মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাতীবান্ধায় শত্রুতার বিষে পুড়ল কৃষকের ৫ বিঘা ধানক্ষেত

ছবি: বার্তাকণ্ঠ

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট ।।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় রোপণকৃত বোরো ধান ক্ষেতে ক্ষতিকারক কীটনাশক (বিষ) স্প্রে করে ৫ বিঘা জমির ধান ক্ষেতের গাছ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টম্বর) রাতে হাতীবান্ধা থানায় দুই ভাইসহ সন্দেহভাজন ১৩ জনের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ করেন আমিনুর রহমান আমিন । এর আগে গত শনিবার সকালে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালাল গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান আমিনের তফশীল বর্নিত ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেন। গত শুক্রবার রাতে জমি নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জেরে ওই জমিতে ক্ষতিকার কিটনাশক স্প্রে করে দুই ভাই ওমর আলী ও আ: সোবাহানের প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে ধানগাছগুলো বিবর্ণ হয়ে মরে যেতে শুরু করেছে।

ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আপন দুই ভাই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ওমর আলী ও আ: সোবাহানসহ ১৩ জনের নাম উল্লোখ করে থানায় অভিযোগ করেন বড়ভাই আমিনুর রহমান আমিন।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আমিনুর রহমান আমিন (৭৩) জানান, দালালপাড়া গ্রামের ওমর আলী,আব্দুস সোবাহান, রেজাউল ও মনোয়ার গ্রুপের লোকজনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার রাতের আধারে ওমর আলীর লোকজন আমার ৫ বিঘা জমির ধান ক্ষেত ঘাস মারা ঔষধ স্প্রে করে পুড়িয়ে দেয়। এঘটনায় আমি কঠিন ক্ষতি গ্রস্থ। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এবিষয়ে আমিনুর রহমান আমিনের বড়ছেলে আ: রাজ্জাক লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা কৃষি অফিসার ও নিবার্হী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ওই ভুক্তভুগি কৃষক ঘটনাটি জানালে আমি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। কৃষক আমিনুর রহমান আমিনের ৫ বিঘা জমির ধান ক্ষেত পুরে গেছে।

অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ওমর আলী জানান, আমি রংপুর বসবাস করি আমি কিভাবে গ্রামে গিয়ে তাদের ধান ক্ষেত নষ্ট করি। তারা নিজেই ধান ক্ষেত নষ্ট করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি দাবী করে বলেন,আমার বড়ভাই আমাদের পাঁচ ভাই বোনের জমি নিজেই দখলে নিয়েছে এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, বিষয়টি শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখত আবেদন করতে বলছি। ক্ষতিগ্রস্থ ধান ক্ষেত পরিদর্শন করা হবে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা স্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

হাতীবান্ধায় শত্রুতার বিষে পুড়ল কৃষকের ৫ বিঘা ধানক্ষেত

প্রকাশের সময় : ০২:৩০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১

মোস্তাফিজুর রহমান, লালমনিরহাট ।।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় রোপণকৃত বোরো ধান ক্ষেতে ক্ষতিকারক কীটনাশক (বিষ) স্প্রে করে ৫ বিঘা জমির ধান ক্ষেতের গাছ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টম্বর) রাতে হাতীবান্ধা থানায় দুই ভাইসহ সন্দেহভাজন ১৩ জনের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগ করেন আমিনুর রহমান আমিন । এর আগে গত শনিবার সকালে উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালাল গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান আমিনের তফশীল বর্নিত ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেন। গত শুক্রবার রাতে জমি নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জেরে ওই জমিতে ক্ষতিকার কিটনাশক স্প্রে করে দুই ভাই ওমর আলী ও আ: সোবাহানের প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে ধানগাছগুলো বিবর্ণ হয়ে মরে যেতে শুরু করেছে।

ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আপন দুই ভাই অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ওমর আলী ও আ: সোবাহানসহ ১৩ জনের নাম উল্লোখ করে থানায় অভিযোগ করেন বড়ভাই আমিনুর রহমান আমিন।

ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আমিনুর রহমান আমিন (৭৩) জানান, দালালপাড়া গ্রামের ওমর আলী,আব্দুস সোবাহান, রেজাউল ও মনোয়ার গ্রুপের লোকজনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত শুক্রবার রাতের আধারে ওমর আলীর লোকজন আমার ৫ বিঘা জমির ধান ক্ষেত ঘাস মারা ঔষধ স্প্রে করে পুড়িয়ে দেয়। এঘটনায় আমি কঠিন ক্ষতি গ্রস্থ। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

এবিষয়ে আমিনুর রহমান আমিনের বড়ছেলে আ: রাজ্জাক লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা কৃষি অফিসার ও নিবার্হী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ফকিরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ওই ভুক্তভুগি কৃষক ঘটনাটি জানালে আমি সরেজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেছি। কৃষক আমিনুর রহমান আমিনের ৫ বিঘা জমির ধান ক্ষেত পুরে গেছে।

অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ওমর আলী জানান, আমি রংপুর বসবাস করি আমি কিভাবে গ্রামে গিয়ে তাদের ধান ক্ষেত নষ্ট করি। তারা নিজেই ধান ক্ষেত নষ্ট করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি দাবী করে বলেন,আমার বড়ভাই আমাদের পাঁচ ভাই বোনের জমি নিজেই দখলে নিয়েছে এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলছে।

হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, বিষয়টি শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখত আবেদন করতে বলছি। ক্ষতিগ্রস্থ ধান ক্ষেত পরিদর্শন করা হবে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা স্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।