বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে গণতন্ত্র ফিরে আসা : ফখরুল ইসলাম

নজরুল ইসলাম ।। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন এ মুহূর্তে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসা মানে খালেদা জিয়ার মুক্তি। তার মুক্তি হলে, সেটি হবে গণতন্ত্রের মুক্তি, গণমাধ্যমের মুক্তি, গণমানুষের মুক্তি।’

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশন’ কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘নিম্নআদালতে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সাজা দেওয়া হলো, উচ্চআদালত তা বাড়িয়ে ১০ বছর করে দিলেন। অথচ তিনি এ মামলায় জামিনযোগ্য হলেও তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। আবার দেখলাম, পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে গুলির ঘটনার এতো বছর পর এ মামলায় নতুন করে চার্জশিট দিয়ে নতুন নতুন নাম দিয়ে রায় দেওয়া হলো। যেখানে ৯ জনকে ফাঁসি, অনেককে যাবজ্জীবনসহ একাধিক ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হলো। এ রায় প্রমাণ করে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। শাসক দলের যা ইচ্ছা তাই তারা করছে।’

তিনি বলেন, ‌‌এলএনজি আমদানিতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। জনগণের পকেট কাটার মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার ভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে শাসকগোষ্ঠী।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদে সভাপতিত্বে আয়োজিত অনশনে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এজেড এম জাহিদ, ড্যাবের আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএফইউজের একাংশ সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুর, শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য লিখুন

লেখকের সম্পর্কে

Shahriar Hossain

খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে গণতন্ত্র ফিরে আসা : ফখরুল ইসলাম

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০১৯

নজরুল ইসলাম ।। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন এ মুহূর্তে দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসা মানে খালেদা জিয়ার মুক্তি। তার মুক্তি হলে, সেটি হবে গণতন্ত্রের মুক্তি, গণমাধ্যমের মুক্তি, গণমানুষের মুক্তি।’

আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশন’ কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ফখরুল বলেন, ‘নিম্নআদালতে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সাজা দেওয়া হলো, উচ্চআদালত তা বাড়িয়ে ১০ বছর করে দিলেন। অথচ তিনি এ মামলায় জামিনযোগ্য হলেও তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। আবার দেখলাম, পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যে গুলির ঘটনার এতো বছর পর এ মামলায় নতুন করে চার্জশিট দিয়ে নতুন নতুন নাম দিয়ে রায় দেওয়া হলো। যেখানে ৯ জনকে ফাঁসি, অনেককে যাবজ্জীবনসহ একাধিক ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হলো। এ রায় প্রমাণ করে দেশে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। শাসক দলের যা ইচ্ছা তাই তারা করছে।’

তিনি বলেন, ‌‌এলএনজি আমদানিতে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। জনগণের পকেট কাটার মাধ্যমে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করার ভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে শাসকগোষ্ঠী।

বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক শওকত মাহমুদে সভাপতিত্বে আয়োজিত অনশনে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এজেড এম জাহিদ, ড্যাবের আহ্বায়ক ড. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএফইউজের একাংশ সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুর, শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।