শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট ও ফ্রেইট ফরওয়াডিং কর্মীদের করোনা টিকার দেয়ার দাবি

ঢাকা ব্যুরো ।।

করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচিতে অগ্রাধিকারে নেই সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরওয়াডিংয়ের কর্মীরা। যদিও মহামারির পুরো সময় জুড়েই দেশের আমদানি-রফতানির সাথে সংশ্লিষ্ট এসব প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য কর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস কাজ করে চলেছে।

করোনাকালে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কয়েক মিলিয়ন ফ্রন্টলাইন কর্মী তাদের কাজ চালিয়ে গেছেন। অন্যদিকে, করোনার এই সঙ্কটকালেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নিরলস কাজ করেছেন বেশ কিছু পেশার মানুষ।

সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরওয়াডিংয়ের কর্মীরা ফ্রন্টলাইনারের মতো কাজ করলেও স্বীকৃতি নেই এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে নিরলস কাজ করছেন এই খাতের অসংখ্য কর্মী।

অবিলম্বে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়াডার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, লকডাউনের শুরু থেকে সব ধরনের পণ্যের আমদানি-রফতানি হয়েছে। সি অ্যান্ড এফ এজেন্টরা করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ফুলটাইম কাজ করেছে। অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করলেও স্বীকৃতি নেই আমাদের। অন্যদের টিকার ব্যবস্থা করা হলেও আমাদের বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি নেই।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, টিকাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি জানাচ্ছি।

বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, সি অ্যান্ড এফের সদস্যদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্য সকল সদস্যকে টিকাদানের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এ খাতের অনেকের বয়স ৩৫ এর নিচে হওয়ায় বিশেষ কোটায় টিকা দেয়ার সুযোগের দাবি জানাচ্ছি।

টিকাদান এবং প্রণোদনার দাবি জানিয়ে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, শুরু থেকেই দেশের প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। আমাদের কর্মীরাও চিকিৎসক ও পুলিশের মতো অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। সরকার অবিলম্বে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে বলেই বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়াডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পাবলিক রিলেশন পরিচালক মো. কামরুজ্জামান ইবনে আমিন বলেন, করোনাকালীন এ সংকটের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমদানি-রফতানিতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছি। এ সঙ্কটের সময়ে আমাদের অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই, সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট ও ফ্রেইট ফরওয়াডিং কর্মীদের করোনা টিকার দেয়ার দাবি

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

ঢাকা ব্যুরো ।।

করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচিতে অগ্রাধিকারে নেই সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরওয়াডিংয়ের কর্মীরা। যদিও মহামারির পুরো সময় জুড়েই দেশের আমদানি-রফতানির সাথে সংশ্লিষ্ট এসব প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য কর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস কাজ করে চলেছে।

করোনাকালে স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও কয়েক মিলিয়ন ফ্রন্টলাইন কর্মী তাদের কাজ চালিয়ে গেছেন। অন্যদিকে, করোনার এই সঙ্কটকালেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে নিরলস কাজ করেছেন বেশ কিছু পেশার মানুষ।

সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এবং ফ্রেইট ফরওয়াডিংয়ের কর্মীরা ফ্রন্টলাইনারের মতো কাজ করলেও স্বীকৃতি নেই এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে নিরলস কাজ করছেন এই খাতের অসংখ্য কর্মী।

অবিলম্বে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়াডার্স অ্যাসোসিয়েশন।

বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, লকডাউনের শুরু থেকে সব ধরনের পণ্যের আমদানি-রফতানি হয়েছে। সি অ্যান্ড এফ এজেন্টরা করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ফুলটাইম কাজ করেছে। অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করলেও স্বীকৃতি নেই আমাদের। অন্যদের টিকার ব্যবস্থা করা হলেও আমাদের বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি নেই।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, টিকাদানের বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি জানাচ্ছি।

বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস সম্পাদক মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, সি অ্যান্ড এফের সদস্যদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্য সকল সদস্যকে টিকাদানের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। এ খাতের অনেকের বয়স ৩৫ এর নিচে হওয়ায় বিশেষ কোটায় টিকা দেয়ার সুযোগের দাবি জানাচ্ছি।

টিকাদান এবং প্রণোদনার দাবি জানিয়ে ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, শুরু থেকেই দেশের প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। আমাদের কর্মীরাও চিকিৎসক ও পুলিশের মতো অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। সরকার অবিলম্বে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে বলেই বিশ্বাস করি।

বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়াডার্স অ্যাসোসিয়েশনের পাবলিক রিলেশন পরিচালক মো. কামরুজ্জামান ইবনে আমিন বলেন, করোনাকালীন এ সংকটের সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমদানি-রফতানিতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছি। এ সঙ্কটের সময়ে আমাদের অনেক ছোট প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাই, সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।