শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

কমে আসছে পৃথিবীর আয়ু, মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিত দিলেন বিজ্ঞানীরা

ইদ্রিস আলী।।

ধ্ফণী’-র কবলে পড়ে ভারতের গোটা ওড়িশা রীতিমত ছারখার হয়ে গিয়েছে, আর ঠিক এমনই এক দূর্যোগের মাঝে আবহাওয়া দফতর ঘোষণা করেছে যে, শুধু ‘ফণী’ – ই নয়, আসন্নই দিল্লি, এনসিআর এবং রাজস্থানে ভয়ঙ্কর ধুলোঝড় আসতে চলেছে ৷ জানা গেছে যে, গত ২ বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ১২ টি ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে, যার ফলে প্রায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানা গেছে।তবে এর কারণ কি জানেন? কেনই বা এই ধুলোঝড়? অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ? আসুন জেনে নেওয়া যাক কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?জ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম দেখে অনুমান করেছেন যে, পৃথিবীর বয়স প্রায় ৩.৫ বিলিয়ান হয়েছে, এবং এর ফলেই পৃথিবী বারবার নানারকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। এমনকি গবেষণার মাধ্যমে এটাও জানা গেছে যে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে মানুষের জীবন প্রায় ২৫ মিলিয়ান বছর কমিয়ে দেবে ৷ এবং ২৫ মিলিয়ন বছরের পরে যে ৮৫ শতাংশ প্রাণ বিনষ্ট হয়েছে, তাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ প্রভাব বাস্তুতন্ত্রের উপরেও পড়ে বলে মনে করেছেন বিজ্ঞানীরা।

তৃতীয় কারণটি হলো, বর্তমানে পৃথিবীতে যে ভাবে দূষণের হার বেড়ে যাচ্ছে সেটাও একটা প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা যেতে পারে, তবে এর কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এই দূষণ স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক ৷ তবে হ্যাঁ, এটাও মনে করা হচ্ছে যদি কখনো পৃথিবীর গতি কখনও স্তব্ধ হয়ে যায় তবে এই রকমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অভিমুখ বদল হতে পারে বলেও জানা গেছে, যা ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার বিভিন্ন অভিমুখের দিকে ঘন্টায় প্রায় ১৬৭০ কিমি বেগে রওনা দেবে, এবং তার ফলে সূর্য এক বছর ধরে ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন ধরে এক এক জায়গা সম্পূর্ণ দিন থাকবে আর কোনও কোনও জায়গায় সবসময় রাত থাকবে ৷

চতুর্থ কারণটি হলো বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, বিভিন্ন রকমের যে ক্ষতিকারক গামা রশ্মি পৃথিবী থেকে নির্গত হয়ে থাকে, তা সারা বিশ্বজুড়ে এমনই বিপত্তি দেখা দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এবং যার ফলে সূর্য ও পৃথিবীর অবস্থানগত পার্থক্য ফলে ক্রমশই পৃথিবীর আয়ু কমিয়ে নিয়ে আসছে, যা প্রতিনিয়ত ধ্বংসের ফলে পৃথিবীর আয়ু আগামী এক মিলিয়ন বছরে আয়ু কমে আসবে বলেও জানা গেছে৷

প্রতি বছরই আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে সূর্যের তাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে, যার ফলে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, এমনকি এটাও মনে করা হয় যে পৃথিবীতে অনেক ছোট ছোট গ্রহ রয়েছে, এমনকি এই ছোট ছোট গ্রহ বা গ্রহানুপুঞ্জ এক সময় এই একই ভাবে পৃথিবীকে ধ্বংস করবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

প্রতি বছরই আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে সূর্যের তাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে, যার ফলে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, এমনকি এটাও মনে করা হয় যে পৃথিবীতে অনেক ছোট ছোট গ্রহ রয়েছে, এমনকি এই ছোট ছোট গ্রহ বা গ্রহানুপুঞ্জ এক সময় এই একই ভাবে পৃথিবীকে ধ্বংস করবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

কমে আসছে পৃথিবীর আয়ু, মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিত দিলেন বিজ্ঞানীরা

