শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ধান মিলল ১৫ হাজার বছরের পুরনো ভাইরাসের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। তিব্বত মালভূমিতে দুটি হিমবাহের মধ্যে ১৫ হাজার বছর পুরনো হিমায়িত অবস্থায় ৩৩টি ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ২৮টি নতুন ভাইরাস রয়েছে, যেগুলো বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা। গবেষকরা বলছেন, এসব ভাইরাস মানুষের জন্য ক্ষতিকর হওয়ার আশঙ্কা কম। গত সপ্তাহে মাইক্রোবায়োম জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে প্রাচীন ভাইরাসের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি অনেক মানুষকে অস্বস্তিতে ফেললেও গবেষকরা বলছেন, তাদের পরীক্ষা নিয়ে মানুষের চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই।
গবেষণা দলের সদস্য ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজিস্ট ঝি-পিং ঝং এক বিবৃতিতে বলেন, এই হিমবাহগুলো ধীরে ধীরে ধূলো ও গ্যাসের সঙ্গে গড়ে ওঠেছে। অনেক অনেক ভাইরাস এই বরফে আছে। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হিমবাহগুলো খুব ভালোভাবে গবেষণা করা হয়নি। আমাদের গবেষণার লক্ষ্য হলো অতীতের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে এই তথ্য ব্যবহার করা। আর ভাইরাস এই পরিবেশের অংশ।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গবেষক ম্যাথিউ সুল্লিভান বলেন, কীভাবে এমন চরমভাবাপন্ন পরিবেশে ভাইরাসগুলো দীর্ঘ ১৫ হাজার বছর ধরে সক্রিয় রয়েছে সেটাই আশ্চর্যের। আমরা যেভাবে কাজ করেছি তাতে নিউক্লেইক এসিড সরানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসগুলো মরে গেছে। তাই এগুলো আর সক্রিয় না।
 গবেষণাটির সিনিয়র গবেষক ও আর্থ সায়েন্টিস্ট লনি টম্পসন বলেন, এই ভাইরাসগুলো সম্পর্কে আমরা খুব সামান্যই জানি। জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের প্রতিক্রিয়া কেমন হয় তা জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কী ঘটবে যখন আমরা বরফ যুগ থেকে এখনকার মতো উষ্ণতার পর্বে যাব?

সন্ধান মিলল ১৫ হাজার বছরের পুরনো ভাইরাসের

প্রকাশের সময় : ০৭:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।। তিব্বত মালভূমিতে দুটি হিমবাহের মধ্যে ১৫ হাজার বছর পুরনো হিমায়িত অবস্থায় ৩৩টি ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে ২৮টি নতুন ভাইরাস রয়েছে, যেগুলো বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা। গবেষকরা বলছেন, এসব ভাইরাস মানুষের জন্য ক্ষতিকর হওয়ার আশঙ্কা কম। গত সপ্তাহে মাইক্রোবায়োম জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে প্রাচীন ভাইরাসের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি অনেক মানুষকে অস্বস্তিতে ফেললেও গবেষকরা বলছেন, তাদের পরীক্ষা নিয়ে মানুষের চিন্তিত হওয়ার কিছু নাই।
গবেষণা দলের সদস্য ওহাইয়ো স্টেট ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজিস্ট ঝি-পিং ঝং এক বিবৃতিতে বলেন, এই হিমবাহগুলো ধীরে ধীরে ধূলো ও গ্যাসের সঙ্গে গড়ে ওঠেছে। অনেক অনেক ভাইরাস এই বরফে আছে। চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় হিমবাহগুলো খুব ভালোভাবে গবেষণা করা হয়নি। আমাদের গবেষণার লক্ষ্য হলো অতীতের পরিবেশ সম্পর্কে জানতে এই তথ্য ব্যবহার করা। আর ভাইরাস এই পরিবেশের অংশ।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গবেষক ম্যাথিউ সুল্লিভান বলেন, কীভাবে এমন চরমভাবাপন্ন পরিবেশে ভাইরাসগুলো দীর্ঘ ১৫ হাজার বছর ধরে সক্রিয় রয়েছে সেটাই আশ্চর্যের। আমরা যেভাবে কাজ করেছি তাতে নিউক্লেইক এসিড সরানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসগুলো মরে গেছে। তাই এগুলো আর সক্রিয় না।
 গবেষণাটির সিনিয়র গবেষক ও আর্থ সায়েন্টিস্ট লনি টম্পসন বলেন, এই ভাইরাসগুলো সম্পর্কে আমরা খুব সামান্যই জানি। জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের প্রতিক্রিয়া কেমন হয় তা জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কী ঘটবে যখন আমরা বরফ যুগ থেকে এখনকার মতো উষ্ণতার পর্বে যাব?