সম্রাট আকবর ।।
প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন বাংলাদেশ ও ভারত একে অন্যকে ছাড়া সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে না। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক। এ নিয়ে কোনো বিতর্কের সুযোগ নেই।
বুধবার রাজধানীর বিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কবিষয়ক এক সেমিনারের উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস-বিস) ‘পরিবর্তিত আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গওহর রিজভী আরো বলেন, ‘এখানে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো করেছে। ভারতের সঙ্গে চিরাচরিত বন্ধুত্ব অব্যাহত রেখে চলেছে। আবার চীনসহ অন্যদের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলে থাকতে চাই। তেমনই অঞ্চল ও পথের উদ্যোগ থেকেও আমরা দূরে থাকতে চাই না। কারণ, এটি আমাদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করছে, যার সদ্ব্যবহার করতে আমরা আগ্রহী।’
গওহর রিজভীর মতে, মিয়ানমারে যা ঘটছে, তা নিয়ে সারা বিশ্বের সব দেশের উদ্বিগ্ন থাকা জরুরি। সেখানে গণহত্যা হয়েছে চালানো হয়েছে—বিশ্বের নিকৃষ্টতম নৃশংসতা। তিনি মনে করেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়া দুই দেশের জন্যই হুমকি।
গওহর রিজভী বলেন, ‘দুটি উন্নয়নশীল হিসেবে ভারত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা ২০৪১ এর লক্ষ্যকে ধরে এগিয়ে চলেছি। সে ক্ষেত্রে মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে আমাদের চলার পথে বাধা হতে পারে। আশা করি, আমরা সামনে পথ খুঁজে নিতে পারব।’ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসের (আইডিএসএ) মহাপরিচালক সুজন চিনয় বলেন, বাংলাদেশ এখন ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। আর এই নিবিড় সম্পর্ক ভারতের নিরাপত্তার অন্যতম স্তম্ভ। বিসের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুন্সি ফয়েজ আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান।