শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় আমরা পিছিয়ে রয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

বেষণালব্ধ জ্ঞান দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি প্রায়োগিক গবেষণাতেও জোর দিয়ে দেশের অব্যবহৃত সম্পদকে গবেষণার মাধ্যমে মানুষের কাজে লাগানোর আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গবেষণার সাথে সাথে এই গবেষণালব্ধ জ্ঞান আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তার ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি প্রয়োগিক গবেষণার ওপরও জোর দিতে হবে। এ বিষয়ে যারা গবেষক তারা নিশ্চয়ই এ বিষয়ে কাজ করবেন।

কৃষি খাতের গবেষণা অনেকটা এগিয়ে গেলেও স্বাস্থ্য খাত যে এ বিষয়ে পিছিয়ে আছে, সে বিষয়টি তুলে ধরে দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সব খাতেই গবেষণা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেক অমূল্য সম্পদ রয়ে গেছে যা আমরা এখনও ব্যবহার করতে পারিনি বা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, সেগুলোও আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এর ওপর গবেষণা করে সেগুলোও যাতে দেশের মানুষের কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বা খাদ্য উৎপাদন বা ইঞ্জিনিয়ারিং বা অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই গবেষণা প্রয়োজন। আসলে গবেষণা ছাড়া উৎকর্ষ সাধন হয় না। আর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে আমাদের গবেষণা একান্তভাবে দরকার। সেজন্য সবাইকে গবেষণার দিকে একটু নজর দেয়া দরকার। আর সারাবিশ্বে প্রযুক্তি ব্যবহারের যে প্রভাব বেড়েছে সেই প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদেরকেও গবেষণায় সবসময় নজর দিতে হবে।

বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তির এ যুগে যেসব দেশ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে, তারাই অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত উন্নতি করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বাস্থ্য খাতের গবেষণায় পিছিয়ে থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, অন্যান্য গবেষণায় এগিয়ে গেলেও আমাদের দেশ স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় পিছিয়ে রয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা কম হচ্ছে।

সরকার স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুব কম আমাদের চিকিৎসক আছে, যারা আসলে রোগীর সেবা দিতে যতটা আগ্রহী, ঠিক গবেষণার দিকে নেই। হাতে গোনা কয়েকজনই নিয়মিত গবেষণা করেন। তবে এই ক্ষেত্রে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি যে আমাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণাটা একান্তভাবে দরকার।

বাংলাদেশ এখন বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণায় যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে। আর গবেষণাটা এমন না যে ওখানেই শেষ হয়ে যাবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী স্বাগত বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে নবনির্মিত ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স’এর ওপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়।

স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় আমরা পিছিয়ে রয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:৩৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২২

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

বেষণালব্ধ জ্ঞান দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি প্রায়োগিক গবেষণাতেও জোর দিয়ে দেশের অব্যবহৃত সম্পদকে গবেষণার মাধ্যমে মানুষের কাজে লাগানোর আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, গবেষণার সাথে সাথে এই গবেষণালব্ধ জ্ঞান আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কীভাবে ব্যবহার করা যায় তার ওপর আমরা জোর দিচ্ছি। মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি প্রয়োগিক গবেষণার ওপরও জোর দিতে হবে। এ বিষয়ে যারা গবেষক তারা নিশ্চয়ই এ বিষয়ে কাজ করবেন।

কৃষি খাতের গবেষণা অনেকটা এগিয়ে গেলেও স্বাস্থ্য খাত যে এ বিষয়ে পিছিয়ে আছে, সে বিষয়টি তুলে ধরে দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সব খাতেই গবেষণা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অনেক অমূল্য সম্পদ রয়ে গেছে যা আমরা এখনও ব্যবহার করতে পারিনি বা ধরা ছোঁয়ার বাইরে, সেগুলোও আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। এর ওপর গবেষণা করে সেগুলোও যাতে দেশের মানুষের কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বা খাদ্য উৎপাদন বা ইঞ্জিনিয়ারিং বা অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই গবেষণা প্রয়োজন। আসলে গবেষণা ছাড়া উৎকর্ষ সাধন হয় না। আর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে গেলে আমাদের গবেষণা একান্তভাবে দরকার। সেজন্য সবাইকে গবেষণার দিকে একটু নজর দেয়া দরকার। আর সারাবিশ্বে প্রযুক্তি ব্যবহারের যে প্রভাব বেড়েছে সেই প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদেরকেও গবেষণায় সবসময় নজর দিতে হবে।

বিজ্ঞান ও উন্নত প্রযুক্তির এ যুগে যেসব দেশ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে, তারাই অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত উন্নতি করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আমাদের স্বাস্থ্য খাতের গবেষণায় পিছিয়ে থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, অন্যান্য গবেষণায় এগিয়ে গেলেও আমাদের দেশ স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণায় পিছিয়ে রয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা কম হচ্ছে।

সরকার স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুব কম আমাদের চিকিৎসক আছে, যারা আসলে রোগীর সেবা দিতে যতটা আগ্রহী, ঠিক গবেষণার দিকে নেই। হাতে গোনা কয়েকজনই নিয়মিত গবেষণা করেন। তবে এই ক্ষেত্রে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি যে আমাদের স্বাস্থ্য বিষয়ে গবেষণাটা একান্তভাবে দরকার।

বাংলাদেশ এখন বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণায় যথেষ্ট এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, আমাদের এগিয়ে যেতেই হবে। আর গবেষণাটা এমন না যে ওখানেই শেষ হয়ে যাবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী স্বাগত বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে নবনির্মিত ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স’এর ওপর একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়।