শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংযুক্ত আরবআমিরাতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ইসরায়েলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে ইসরায়েল। গত বছর উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির আওতায় এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৫ জুলাই) ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একথা জানায়।

রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লিপিদ জানান, আরব আমিরাতে ইসরায়েলের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি আমির হাইককে বেছে নিয়েছেন। আমির হাইক একজন অর্থনীতিবিদ এবং ইসরায়েলের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক।

লিপিদ আরও বলেন, অর্থনীতি ও ট্যুরিজমখাতে আমির হাইকের ভালো জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে। তার ভাষায়, ‘ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের মধ্যে সুসম্পর্কের সেতু প্রতিষ্ঠায় হাইক সঠিক ব্যক্তি।’

এর আগে গত জুন মাসে আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে দূতাবাস চালু করে ইসরায়েল এবং জুলাই মাসে তেল আবিবে দূতাবাস চালু করে ইউএই।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনিরা সেসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই পদক্ষেপকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে বর্ণনা করে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এর নিন্দা জানিয়ে বলেছিলেন, এটি জেরুজালেম, আল-আকসা এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

একইসঙ্গে আরব আমিরাত থেকে ফিলিস্তিনি দূতকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এছাড়া ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের ক্ষমতাসীন দল হামাসও ইউএই’র এই পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে ছুরিকাঘাত বলে আখ্যায়িত করেছিল।

সংযুক্ত আরবআমিরাতে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ ইসরায়েলের

প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) প্রথমবারের মতো কোনো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে ইসরায়েল। গত বছর উভয় দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তির আওতায় এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৫ জুলাই) ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একথা জানায়।

রোববার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লিপিদ জানান, আরব আমিরাতে ইসরায়েলের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি আমির হাইককে বেছে নিয়েছেন। আমির হাইক একজন অর্থনীতিবিদ এবং ইসরায়েলের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক।

লিপিদ আরও বলেন, অর্থনীতি ও ট্যুরিজমখাতে আমির হাইকের ভালো জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে। তার ভাষায়, ‘ইসরায়েল ও আরব আমিরাতের মধ্যে সুসম্পর্কের সেতু প্রতিষ্ঠায় হাইক সঠিক ব্যক্তি।’

এর আগে গত জুন মাসে আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে দূতাবাস চালু করে ইসরায়েল এবং জুলাই মাসে তেল আবিবে দূতাবাস চালু করে ইউএই।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনিরা সেসময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই পদক্ষেপকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে বর্ণনা করে। ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এর নিন্দা জানিয়ে বলেছিলেন, এটি জেরুজালেম, আল-আকসা এবং ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

একইসঙ্গে আরব আমিরাত থেকে ফিলিস্তিনি দূতকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এছাড়া ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের ক্ষমতাসীন দল হামাসও ইউএই’র এই পদক্ষেপকে ফিলিস্তিনি জনগণের পিঠে ছুরিকাঘাত বলে আখ্যায়িত করেছিল।