শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প

শহিদ জয়, যশোর।।      
১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর যশোর-খুলনার ৪৬ উপজেলায় পাঁচ লক্ষাধিক কৃষকের আধুনিক সেচ সুবিধা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এ অ লে খাল খনন করে পানির প্রয়োজনীয় ব্যবহার ও সেচ পাম্প স্থাপন করে সেচ সুবিধা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। বুধবার যশোরের চাঁচড়ায় আধুনিক সেচ ব্যবস্থানায় বিএডিসির ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএডিসির যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল রশিদ জানিয়েছেন, ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে বৃহত্তর খুলনা-যশোর জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়। ৬ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে খুলনা বিভাগের ৭ জেলার ৪৬ উপজেলায় ৩০০ কিলোমিটার খাল খনন, ১০০টি ১২শ’ মিটার ও ১০০টি এক হাজার মিটারের সেচ পাম্প স্থাপন, কালভার্ট ও বক্সকালভার্ট নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়ন করা হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচ লক্ষাধিক কৃষক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুফল পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, গ্রাম পর্যায়ে খাল খননের ফলে সেখানকার কৃষক পাট জাগ দিচ্ছেন। সেই খালের পানি প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করতে পারছেন।
যশোরের কেশবপুরের কৃষক সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, বৃহত্তর খুলনা-যশোর জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের এলাকার চাষিরা সুফল পাচ্ছেন। বিশেষ করে ইরিগেশনে তাদের আগে সেচের সমস্যা থাকলেও এখন সেটা সমাধান হয়েছে।
এদিকে বুধবারের এই সেমিনার থেকে ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধ নিরসনে বিএডিসিকে ভূমিকা নিতে কৃষক ও অংশগ্রহণকারী অন্যরা উদ্যোগ নিতে আহবান জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, সেখানকার পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে দূরে সরিয়ে সেচ কাজে ব্যবহার করলে ভুক্তভোগী মানুষগুলোর দুর্ভোগ লাঘব হতে পারে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএডিসির ক্ষুদ্রসেচ’র পরিচালক (সদস্য) জিয়াউল হক। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএডিসির প্রধান প্রকৌশলী লুৎফর রহমান।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিএডিসির যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল রশিদ। বক্তব্য রাখেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান রোমেল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউপ যশোর সাদু পানি উপ-কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরীফুল ইসলাম, বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা, কৃষক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

রাজনীতিতে নাম লেখাতে যাচ্ছেন সানিয়া মির্জা

১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিএডিসির ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প

প্রকাশের সময় : ০৯:৪১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
শহিদ জয়, যশোর।।      
১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর যশোর-খুলনার ৪৬ উপজেলায় পাঁচ লক্ষাধিক কৃষকের আধুনিক সেচ সুবিধা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এ অ লে খাল খনন করে পানির প্রয়োজনীয় ব্যবহার ও সেচ পাম্প স্থাপন করে সেচ সুবিধা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের। বুধবার যশোরের চাঁচড়ায় আধুনিক সেচ ব্যবস্থানায় বিএডিসির ভূমিকা শীর্ষক এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।
বিএডিসির যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল রশিদ জানিয়েছেন, ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে বৃহত্তর খুলনা-যশোর জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়। ৬ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে খুলনা বিভাগের ৭ জেলার ৪৬ উপজেলায় ৩০০ কিলোমিটার খাল খনন, ১০০টি ১২শ’ মিটার ও ১০০টি এক হাজার মিটারের সেচ পাম্প স্থাপন, কালভার্ট ও বক্সকালভার্ট নির্মাণসহ অন্যান্য উন্নয়ন করা হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচ লক্ষাধিক কৃষক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সুফল পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, গ্রাম পর্যায়ে খাল খননের ফলে সেখানকার কৃষক পাট জাগ দিচ্ছেন। সেই খালের পানি প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করতে পারছেন।
যশোরের কেশবপুরের কৃষক সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, বৃহত্তর খুলনা-যশোর জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের এলাকার চাষিরা সুফল পাচ্ছেন। বিশেষ করে ইরিগেশনে তাদের আগে সেচের সমস্যা থাকলেও এখন সেটা সমাধান হয়েছে।
এদিকে বুধবারের এই সেমিনার থেকে ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধ নিরসনে বিএডিসিকে ভূমিকা নিতে কৃষক ও অংশগ্রহণকারী অন্যরা উদ্যোগ নিতে আহবান জানিয়েছেন। তাদের ভাষ্য, সেখানকার পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে দূরে সরিয়ে সেচ কাজে ব্যবহার করলে ভুক্তভোগী মানুষগুলোর দুর্ভোগ লাঘব হতে পারে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএডিসির ক্ষুদ্রসেচ’র পরিচালক (সদস্য) জিয়াউল হক। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএডিসির প্রধান প্রকৌশলী লুৎফর রহমান।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিএডিসির যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল রশিদ। বক্তব্য রাখেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান রোমেল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউপ যশোর সাদু পানি উপ-কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরীফুল ইসলাম, বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী সোহেল রানা, কৃষক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।