স্টাফ রিপোর্টার ## জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন কলের মাধ্যমে অপহরণের শিকার এক ভারতীয় নাগরিকসহ দুজনকে উদ্ধার করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় অপহরণের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার বিকালে জাতীয় জরুরি সেবা সেল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এই তথ্য।
জাতীয় জরুরি সেবা সেল জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের হালদারপাড়া থেকে মিন্টু দাস নামে একজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেন। হানিফ বলেন, তার বোনজামাই ঠিকাদার মোবারক হোসেন ও তার ব্যবসায়ী অংশীদার ভারতীয় নাগরিক মিন্টু দাস আশুগঞ্জ-ত্রিপুরা চারলেনের সড়কের কাজ করছিলেন। তারা দুজন ১৯ মার্চ শুক্রবার ব্যবসায়িক কাজে আশুগঞ্জ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসেছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের কলেজপাড়া এলাকায় গেলে সেখানে তাদের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক হানিফকে অবস্থান করতে বলে পায়ে হেঁটে এগিয়ে যায়। কিন্তু গভীর রাতে তারা ফিরে না এলে চালক তাদের ফোন করে দুজনের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাত দেড়টার ঠিকাদার মোবারক ফোন করে চালককে জানান তারা একটি কাজে আটকে আছেন। সে যেন অপেক্ষা করে।
এরপর শনিবার ভোররাতে ভারতীয় নাগরিক মিন্টু দাসের ফোন থেকে আশুগঞ্জে তাদের আরেক ব্যবসায়ী অংশীদারের কাছে মেসেজ পাঠান। মেসেজে মিন্টু দাস জানান, তারা অপহরণের শিকার হয়েছেন, তাদের ছাড়িয়ে আনতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। নইলে তাদের মেরে ফেলা হবে। মেসেজে ১০ লাখ টাকা রেডি করে রাখার জন্য বলা হয়। সেই ব্যবসায়ী পরে এই ঘটনা হানিফকে জানান। বিপদ টের পেয়ে হানিফ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহায়তা চায়।
পরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে বিষয়টি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা পুলিশের একাধিক টিম অপহৃতদের উদ্ধারে মাঠে নামে।
অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান চিহ্নিত করে রবিবার ভোররাত সাড়ে তিনটায় অপহৃত দুজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইসতাহা ভুঁইয়া ওরফে ইয়াম ও মতিন ওরফে রবিন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজনেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স) ইশতিয়াক। এ বিষয় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।