলের বন্ধু এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদও। হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি নোবেলকে সাহায্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকার দুই বিচারিক হাকিমের আলাদা খাস কামরায় এ তথ্য জানিয়ে নোবেল ও ফরহাদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

নোবেলের স্বীকারোক্তি নেন বিচারিক মো. সাইফুল ইসলাম ও ফরহাদের জবানবন্দি নেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মিশকাত সুকরানা। দাম্পত্য কলহের সূত্র ধরেই এ খুন, এমনটাই তাদের স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে।

জানা যায়, ফোনে কথা বলা নিয়ে নোবেল ও তার স্ত্রী অভিনেত্রী শিমুর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শিমু কার সঙ্গে কথা বলতেন তা নিয়ে প্রতিনিয়ত সন্দেহ করতেন নোবেল। ঘটনার দিন সকালে অভিনেত্রী শিমু ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কথা বলা শেষ করলে হঠাৎ স্ত্রীর ফোন দেখতে চান নোবেল। এ নিয়েই ঝগড়া-শুরু হয় তাদের মধ্যে। তখন বাসায় নোবেলের বন্ধু ফরহাদও উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোবেল পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি একা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। আর মরদেহ গুম করতে বন্ধু ফরহাদকে ডেকে আনেন। কিন্তু জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, নোবেল একা নয়, হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ফরহাদ। দুই বন্ধু মিলেই অভিনেত্রী শিমুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

তদন্ত সূত্র জানায়, ঘটনার দিন সকালে নোবেলের ডাকে বাসায় আসেন ফরহাদ। ফরহাদ বাসায় ঢুকার সময় দরজা খুলে দেন শিমু নিজেই। ফরহাদ আসার পর তারা সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে চা খান। এর ঠিক ৩০ মিনিট পর ফোনে কথা বলা নিয়ে শিমু ও নোবেলের ঝগড়া শুরু হয়ে যায়। প্রথমে ফরহাদ ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পরে নোবেলের ডাকে শিমুকে শ্বাসরোধ করে হত্যাকাণ্ডে জড়িত হোন।

এদিকে অভিনেত্রী শিমুর জন্য এফডিসিতে দোয়ার আয়োজন করেছে মিশা-জায়েদ পরিষদ।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এফডিসির শিল্পী সমিতি সংলগ্ন চত্বরে শিমু স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও দোয়ার আয়োজন করে এ পরিষদ।

এই দোয়ার আয়োজনে মিশা-জায়েদ পরিষদের মৌসুমী, ডিপজল, রোজিনা, অরুনা বিশ্বাস, অঞ্জনাসহ অনেক শিল্পী উপস্থিত ছিলেন। এখানে শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকনও উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় সংবাদমাধ্যমকে শিমুর ভাই বলেন, মঙ্গলবার শিমুর মরদেহ দাফন করা হয় আজিমপুর গোরস্থানে। সব শিল্পী মিলে শিমুর জন্য দোয়ার আয়োজন ও শিল্পী সমিতিতে শোক প্রকাশের ব্যানার টাঙানোয় আমি কৃতজ্ঞ।

খোকন আরও বলেন, শিল্পী সমিতির কারো বিরুদ্ধে আমাদের পরিবারের অভিযোগ নেই। শিমু হত্যার পর তার মরদেহ খুঁজতে বরং জায়েদ খান আমাদের সহযোগিতা করেন।

এর আগে কেরানীগঞ্জ থেকে বস্তাবন্দি শিমুর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ১৭ জানুয়ারি রাতে তার মরদেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়ে। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকার গ্রিনরোড এলাকায় থাকতেন ৪৫ বছর বয়সী শিমু।