শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‍বিজেপিকে হঠাতে মমতাকে পাশে পেতে চায় সোনিয়া গান্ধী

কলকাতা ব্যুরো।। ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলের পথপ্রদর্শক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কারণ বাংলায় একুশের বিধানসভায় মোদী-শাহ’র ভোট প্রচারকে একবারে ভোঁতা করে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার কুর্সি দখল করেছেন তিনি। প্রমাণ হয়েছে প্রবল প্রতাপশালী হলেও বিজেপিকে হারানো সম্ভব।

বাংলায় মমতার সেই জয় এখন গোটা ভারতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে অক্সিজেন জোগান দিচ্ছে। ফলে, ২০২৪ সালে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মমতাকে সামনে রেখে একযোগে ঝাঁপাতে চাইছে বিরোধী শক্তিগুলো। ইতোমধ্যে মোদীবিরোধী দলগুলো বিক্ষিপ্তভাবে সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে মমতার ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের। পাশাপাশি দিল্লিতে মোদীবিরোধী বেশ কয়েকটি দলও নিজেদের মধ্যে বৈঠক সেরেছেন। যা পরবর্তীকালে লোকসভায় বিরোধী জোটের প্রাথমিক আলোচনা বলেই অনুমান।

একইভাবে মমতাকে পাশে পেতে মরিয়া কংগ্রেসও। সোনিয়া গান্ধীও ২০২৪-কে পাখির চোখ করে সেই পদক্ষেপের সূচনা করে দিয়েছেন। সেই সূচনায় দলের অন্দরে আমুল পরিবর্তনের মাধ্যমেই করতে চাইছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনিও মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসসহ বিরোধীদের একত্রিত করতে চাইছেন। তবে মমতাকে পাশে পেতেই বাড়তি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

এবারের ভোটে বামদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নিয়ে যথেষ্ট টানাপোড়েন সামনে এসেছিল কংগ্রেস দলের অন্দরেই। কারণ, তৃণমূল সরকার এবং মমতার সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীরঞ্জন চৌধুরী। যা নিয়েও দলের ভিতর বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। ফলাফল বামদের সঙ্গে একেবারে ধরাশায়ী কংগ্রেসও। ফলে মমতার সমালোচনায় কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্ক বর্তমানে অনেকটাই তালনীতে। যা জাতীয়স্তরেও বিজেপি বিরোধীতায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে কাছাকাছি আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের লোকসভায় দলের নেতা অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিতে পারেন সভানেত্রী সোনিয়া। তৃণমূলের সঙ্গে পথ সুগম করতেই সোনিয়ার এই কৌশলী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে প্রথম থেকেই তিক্ত সম্পর্ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। ইতোমধ্যে ধনকড়কে রাজ্যপালের পদ থেকে সরাতে সরব বাংলার শাসক দল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে দুর্নীতিপরায়ণ বলে কটাক্ষ করেছেন। পাল্টা মমতা সরকারকেও স্বৈরাচারী বলে উত্তর দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। এই পরিস্থিতিতে ধনকড়কে সরাতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে পারে মমতার দল।

জানা যায়, মমতার সঙ্গে একযোগে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাতে পারে কংগ্রেসও। তবে তার আগেই মমতার ভরসা পেতে অধীর চৌধুরী ডানা ছাটতে পারে জাতীয় কংগ্রেস। এর পাশাপাশি অধীরের বদলে লোকসভায় কংগ্রেস নেতার দায়িত্ব পেতে পারেন শশী থারুর বা মণীশ তিওয়ারি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে মমতাকে পাশে পেতেই সোনিয়ার দলের অন্দরে এমন পরিবর্তন।

‍বিজেপিকে হঠাতে মমতাকে পাশে পেতে চায় সোনিয়া গান্ধী

প্রকাশের সময় : ০৮:২৩:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ২০২১

কলকাতা ব্যুরো।। ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলের পথপ্রদর্শক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কারণ বাংলায় একুশের বিধানসভায় মোদী-শাহ’র ভোট প্রচারকে একবারে ভোঁতা করে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার কুর্সি দখল করেছেন তিনি। প্রমাণ হয়েছে প্রবল প্রতাপশালী হলেও বিজেপিকে হারানো সম্ভব।

বাংলায় মমতার সেই জয় এখন গোটা ভারতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে অক্সিজেন জোগান দিচ্ছে। ফলে, ২০২৪ সালে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মমতাকে সামনে রেখে একযোগে ঝাঁপাতে চাইছে বিরোধী শক্তিগুলো। ইতোমধ্যে মোদীবিরোধী দলগুলো বিক্ষিপ্তভাবে সেই কাজ শুরু করে দিয়েছে।

সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা হয়েছে মমতার ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের। পাশাপাশি দিল্লিতে মোদীবিরোধী বেশ কয়েকটি দলও নিজেদের মধ্যে বৈঠক সেরেছেন। যা পরবর্তীকালে লোকসভায় বিরোধী জোটের প্রাথমিক আলোচনা বলেই অনুমান।

একইভাবে মমতাকে পাশে পেতে মরিয়া কংগ্রেসও। সোনিয়া গান্ধীও ২০২৪-কে পাখির চোখ করে সেই পদক্ষেপের সূচনা করে দিয়েছেন। সেই সূচনায় দলের অন্দরে আমুল পরিবর্তনের মাধ্যমেই করতে চাইছেন কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনিও মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেসসহ বিরোধীদের একত্রিত করতে চাইছেন। তবে মমতাকে পাশে পেতেই বাড়তি পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

এবারের ভোটে বামদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নিয়ে যথেষ্ট টানাপোড়েন সামনে এসেছিল কংগ্রেস দলের অন্দরেই। কারণ, তৃণমূল সরকার এবং মমতার সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীরঞ্জন চৌধুরী। যা নিয়েও দলের ভিতর বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। ফলাফল বামদের সঙ্গে একেবারে ধরাশায়ী কংগ্রেসও। ফলে মমতার সমালোচনায় কংগ্রেস-তৃণমূল সম্পর্ক বর্তমানে অনেকটাই তালনীতে। যা জাতীয়স্তরেও বিজেপি বিরোধীতায় কংগ্রেস-তৃণমূলকে কাছাকাছি আসায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের লোকসভায় দলের নেতা অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দিতে পারেন সভানেত্রী সোনিয়া। তৃণমূলের সঙ্গে পথ সুগম করতেই সোনিয়ার এই কৌশলী পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে প্রথম থেকেই তিক্ত সম্পর্ক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। ইতোমধ্যে ধনকড়কে রাজ্যপালের পদ থেকে সরাতে সরব বাংলার শাসক দল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে দুর্নীতিপরায়ণ বলে কটাক্ষ করেছেন। পাল্টা মমতা সরকারকেও স্বৈরাচারী বলে উত্তর দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। এই পরিস্থিতিতে ধনকড়কে সরাতে রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হতে পারে মমতার দল।

জানা যায়, মমতার সঙ্গে একযোগে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাতে পারে কংগ্রেসও। তবে তার আগেই মমতার ভরসা পেতে অধীর চৌধুরী ডানা ছাটতে পারে জাতীয় কংগ্রেস। এর পাশাপাশি অধীরের বদলে লোকসভায় কংগ্রেস নেতার দায়িত্ব পেতে পারেন শশী থারুর বা মণীশ তিওয়ারি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে মমতাকে পাশে পেতেই সোনিয়ার দলের অন্দরে এমন পরিবর্তন।