মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সেরা আমের তালিকায় মাগুরার ‘ব্যানানা ম্যাংগো’

স্টাফ রিপোর্টার ।।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে থোকায় থোকায় কলা ঝুলছে। আসলে এগুলো কলা নয়, আম। আম গাছে আমই ঝুলছে। তবে এটি কোনো সাধারণ আম নয়। নতুন জাতের এই আম দেখতে অবিকল সাগর কলার মতো। তাই এর নামকরণ করা হয়েছে ‘ব্যানানা ম্যাংগো’।

মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে গেলে এ আমের দেখা মিলবে। প্রতিদিনই মানুষ এখানে এ আম দেখতে ও চারা সংগ্রহ করতে আসছেন।

মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ জাতের সঙ্গে এ আমের শুধু চেহারার নয়, অমিল রয়েছে ফলন, স্বাদ, গন্ধ ও গুণাগুণের দিক থেকেও। যে কারণে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। আম্রপালি থেকে এ আম অনেক ভালো হবে। প্রতিদিন এ আম দেখতে ও চারা সংগ্রহ করতে মানুষ সেন্টারে আসছেন। আমের এ জাত এখনো পরিচিতি পায়নি। তবে আম্রপালির থেকেও ভালো হবে এ আম। দুই বছরের মধ্যেই ব্যাপক ফলন পাওয়া যাবে।

কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, দেশে প্রচলিত জাতের চেয়ে এ আমে ফলন দ্বিগুণের বেশি। কলার মতো দেখতে এ আম পাকলে দেশি পাকা সাগর কলার মতো রং ও চেহারা ধারণ করে। হালকা টকমিশ্রিত মিষ্টি এ আমের বৈশিষ্ট্য হলো, এর আঁটি খুব ছোট ও খোসা পাতলা।

প্রকৃত আমের স্বাদ রয়েছে এ আমে, যা এখন হারাতে বসেছে। কিছুটা নাবি এ আম পাকলে প্রায় এক মাস ঘরে রাখা যায়। এখন আমে রং আসতে শুরু করেছে। তবে প্রচলিত জাতের আমের চেয়ে ফলন দ্বিগুণ হওয়ায় এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যান তত্ত্ববিদ রোকনুজ্জামান জানান, থাইল্যান্ড থেকে এ আমের ডাল এনে স্থানীয় জাতের আমগাছের সঙ্গে তিনটি কলম (গ্রাফটিং) করে বংশবিস্তার করা হয়। কলম থেকে লাগানো তিনটি গাছের প্রতিটিতেই প্রথম বছর গড়ে শতাধিক করে আম ধরে।

গত বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কলমের কিছু চারা বিক্রি ও বিতরণ করা হয়। এ বছর উদ্যানে প্রতিটি গাছেই অনেক আম ধরেছে।

সেরা আমের তালিকায় মাগুরার ‘ব্যানানা ম্যাংগো’

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার ।।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে থোকায় থোকায় কলা ঝুলছে। আসলে এগুলো কলা নয়, আম। আম গাছে আমই ঝুলছে। তবে এটি কোনো সাধারণ আম নয়। নতুন জাতের এই আম দেখতে অবিকল সাগর কলার মতো। তাই এর নামকরণ করা হয়েছে ‘ব্যানানা ম্যাংগো’।

মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারে গেলে এ আমের দেখা মিলবে। প্রতিদিনই মানুষ এখানে এ আম দেখতে ও চারা সংগ্রহ করতে আসছেন।

মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ জাতের সঙ্গে এ আমের শুধু চেহারার নয়, অমিল রয়েছে ফলন, স্বাদ, গন্ধ ও গুণাগুণের দিক থেকেও। যে কারণে চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। আম্রপালি থেকে এ আম অনেক ভালো হবে। প্রতিদিন এ আম দেখতে ও চারা সংগ্রহ করতে মানুষ সেন্টারে আসছেন। আমের এ জাত এখনো পরিচিতি পায়নি। তবে আম্রপালির থেকেও ভালো হবে এ আম। দুই বছরের মধ্যেই ব্যাপক ফলন পাওয়া যাবে।

কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, দেশে প্রচলিত জাতের চেয়ে এ আমে ফলন দ্বিগুণের বেশি। কলার মতো দেখতে এ আম পাকলে দেশি পাকা সাগর কলার মতো রং ও চেহারা ধারণ করে। হালকা টকমিশ্রিত মিষ্টি এ আমের বৈশিষ্ট্য হলো, এর আঁটি খুব ছোট ও খোসা পাতলা।

প্রকৃত আমের স্বাদ রয়েছে এ আমে, যা এখন হারাতে বসেছে। কিছুটা নাবি এ আম পাকলে প্রায় এক মাস ঘরে রাখা যায়। এখন আমে রং আসতে শুরু করেছে। তবে প্রচলিত জাতের আমের চেয়ে ফলন দ্বিগুণ হওয়ায় এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-সহকারী উদ্যান তত্ত্ববিদ রোকনুজ্জামান জানান, থাইল্যান্ড থেকে এ আমের ডাল এনে স্থানীয় জাতের আমগাছের সঙ্গে তিনটি কলম (গ্রাফটিং) করে বংশবিস্তার করা হয়। কলম থেকে লাগানো তিনটি গাছের প্রতিটিতেই প্রথম বছর গড়ে শতাধিক করে আম ধরে।

গত বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কলমের কিছু চারা বিক্রি ও বিতরণ করা হয়। এ বছর উদ্যানে প্রতিটি গাছেই অনেক আম ধরেছে।