ঢাকা ব্যুরো ।।
নারায়নগঞ্জেরর রুপগঞ্জ হাশেম ফুড কারখানায় আগুনে নিহতদের মৃতদেহ নেওয়ার অপেক্ষায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে ভিড় করেছেন স্বজনরা। বুধবার (৪ অগস্ট) সকাল থেকেই নিহতদের স্বজনরা তাদের মৃতদেহ নেওয়ার জন্য মর্গে আসতে শুরু করেন।
নিহত রিপন ইয়াছিনের (২২) মা লিলি বেগম। ছেলের লাশ নিতে আসছে মর্গে। তিনি ছেলের লাশ চান না। তিনি চেয়েছিলেন মা বলে ডাক দিবে তার ছেলে। এই বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন লিলি বেগম।
লিলি বেগম বলেন, তাদের বাড়ি রুপগঞ্জ ভুলতা গাউছিয়ায়। তিন ছেলের মধ্যে রিপন ছিল ছোট। কারখার চার তলায় কাজ করতো। পাশাপাশি স্থানীয় কলেজে প্রথম বর্ষে পড়ত। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি আমার ছেলের লাশ চাই না, টাকা পয়সা চাই না। আমি ছেলের মুখ থেকে মা ডাক শুনতে চাই।
নারায়নগঞ্জ রুপগঞ্জে হাশেম ফুড কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় নিহত ৪৫ জন শ্রমিকের মৃতদেহের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল থেকে ২৪টি মরদেহ দুপুরের দিকে হস্তান্তর করা হবে। বুধবার দুপুরে হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিআইডি নারায়নগঞ্জ জেলার সিনিয়র এএসপি হারুন অর রশিদ।
তিনি জানান, নারায়নগঞ্জের আগুনে নিহত ৪৮ মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৪৫টি মরদেহের ডিএনএ শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে থেকে ২৪ মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। সকালে আমরা কলেজ মর্গে এসেছি। এর মধ্যে স্বজনরাও মর্গে চলে এসেছে। তাদের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধের কাজ চলছে।