মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৪ দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে আটকা দু‘হাজার পণ্যবাহী ট্রাক, জনদুর্ভোগ চরমে

বেনাপোল প্রতিনিধি ।।
বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে স্থান সংকট, দুই সপ্তাহ ধরে বেনাপোল বন্দরে আটকা দেড় হাজার পন্যবাহি ট্রাক। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানিকৃত পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন পণ্য নিয়ে শত শত ট্রাক বেনাপোল বন্দরে অপেক্ষায় রয়েছে।
যে পরিমাণ পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারতে রপ্তানির জন্য আসছে তার অর্ধেক ট্রাক ভারতে যাওয়ার অনুমতি না মেলায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বন্দর এলাকায়। প্রতিদিন ৪০০ শত পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল আসলেও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের জায়গা সংকটের কারণ দেখিয়ে তারা প্রতিদিন মাত্র ৯০-১০০ ট্রাক তাদের বন্দরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে। যার কারণে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দরে রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাকের জট সৃষ্টি হয়েছে। এতে রপ্তানি বাণিজ্যেও বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারপর ও রপ্তানিকৃত এ সমস্ত পন্যবাহি ট্রাক রাখা মত টার্মিনাল বা স্থান বেনাপোল বন্দরে ও নেই।বন্দরের আশেপাশের শাখা রাস্তাই ও রাখা হয়েছে রপ্তানিকৃত পন্যবাহি ট্রাক ।
সময়মত এসব পণ্য রপ্তানি না হওয়ায় প্রতিদিন ট্রাক ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে রপ্তানিকারকদের। ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় দুই হাজার রপ্তানিকৃত পণ্যবোঝাই ট্রাক দুই সপ্তাহ ধরে বেনাপোল বন্দরসহ আশপাশের প্রধান সড়ক এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে বন্দর এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজট। জনদুর্ভোগ চরমে।
বেনাপোল চেকপোস্ট রপ্তানি গেট থেকে শার্শা উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীসহ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের দিন দিন ভোগান্তি বাড়ছে।
স্থানীয় সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভারত প্রতিদিন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি করলেও বাংলাদেশি পণ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা বরাবরই নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। ভারত আগে পণ্যবোঝাই ১৫০ থেকে ২৫০ ট্রাক গ্রহণ করলেও বর্তমানে ৯০ থেকে ১০০ ট্রাক গ্রহণ করছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করলেও সমস্যা নিরাসনে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।
আটকে থাকা রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকের কারণে সড়কে রিকশা-ভ্যানও যাতায়াত করতে পারছে না। অনেকে শার্শা সদর থেকে হেঁটে চেকপোস্টে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে রোগী, নারী ও শিশুদের কষ্টের শেষ নেই। এ অবস্থায় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন সভা করে এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে রপ্তানি বাণিজ্য রাত ১১টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ওপর যত্রতত্র পণ্যবোঝাই প্রায় দুই হাজার ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। জায়গার অভাবে বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে ট্রাকগুলো যেমন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তেমনি জায়গা না থাকায় ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর থেকে আমদানি পণ্যবোঝাই ট্রাকও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন পণ্য নিয়ে যত ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে যায়, সেগুলোর স্থান সংকুলান করতে পারছে না সেখানকার বন্দর কর্তৃপক্ষ। কারণ, সেখানেও পণ্য নিয়ে বাংলাদেশমুখী প্রায় আড়াই হাজার ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।
বেনাপোল ট্রাক মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে সয়াবিনের ভুসি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য এবং গার্মেন্টস, সাবান, ব্যাটারি, গার্মেন্টস ঝুট ভারতে রফতানি হচ্ছে। প্রতিদিন এসব পণ্য নিয়ে প্রায় ৪০০ ট্রাক ভারতে প্রবেশের জন্য বেনাপোল বন্দরে আসছে। কিন্তু পেট্রাপোল বন্দরে যেতে না পারায় বেনাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বেনাপোল বন্দরে রপ্তানি পণ্যের ট্রাক রাখার কোনো টার্মিনাল নেই।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। ফলে প্রতিদিন এসব পণ্যবোঝাই প্রায় ৪০০টি ট্রাক ভারতে প্রবেশের জন্য বেনাপোল বন্দরে আসছে। কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন নিচ্ছে মাত্র ৯০ থেকে ১০০ ট্রাক। বেনাপোল বাজার, বন্দর কাস্টমস এলাকাসহ সমস্ত এলাকা রপ্তানি পন্যের গাড়িতে ভরে গেছে। দু’দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক আছে। বিষয়গুলো নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে আমদানি পণ্যের পাশাপাশি পণ্য রপ্তানি বেড়েছে দ্বিগুণ। এখন প্রায় দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০টি পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে অবস্থান করছে। এতে বন্দর এলাকায় আমদানি-রফতানি পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, রফতানি বাণিজ্য আরও গতিশীল করতে সম্প্রতি ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয় এবং তারা প্রতিদিন সকল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দুই শতাধিক রপ্তানি পণ্যের ট্রাক নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। যাতে দ্রুত এক্সপোর্টের গাড়িগুলো ভারতে পাঠানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

১৪ দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে আটকা দু‘হাজার পণ্যবাহী ট্রাক, জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশের সময় : ০৪:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
