বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপার সাবেক মেয়রকে সাত বছর কারাদন্ড

যশোর ব্যুরো : ঝিনাইদাহ শৈলকুপা পৌর বিএনপির সভাপতি, সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান মন্ডলকে দুর্নীতির মামলায় ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছে একটি আদালত। সোমবার (২৯ মার্চ) স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত খলিলুর রহমান মন্ডল শৈলকুপা পৌর এলাকার মৃত কেদার মন্ডলের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।

 

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৫১ নম্বর শৈলকুপা মৌজার ৫৫৪৫ দাগে ৫ শতক ও ৫৫৪৬ দাগে আরো তিন শতক মোট আট শতক জমি এস এ রেকর্ড অনুযায়ী খাস জমি। ১৯৭৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর খলিলুর ওই জমি ও ভবন সুষমা বালা নামের এক মহিলাকে দাতা ও নিজে গ্রহিতা হয়ে জাল দলিল করে নেন। ২০০৫ সালে খলিলুর রহমান মন্ডল স্বত্ববান দাবি করে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সরকারকে বিবাদী করে দেওয়ানি মামলা করেন। যার নম্বর ৩৪/২০০৫। মামলায় সরবরাহকৃত দলিল সঠিক কিনা তা জানতে চেয়ে আদালত প্রতিবেদন দিতে বলে জেলা রেজিস্টারকে। তদন্ত প্রতিবেদনে দলিল জাল বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে সুচতুর খলিলুর রহমান দেওয়ানী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। মেয়র থাকা অবস্থায় খলিলুর রহমান ওই জমির পুরতন ভবন ভেঙ্গে বহুতল ভবন তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন।

 

খাস জমি জাল দলিলের মাধ্যমে দললের ২০০৮ সালের ১৫ আগষ্ট পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী খালিলুর রহমান মন্ডলকে অভিযুক্ত করে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দেন। এরপর ২০১৮ সালে মামলাটি সিনিয়র স্পেশাল আদালত ঝিনাইদহ থেকে যশোর স্পেশাল জজ আদালতে বদলি হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে খলিলুরর রহমান মন্ডলের বিরুদ্ধে জালজালিয়াতি, প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত খালিলুর রহমান মন্ডল কারাগারে আছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

শৈলকুপার সাবেক মেয়রকে সাত বছর কারাদন্ড

প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
যশোর ব্যুরো : ঝিনাইদাহ শৈলকুপা পৌর বিএনপির সভাপতি, সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান মন্ডলকে দুর্নীতির মামলায় ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড দিয়েছে একটি আদালত। সোমবার (২৯ মার্চ) স্পেশাল জজ (জেলা জজ) আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত খলিলুর রহমান মন্ডল শৈলকুপা পৌর এলাকার মৃত কেদার মন্ডলের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।

 

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৫১ নম্বর শৈলকুপা মৌজার ৫৫৪৫ দাগে ৫ শতক ও ৫৫৪৬ দাগে আরো তিন শতক মোট আট শতক জমি এস এ রেকর্ড অনুযায়ী খাস জমি। ১৯৭৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর খলিলুর ওই জমি ও ভবন সুষমা বালা নামের এক মহিলাকে দাতা ও নিজে গ্রহিতা হয়ে জাল দলিল করে নেন। ২০০৫ সালে খলিলুর রহমান মন্ডল স্বত্ববান দাবি করে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সরকারকে বিবাদী করে দেওয়ানি মামলা করেন। যার নম্বর ৩৪/২০০৫। মামলায় সরবরাহকৃত দলিল সঠিক কিনা তা জানতে চেয়ে আদালত প্রতিবেদন দিতে বলে জেলা রেজিস্টারকে। তদন্ত প্রতিবেদনে দলিল জাল বলে উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে সুচতুর খলিলুর রহমান দেওয়ানী মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। মেয়র থাকা অবস্থায় খলিলুর রহমান ওই জমির পুরতন ভবন ভেঙ্গে বহুতল ভবন তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেন।

 

খাস জমি জাল দলিলের মাধ্যমে দললের ২০০৮ সালের ১৫ আগষ্ট পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী খালিলুর রহমান মন্ডলকে অভিযুক্ত করে ঝিনাইদহ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দেন। এরপর ২০১৮ সালে মামলাটি সিনিয়র স্পেশাল আদালত ঝিনাইদহ থেকে যশোর স্পেশাল জজ আদালতে বদলি হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে খলিলুরর রহমান মন্ডলের বিরুদ্ধে জালজালিয়াতি, প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত খালিলুর রহমান মন্ডল কারাগারে আছেন।