প্রকাশের সময় : ০৩:১৫:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯

ইদ্রিস আলী।।

ধ্ফণী’-র কবলে পড়ে ভারতের গোটা ওড়িশা রীতিমত ছারখার হয়ে গিয়েছে, আর ঠিক এমনই এক দূর্যোগের মাঝে আবহাওয়া দফতর ঘোষণা করেছে যে, শুধু ‘ফণী’ – ই নয়, আসন্নই দিল্লি, এনসিআর এবং রাজস্থানে ভয়ঙ্কর ধুলোঝড় আসতে চলেছে ৷ জানা গেছে যে, গত ২ বছরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ১২ টি ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে, যার ফলে প্রায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলেও জানা গেছে।তবে এর কারণ কি জানেন? কেনই বা এই ধুলোঝড়? অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ? আসুন জেনে নেওয়া যাক কি বলছেন বিজ্ঞানীরা?জ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের জীবাশ্ম দেখে অনুমান করেছেন যে, পৃথিবীর বয়স প্রায় ৩.৫ বিলিয়ান হয়েছে, এবং এর ফলেই পৃথিবী বারবার নানারকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। এমনকি গবেষণার মাধ্যমে এটাও জানা গেছে যে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে মানুষের জীবন প্রায় ২৫ মিলিয়ান বছর কমিয়ে দেবে ৷ এবং ২৫ মিলিয়ন বছরের পরে যে ৮৫ শতাংশ প্রাণ বিনষ্ট হয়েছে, তাদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ প্রভাব বাস্তুতন্ত্রের উপরেও পড়ে বলে মনে করেছেন বিজ্ঞানীরা।

তৃতীয় কারণটি হলো, বর্তমানে পৃথিবীতে যে ভাবে দূষণের হার বেড়ে যাচ্ছে সেটাও একটা প্রধান কারণ হিসেবে মনে করা যেতে পারে, তবে এর কোনও সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে এই দূষণ স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক ৷ তবে হ্যাঁ, এটাও মনে করা হচ্ছে যদি কখনো পৃথিবীর গতি কখনও স্তব্ধ হয়ে যায় তবে এই রকমের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অভিমুখ বদল হতে পারে বলেও জানা গেছে, যা ভূমধ্যসাগরীয় এলাকার বিভিন্ন অভিমুখের দিকে ঘন্টায় প্রায় ১৬৭০ কিমি বেগে রওনা দেবে, এবং তার ফলে সূর্য এক বছর ধরে ২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন ধরে এক এক জায়গা সম্পূর্ণ দিন থাকবে আর কোনও কোনও জায়গায় সবসময় রাত থাকবে ৷

চতুর্থ কারণটি হলো বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, বিভিন্ন রকমের যে ক্ষতিকারক গামা রশ্মি পৃথিবী থেকে নির্গত হয়ে থাকে, তা সারা বিশ্বজুড়ে এমনই বিপত্তি দেখা দিতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। এবং যার ফলে সূর্য ও পৃথিবীর অবস্থানগত পার্থক্য ফলে ক্রমশই পৃথিবীর আয়ু কমিয়ে নিয়ে আসছে, যা প্রতিনিয়ত ধ্বংসের ফলে পৃথিবীর আয়ু আগামী এক মিলিয়ন বছরে আয়ু কমে আসবে বলেও জানা গেছে৷

প্রতি বছরই আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে সূর্যের তাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে, যার ফলে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, এমনকি এটাও মনে করা হয় যে পৃথিবীতে অনেক ছোট ছোট গ্রহ রয়েছে, এমনকি এই ছোট ছোট গ্রহ বা গ্রহানুপুঞ্জ এক সময় এই একই ভাবে পৃথিবীকে ধ্বংস করবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

প্রতি বছরই আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে সূর্যের তাপ দিন দিন বেড়েই চলেছে, যার ফলে ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, এমনকি এটাও মনে করা হয় যে পৃথিবীতে অনেক ছোট ছোট গ্রহ রয়েছে, এমনকি এই ছোট ছোট গ্রহ বা গ্রহানুপুঞ্জ এক সময় এই একই ভাবে পৃথিবীকে ধ্বংস করবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