মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী যৌক্তিক : মোস্তফা

ঢাকা ব্যুরো ।।

দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মানবিক ও যৌক্তিক কারণেই এই দাবি মেনে নেয়া উচিত সরকারের।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তিন যুগ ধরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা কেউ বিনা বেতন আবার কেউ সামান্য বেতনে শিক্ষাসেবা অব্যাহত রেখেছে। বারবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু অসহায় শিক্ষকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি অবশ্যই মেনে নিতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষকরা জাতির সম্পদ। তাদের স্নেহ-মমতায় শিক্ষার্থীরা আদর্শবান হিসেব গড়ে উঠে। শিক্ষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন না করলে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। অতএব শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের বিভিন্ন আন্দোলন চলাকালে সরকারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব শিক্ষক সমিতির দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু, দু:খজনক হলেও সত্য সেই আশ্বাস আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এত সময়েও সেই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়াটা কি প্রমান করে না সরকারের তাদের সাথে অনেকটাই প্রতারনা করেছে ?

সংগঠনের সভাপতি কাজী ফয়েজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়েখ খন্দকার গোলাম নকশাবন্দি, আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. একে এম ইয়াকুব হোসাইন, বাংলাদেশ ইসলামিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেছবাহুর রহমান চৌধুরী, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাত হোসেন, সমিতির উপদেষ্টা মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

সভায় উত্থাপিত দাবীগুলো হলো- কোডবিহীন মাদরাসাগুলাে বাের্ডের মাধ্যমে কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা নীতিমালা-২০১৮ সংশােধন করে আলিম শিক্ষক এক জনের পরিবর্তে এইচএসসি পাস-সমমান এক জন অন্তর্ভুক্ত করা, প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় অফিস সহায়ক নিয়ােগ, প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদেরকে পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণ এবং প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার স্থায়ী রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা।

আলোচনা সভা আলোচকবৃন্দ বলেন, প্রাইমারির মতো ইবতেদায়ি মাদারাসায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। সরকারের বিভিন্ন কাজ প্রাইমারির শিক্ষকদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরাও করে থাকেন। ১৯৯৪ সালে প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদেরও ৫০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাইমারির শিক্ষকদের বেতন ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করার পরও তাদেরকে ২০১৩ সালে বর্তমান সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে। অথচ মাত্র ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন ৫০০ থেকে বৃদ্ধি করে প্রধান শিক্ষক ২৫০০ এবং সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা পান। যা এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে অমানবিক। বাকি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলাে কোনো বেতন ভাতা পায় না।

ওয়ানডে তিন ম্যাচের সিরিজে শেষখেলায় শ্রীলংকাকে ৪ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবী যৌক্তিক : মোস্তফা

প্রকাশের সময় : ০৫:৩৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

ঢাকা ব্যুরো ।।

দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণের দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মানবিক ও যৌক্তিক কারণেই এই দাবি মেনে নেয়া উচিত সরকারের।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, তিন যুগ ধরে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা কেউ বিনা বেতন আবার কেউ সামান্য বেতনে শিক্ষাসেবা অব্যাহত রেখেছে। বারবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু অসহায় শিক্ষকদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি অবশ্যই মেনে নিতে হবে।

তিনি বলেন, শিক্ষকরা জাতির সম্পদ। তাদের স্নেহ-মমতায় শিক্ষার্থীরা আদর্শবান হিসেব গড়ে উঠে। শিক্ষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন না করলে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। অতএব শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষকদের বিভিন্ন আন্দোলন চলাকালে সরকারের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট দফতরের সচিব শিক্ষক সমিতির দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু, দু:খজনক হলেও সত্য সেই আশ্বাস আজও বাস্তবায়ন হয়নি। এত সময়েও সেই আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়াটা কি প্রমান করে না সরকারের তাদের সাথে অনেকটাই প্রতারনা করেছে ?

সংগঠনের সভাপতি কাজী ফয়েজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শায়েখ খন্দকার গোলাম নকশাবন্দি, আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ঢাকা আলিয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. একে এম ইয়াকুব হোসাইন, বাংলাদেশ ইসলামিক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মেছবাহুর রহমান চৌধুরী, গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহদাত হোসেন, সমিতির উপদেষ্টা মুফতী মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান প্রমুখ।

সভায় উত্থাপিত দাবীগুলো হলো- কোডবিহীন মাদরাসাগুলাে বাের্ডের মাধ্যমে কোড নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা নীতিমালা-২০১৮ সংশােধন করে আলিম শিক্ষক এক জনের পরিবর্তে এইচএসসি পাস-সমমান এক জন অন্তর্ভুক্ত করা, প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় অফিস সহায়ক নিয়ােগ, প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদেরকে পিটিআই ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা, প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণ এবং প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার স্থায়ী রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা।

আলোচনা সভা আলোচকবৃন্দ বলেন, প্রাইমারির মতো ইবতেদায়ি মাদারাসায় সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। সরকারের বিভিন্ন কাজ প্রাইমারির শিক্ষকদের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরাও করে থাকেন। ১৯৯৪ সালে প্রাইমারির মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদেরও ৫০০ টাকা ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রাইমারির শিক্ষকদের বেতন ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করার পরও তাদেরকে ২০১৩ সালে বর্তমান সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে। অথচ মাত্র ১ হাজার ৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন ৫০০ থেকে বৃদ্ধি করে প্রধান শিক্ষক ২৫০০ এবং সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা পান। যা এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে অমানবিক। বাকি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলাে কোনো বেতন ভাতা পায় না।