স্টাফ রিপোর্টার ## শতভাগ রপ্তানিমুখি গার্মেন্টস শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ৭ হাজার শ্রমিককে ৯৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে।
দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিক, শ্রমিকের সন্তানের শিক্ষা সহায়তা এবং তাদের স্বজনদের শ্রমিকের মৃত্যজনিত কারণে সহায়তা হিসেবে এই টাকা দেয়া হয়েছে।
সভায় জানানো হয়েছে, শ্রম আইনের আলোকে ২০১৬ সালে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলে এ পর্যন্ত ২৮২ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা হয়েছে। বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী শতভাগ রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের মোট রপ্তানি মূল্যের ০.০৩ শতাংশ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি এ তহবিলে জমা হয়।
সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সহায়তা প্রত্যাশী শ্রমিক এবং তাদের স্বজনরা আবেদন করলে দ্রুতই যেন সহায়তার টাকাটা পান সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। কোনো প্রকার অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি এসময় কেন্দ্রীয় তহবিলের কার্যপরিধি বৃদ্ধি এবং কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে কয়েকটি উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দেন।
সভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী করোনাকালীন গঠিত ২৩টি বিশেষ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির কার্যক্রমের ওপর প্রকাশিত বিশেষ প্রতিবেদন এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সভায় শ্রম সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় তহবিলের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সেলিনা বকতার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার চক্রবর্তী, বিজিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল মান্নান কচি, বিকেএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান এবং শ্রমিকনেতা সিরাজুল ইসলাম রনিসহ বিজিএমইএ, বিকেএমইএ এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা এবং কেন্দ্রীয় তহবিলের বোর্ড সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।