মানববন্ধনে প্রতারিত গ্রাহকরা জানান,এ ঘটনার পর থেকে প্রায় ১ মাস ধরে ব্যাংকে আসছেন না ওই কর্মকর্তা। এ নিয়ে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাচ্ছেন ভুক্তভোগী ঋণ গ্রহীতারা। অভিযুক্ত আজিজুর রহমান রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার সিনিয়র অফিসার (মাঠ)।
জানা গেছে, প্রায় ৪০ জন গ্রাহকের ঋণের টাকা আত্মসাত করেন ব্যাংক কর্মকর্তা আজিজুর রহমান। গ্রাহকরা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে অল্প কিছু টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন আজিজুর রহমান। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সমঝোতা বৈঠক হয়।
কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত না পেয়ে গ্রাহকরা রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের পর থেকে প্রায় এক মাস ধরে ব্যাংকে আসছেন না ওই কর্মকর্তা। এদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আজিজুর ইসলামকে বার বার অফিসে আসার নোটিশ দিলেও তিনি অফিস করছেন না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক গ্রাহক সেলিম উদ্দিন সুমন বলেন, আমার নামে দুই লক্ষ টাকা ঋণ পাশ হয়। কিন্তু আজিজুর মাত্র ৫০ হাজার টাকা আমাকে দেয়। বাকি টাকা কিছুদিন পরে দিবেন বলে সময় নেয়। কিন্তু তিনি একের পর এক সময় নিয়েও টাকা দেননি। পরে স্থানীয় ভাবে সমঝোতা বৈঠক হয়।
গ্রাহক আরও বলেন, এরপর থেকে ওই কর্মকর্তা আর ব্যাংকে আসছেন না। প্রতিদিন ব্যাংকে তাকে না পেয়ে ফিরত আসছি। তাই ব্যাংক ব্যবস্থাপক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি। এরপরেও এই ব্যাপারে কোন সুফল পাচ্ছি না।
অপর এক ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার নামে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ পাশ হয়। আমাকে মাত্র ৮০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
আরেক এক ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার নামে ৪ লক্ষ টাকা ঋণ পাশ হয়। আর আমাকে মাত্র ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দেয়। এখনো ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা আজিজুরের কাছে পাবো। ব্যাংকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার সিনিয়র অফিসার (মাঠ) আজিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক হাতীবান্ধা শাখার ব্যবস্থাপক রুহুল আমিন বলেন, প্রায় ৪০ জন গ্রাহক আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রায় ১ মাস ধরে ব্যাংকে আসছেন না। তাকে বার বার অফিসে আসার নোটিশ দিলেও তিনি অফিসে আসছেন না।এ বিষয়ে লালমনিরহাট জোনাল ম্যানেজার মাহিদুল ইসলাম বলেন, আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। তিনি অফিস করছেন না এবং আমাদের সাথে যোগাযোগও করছেন না। আমরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।