বেনাপোল প্রতিনিধি ।।
বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে স্থান সংকট, দুই সপ্তাহ ধরে বেনাপোল বন্দরে আটকা দেড় হাজার পন্যবাহি ট্রাক। বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানিকৃত পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রপ্তানিকারকরা। ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন পণ্য নিয়ে শত শত ট্রাক বেনাপোল বন্দরে অপেক্ষায় রয়েছে।
যে পরিমাণ পণ্যবোঝাই ট্রাক ভারতে রপ্তানির জন্য আসছে তার অর্ধেক ট্রাক ভারতে যাওয়ার অনুমতি না মেলায় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বন্দর এলাকায়। প্রতিদিন ৪০০ শত পণ্যবোঝাই ট্রাক বেনাপোল আসলেও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের জায়গা সংকটের কারণ দেখিয়ে তারা প্রতিদিন মাত্র ৯০-১০০ ট্রাক তাদের বন্দরে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে। যার কারণে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দরে রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাকের জট সৃষ্টি হয়েছে। এতে রপ্তানি বাণিজ্যেও বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। তারপর ও রপ্তানিকৃত এ সমস্ত পন্যবাহি ট্রাক রাখা মত টার্মিনাল বা স্থান বেনাপোল বন্দরে ও নেই।বন্দরের আশেপাশের শাখা রাস্তাই ও রাখা হয়েছে রপ্তানিকৃত পন্যবাহি ট্রাক ।
সময়মত এসব পণ্য রপ্তানি না হওয়ায় প্রতিদিন ট্রাক ডেমারেজ গুনতে হচ্ছে রপ্তানিকারকদের। ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় প্রায় দুই হাজার রপ্তানিকৃত পণ্যবোঝাই ট্রাক দুই সপ্তাহ ধরে বেনাপোল বন্দরসহ আশপাশের প্রধান সড়ক এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে বন্দর এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজট। জনদুর্ভোগ চরমে।
বেনাপোল চেকপোস্ট রপ্তানি গেট থেকে শার্শা উপজেলা সদর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীসহ পাসপোর্টধারী যাত্রীদের দিন দিন ভোগান্তি বাড়ছে।
স্থানীয় সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভারত প্রতিদিন বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে ৩৫০ থেকে ৪০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি করলেও বাংলাদেশি পণ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা বরাবরই নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। ভারত আগে পণ্যবোঝাই ১৫০ থেকে ২৫০ ট্রাক গ্রহণ করলেও বর্তমানে ৯০ থেকে ১০০ ট্রাক গ্রহণ করছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করলেও সমস্যা নিরাসনে প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।
আটকে থাকা রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকের কারণে সড়কে রিকশা-ভ্যানও যাতায়াত করতে পারছে না। অনেকে শার্শা সদর থেকে হেঁটে চেকপোস্টে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বিশেষ করে রোগী, নারী ও শিশুদের কষ্টের শেষ নেই। এ অবস্থায় বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন সভা করে এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে রপ্তানি বাণিজ্য রাত ১১টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলেও সমস্যার কোনো সমাধান হচ্ছে না।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ওপর যত্রতত্র পণ্যবোঝাই প্রায় দুই হাজার ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। জায়গার অভাবে বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে ট্রাকগুলো যেমন রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তেমনি জায়গা না থাকায় ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর থেকে আমদানি পণ্যবোঝাই ট্রাকও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছে না।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন পণ্য নিয়ে যত ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে যায়, সেগুলোর স্থান সংকুলান করতে পারছে না সেখানকার বন্দর কর্তৃপক্ষ। কারণ, সেখানেও পণ্য নিয়ে বাংলাদেশমুখী প্রায় আড়াই হাজার ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে।
বেনাপোল ট্রাক মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন জানান, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে সয়াবিনের ভুসি, পাট ও পাটজাত দ্রব্য এবং গার্মেন্টস, সাবান, ব্যাটারি, গার্মেন্টস ঝুট ভারতে রফতানি হচ্ছে। প্রতিদিন এসব পণ্য নিয়ে প্রায় ৪০০ ট্রাক ভারতে প্রবেশের জন্য বেনাপোল বন্দরে আসছে। কিন্তু পেট্রাপোল বন্দরে যেতে না পারায় বেনাপোল বন্দর এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া বেনাপোল বন্দরে রপ্তানি পণ্যের ট্রাক রাখার কোনো টার্মিনাল নেই।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারতে। ফলে প্রতিদিন এসব পণ্যবোঝাই প্রায় ৪০০টি ট্রাক ভারতে প্রবেশের জন্য বেনাপোল বন্দরে আসছে। কিন্তু ভারতীয় কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন নিচ্ছে মাত্র ৯০ থেকে ১০০ ট্রাক। বেনাপোল বাজার, বন্দর কাস্টমস এলাকাসহ সমস্ত এলাকা রপ্তানি পন্যের গাড়িতে ভরে গেছে। দু’দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক আছে। বিষয়গুলো নিয়ে সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছি।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে আমদানি পণ্যের পাশাপাশি পণ্য রপ্তানি বেড়েছে দ্বিগুণ। এখন প্রায় দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০টি পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় বেনাপোল বন্দরে অবস্থান করছে। এতে বন্দর এলাকায় আমদানি-রফতানি পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, রফতানি বাণিজ্য আরও গতিশীল করতে সম্প্রতি ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয় এবং তারা প্রতিদিন সকল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দুই শতাধিক রপ্তানি পণ্যের ট্রাক নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। যাতে দ্রুত এক্সপোর্টের গাড়িগুলো ভারতে পাঠানো যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।